কবিতার কালিমাটি ১০৪ |
রবিবার
চোখকে আজকাল
আর বিশ্বাস হয় না।
এই যে, একটা
ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে কিছু বুনো গন্ধের ফুল
আর আমরা হাহাকারের
গল্প সাজিয়ে নিয়ে
মিথ্যেই খুঁজে
চলেছি মৃত্যুকে
এসব অনেকটা
সেলুলয়েডের দৃশ্যের মতো।
শেষ দুপুরের
মাংস ভাত খাওয়া কোনো এক
পারিবারিক রবিবার।
চোখকে আজকাল
বিশ্বাস করি না।
অথচ এঁটোপাত
পড়ে থাকে, শূন্য থালার আওয়াজে
আয়নাকে সরে
যেতে বললেই কি আর
সে দূরে সরে
যায়?
আয়নার বিপরীত
প্রান্তেই তো গোটা জীবন কাহিনী।
মন
অথচ এ জীবন!
মায়াময় রত্ন
ভান্ডার
পরতে পরতে বাঁক
আর বাঁক,
পাকদণ্ডীর গায়ে
জড়ানো অসংখ্য
পাহাড়ী আবেশ
মৃত্যু কি এভাবেই
আসে জীবনে?
যেভাবে নব জন্ম
এসেছিল?
বুনোফুল আর
পাহাড়ি অর্কিড সমার্থক আজ
অন্তহীন চলার
পথে এসে
ক্ষত হয় এভাবে।
ক্ষতচিহ্ন বুকে রেখে
বিক্ষত অভিমানে!
কুয়াশা নেমে
গেলে
পাহাড় আর বৃষ্টি,
কেই বা কার কথা শোনে
বেলা পড়ে আসা
অর্কিড পথে।
হঠাৎ
এক একটা করে
আলো সরে গেলেই কি
আঁধার নেমে
আসে দীর্ঘ চোখে!
মেঘের উপরে
মেঘ জমে,
মনের ভিতর হাজার
মন...
চ্যুতি আর বিচ্যুতির
দ্বন্দ্ব তো সেই জীবনভর!
বেণী জড়ানো
চুল থেকে খোঁপায় বাঁধা দিন...
শ্রাবণও আগন্তুক
হয় আসলে মাঝেমাঝে
বসন্তও যেমন
স্বভাব মাতাল।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন