অবন্তিকা সিরিজ ২
অন্তরটনিক
বিড়ি ফুঁকিস অবন্তিকা
চুমুতে শ্রমের স্বাদ পাই
বাংলা টানিস অবন্তিকা
নিঃশ্বাসে ঘুমের গন্ধ পাই
গুটকা খাস অবন্তিকা
জিভেতে রক্তের ছোঁয়া পাই
মিছিলে যাস অবন্তিকা
ঘামে তোর দিবাস্বপ্ন পাই।
নয়নিমা
ব্যায়াম করিস তুই অবন্তিকা, নরম
গোলাপি ম্যাটে শুয়ে, মিহিমিহি
বাজনায় বডি তোর মৃদঙ্গ তালের ঢঙে ফুল-অন ঊরুকে
ফোলায়
পা-দুটো ওপরে ওঠে, উলঙ্গ সাঁতারু,
আয়নার পারা গুঁড়ো-গুঁড়ো
ভাসাস সঙ্গীতে ধোয়া উড়ন্ত বকের ডানা, কাকে
দিবি বলে
কাঁচা মাটি মাখছিস আঁটো-সাঁটো লোভনীয় পাছাটি দুলিয়ে?
শরীর সার্বভৌম
জরায়ুটা বাদ দিয়ে অমন আনন্দ কেন অবন্তিকা
তাও এই গোরস্হানে দাঁড়িয়ে গাইছিস তুই
মৃত যত প্রেমিকের গালমন্দে ঠাসা ডাকনাম
যারা কৈশোরে তোর বিছানার পাশে হাঁটু মুড়ে বসে
ভুতুড়ে কায়দায় ঝুঁকে প্রেম নিবেদন করেছিল?
তারপর তারা সব একে-একে লাৎ খেয়ে বিদেয় হয়েছে
অন্য যুবতী ফাঁসতে যাদের জরায়ুপথ বীজ শুঁকলেই
কয়েক হপ্তায় ফুলে ওঠে। সেসব মহিলা কিন্তু আনন্দই
পেতো
এই মনে করে যে দেহটা তো সার্বভৌম, মন
বা মনন নয়–
মন না চাইলেও দেহে খেলে যায় ওগরানো তরল বিদ্যুত
যা কিনা ভালো-খারাপের উর্দ্ধে ; ঠিকই
বলেছিস তুই
শরীরই সার্বভৌম…
প্রেমিকার ম্যালেরিয়া
দেখলি তো অবন্তিকা মশা-বধুরাও তোর
প্রেমিকগুলোর রক্ত চেনে! মেঝেয় ছড়ানো তোর
গুঁড়ো গুঁড়ো মুখচ্ছবি উড়িয়ে পড়েছে সটকে
তোর যত পার্টটাইম সুবেশ ডিউডদল।
জগরদেহ চাইছে রে জড়িয়ে ধরুক তোর
গা-ময় ছড়ানো শীত নিভিয়ে ফেলুক কেউ
তাপের স্হানিক নিম শুকনো ঠোঁটের শ্লেষে
যা তুই চিরটাকাল আমারই জন্য শুধু
রাখলি ঘুমের ভানে; এরম ব্যবস্হা ভালো
অন্তত তাহলে শুধু আমার কাছেই পাবি
জ্বরের বিকল্প তোর রোগ।
প্রজাপতি প্রজন্মের নারী
রবীন্দ্রনাথ এটা কিন্তু ভালো হচ্ছে না–
অবন্তিকা বলছিল, আপনি প্রতিদিন
ওকে রুকে নিচ্ছেন, আপনাকে সাবান
মাখাবার জন্য, বুড়ো হয়েছেন বলে
আপনি নাকি একা বাথরুমে যেতে
ভয় পান আর হাতও পৌঁছোয় না
দেহের সর্বত্র, চুলে
শ্যাম্পু-ট্যাম্পু করা;
পোশাক খুললে আসঙ্গ-উন্মুখ নীল
প্রজাপতি ওড়ে ওরই শরীর থেকে
আর তারা আপনার লেখা গান গায়।
এটা কি করছেন আপনি? আপনার
প্রেমিকারা বুড়ি থুথ্থুড়ি বলে কেন
আমার প্রেমিকাটিকে ফাঁসাতে চাইছেন!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন