কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অয়ন্ত ইমরুল




সন্ধ্যা ও শায়েরির সামান্যই হলদেটে

সামান্য নদী, আমাদের ডোবার
বালি খুঁড়ে ভ্রম
মৃত মাছের আঁশটে গন্ধ
টের পাই
 
অজস্র লাল কাঁকড়ার চলাচল
উদ্বেগ বাড়ে
হাওয়ার শোরে জেগে ওঠে জলের সন্ত্রাস
বিরোধ ভাবা যায় না
পিছুটান শেখা যেতে পারে আরশিতে
 
রিলিফ ফলবে
রিলিফের ফাঁক দিয়ে হাড় দেখা যাবে
দুইশো ছয়'টা...

★★

মলি তো, মলমলে
ভাষার বিবিয়ানায় হেমন্ত চুইয়ে পড়ে
ঢাল করে দাও
গায়ে তো পনির
যারা মাখন তুলে হরবোলা ঘুমে
আর অপেক্ষায় যারা
পিলা চমকানো চাঁদ
আকাশে বয়ে আনা পর্যন্ত গুনগুন
আমি না শোনার ভান করে এড়িয়ে যাই...

★★

বাদাম গাছটির ওলে ওলে
তুমি তল ছুঁয়ে ছায়া, ভ্রম ঘরানার গ্রথন
ফিমেল হাওয়া কি না
লং ড্রাইভের ফিরতি শুক্রবার হাইড্রলিক
ছিঁড়ে কারো
তখন প্রখর টানা দুপুর,বেদনা গত ওড়া
এত পাখা দাও ভালো সে বাসায়!
দিগন্ত রাঙা ফাল্গুন আঁচে যেন নিরুপায় বাঁশিটি
কৃষ্ণজন,রাধা ফুটিয়ে টিলিক দেয়
 
অপার ডাঙায়
তুমিই মাছ,তুমিই মাছরাঙা...

★★

তুমি যাও
তো ছায়া
এত প্যাডেল ঘুরে, পথ ফুরোয় না!
তুমি কী রাস্তা হয়ে আছো?
ভাবতে ভাবতে ডানে মোড়পড়ে যাই,
আমার হাত থেকে বৃষ্টির রিমঝিম
 
আছো তো নাচিয়ে?
দূরে ফসল কাটার ধুম
একটা হেমন্ত পাঠিয়ে দিও এ চরাচরে...

★★

ওদিকে শোক, ভাষানির্মিত
 চাঁদ জাগাও
সন্ধ্যা ও শায়েরি সামান্যই হলদেটে
চন্দ্রবিন্দু সত্য হোক
সত্য হোক মৃদু কাঁঠালি
তোমার আলতো টোলে ভেবে দেখি হীরাখনি
নামে খনকের দল,বড্ড খাপছাড়া গো
ধরে যা হয়স্টাম্পিং
 
জ্যোৎস্নাও বলে ওঠে কজ্জল কজ্জল
চোখ তো মারো!
আর কাৎ হতে চায় না ছন্নমতি
ওদিকে সেলাই ঘুমিয়ে সীমানা ছড়ায়
সন্ধে ও শীত খেজুরে
চন্দ্রবিন্দু মিথ্যে হয়
মিথ্যে হয় ঝিকঝিক নদী তবু
নৌকা দুলে ঘাটে...


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন