কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অর্ক চট্টোপাধ্যায়



অনিষ্ট


দেওয়ালে লম্বা আঁচড়ের দাগমুর্শিদাবাদ। দেবীপুর। মোহান্ত বলেছিল,  ঘরগুলোতে বাঁধন দেওয়া আছে। কেউ যাতে হঠাৎ ঢুকে অনিষ্ট না করতে পারে। আমরা দুই বন্ধু চাঁদডোবা সন্ধ্যায় শুনেছিলাম তার কথা। বিরাট ঐ বাড়ির আধো-অন্ধকার পুতুল দালানে বসে। মোহান্ত বলেছিল, কারুর অনিষ্ট করতে চাইলে তার নাম লিখে একটা ভাঙা কবরের ফাটলের মধ্যে দিয়ে সেই নাম লেখা কাগজ সেঁধিয়ে দিতে। আমরা ওকে বলেছিলাম আমরা কারুর ক্ষতি করতে চাই না। সত্যিই কি চাই না?

কী ছিল ঐ বাড়ির শরীরে যা বিষ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল আমাদের রক্তে? ফিরে আসার পরেও ভোররাতের স্বপ্নে ফিরে আসতো দেওয়ালের সেই বীভৎস দাগ। দহনদাগ যেন। স্বপ্ন অল্প আলোয় ফিসফিসিয়ে বলত, ফাট ধরা ঐ দেওয়ালগুলোই যেন একেকটা ভাঙা কবর। তারপর একদিন ভোররাতে আমার বন্ধু তার উজান স্বপ্নে দেখল, দেওয়ালে লম্বা আঁচড়ের দাগ। তার ভেতর এক ছায়ামূর্তি একটা কাগজ সেঁধিয়ে দিচ্ছে দেওয়ালের ওপারে। কি রয়েছে ওখানে? কে? কার কোন স্বপ্ন গোর দেওয়া আছে দুঃস্বপ্নের ফাট ধরা দেওয়ালে। কাগজে কার নাম? কার অনিষ্ট?

একদিন মধ্যরাতের কবরখানায় গিয়ে চুপি চুপি একটা কাগজ সেঁধিয়ে এলাম ভাঙা কবরের ফাটলে। না, পাঠক, তোর/তোমার/আপনার নাম ছিল না সেটায়! এই গল্পটাই লেখা ছিল সেখানে। শুরু থেকে শেষ। আমি কেবল এই গল্পের অনিষ্ট চাই। আর কারুর না। আর কিছুর না।  





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন