জলকাটা চোখ নেই তোমার
বেশিক্ষণ নয়, অল্প কিছুক্ষণ নড়াচড়া
বন্ধ রাখা ভালো।
দুব্বাজল যেন এই হাওয়ায় না ভিজিয়ে তোলে ঘাস
একবিন্দু ফুটিয়ে তুলুক চক্ষু পাতায় বাঁধা পৃথিবী তুমি
জানতে চাও না স্বপ্নলোকে, কত
ভগ্ন লোকে, প্লেকট্রাম
ভেবে কুড়িয়ে নিয়েছে,
মাছের আঁশ।
যাদের মর্মস্থলে ব্যথার প্রাচীরে উঠেছে মুখ বাড়ানো
ফুল
তাকে দেখেই কত মানুষ ছবি তোলে ঘুরতে ঘুরতে
বারোমাস,
বেশিক্ষণ নয়, অল্প কিছু দিন নড়াচড়া
বন্ধ রাখলেই
এই বিরাট পরীক্ষায় তুমি উত্তীর্ণ হবে, উপহার
স্বরূপ পাবে,
একপায়ে হেঁটে চলা অক্টোপাস।
জড়িয়ে কোনদিন আর জলশৃঙ্গ ছাড়া আর কিছু
ধরবে না যখন,
বহু দিগন্তের মৌনদলে হয়ত তোমাকেই মানা হবে
বিদ্যুতের দাস
যে তুমি ঝিলিক আলো দেখেই আলোকিত স্তবক
ভাবো না,
ভাবো যদি সত্য থাকে আর থাকে এক ফোঁটাও
এই সংগ্রাম বিশ্বাস,
তবে বেশিক্ষণ নয়, অল্প কিছুক্ষণ চুপ করে
থাকা
ভালো
হয়ত দেয়ালই এবার পিঠে লেগে তোমার, ছাড়বে
দীর্ঘতর এক উদার শ্বাস...
তোমার তো কোন খিদে নেই হার নেই জিত নেই
নেই ক্ষেত্র...শুধু যে গলায় জল আসে,
তাকে ছেড়ে দিলে কাঁদুনে
বুড়ো তুমি,
ও চেপে ধরে রাখলেই,
জিনিয়াস।
কবিতার ভবিষ্যৎ
আগে
এক নিমেষে লিখে ফেলতে পারতাম অনেক লাইন।
অনেক
টোলট্যাক্স দিতে দিতে,
এখন
ওগুলো কমেছে।
সোজা
সূর্যের জন্য মার্চ কর, বন্ধু বলে যে স্লোগান দেয়
তার
সমস্ত বন্ধু চন্দ্রমুখী,
তাই
জীবনের শেষে সেই বন্ধুও দুখী,
যে
এখনও ভাবে একমাত্র কবিতাই কুড়ুল,
একে
নিয়ে গেলে যে কেউ ভয় পায়,
কিন্তু
এখানেই দায়,
আমাদের
সমাজে বাঁচার দায়ে,
সব
সময় এই কুড়ুল বের করার আগেই
আমাদের
পায়ের নীচে পড়ে যায় সবাই।
পণ্য মধ্য দাম
চাওয়া
অন্তরে গেলে বেশি বেশি কথা বলে, অজথা কাদা জলে, কখনও
মুখ
না লুকিয়েই বেরিয়ে আসে ভিড় থেকে,
ওই
যে পিছে চলে যাওয়া, ও মিছে চলে যাওয়া নয় বলেই,
এখনও
রুমাল তোমায় রোদের মধ্যে মাথায় এলিয়ে,
হাঁটার
কারণ পাই,
এখানে
খেজুর গাছ নাই, এখানে লুকানো মাছ নাই,
যে
ছিল অস্তাচলে, যেদিন লুকিয়ে কথা বলে,
ওকে
বলতে যেও না হারানো শোক,
আমার
গান ছিল না কোনদিন, আপনারা
আমাদের
একটু বেঁধে দিন, যাতে না হতেই
পারে
অনন্ত,
আপনাদের
ভাঙতে গেলে ভোর লাগে।
শুধু
মানুষের
ভিতর
মানুষের জোর লাগে,
গিঁট
কখন আলগা হয়,
অসুখ
জানত।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন