কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

অভিষেক ঘোষ




ভালো লিখেছিলে 
                  
মৃত্যুকে লিখে দেওয়া মানে, তুমি জন্ম লিখেছ। তুমি জেনে গেছ, ঠিক কোথায় টান পড়ে তোমার মৃত্যু হবে। সমস্তকে ছেড়ে যাওয়ার নাম ভালবাসা। আমি জানি আমাকে ভালোবাসে যারা তারা আমায় তাড়া শিখাই নি। আমি একা একাই একা হয়ে গিয়ে, সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বেড়িয়ে যেতে চাই, কিন্তু তার আগেও জানতে চাই, যে সভ্যতার খাতিরে তুমি একজন অনেক খেটে থাকা মানুষকে উধাও করে দাও, তুমি যেভাবে উধাও শিখেই গিয়েছিলে, আমিও তাহলে এবার লাগাচ্ছি দড়ি, যে গলা জানে ওদের কীভাবে ঠিক আত্মমানুষিক হওয়ার আগেই, ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে, আরও একটা নতুন সকালে, আবার সেই তাকেই বলতে হয়,
আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম না, ঠিক তোমার ভালো থাকায়, আমি ছিলাম,
তোমার দেওয়া অবহেলা যতটা আমায় বসাতে পারে এখন


এর চেয়েও হাত কাঁপার বাকি রেখো    
                                    
গড়ে তো ঠিকই যেমন আমার কথা আমার আঙুল গড়েছে
আমাকে পড়লে তুমি সেরেল্যাক থেকে ছাইয়ের গন্ধ পাবে
আমাকে ভাবে? ধুর কেউ নাআমি ভাবি যখন, তখন
আর পিছিয়ে যেতে পারি না
আমি মাকে মারতেই পারি, কিন্তু মা জানো
আমি কিন্তু এখন আর আমাকে মারি না!   

আরও একটু বাড়তে দিন

শুধু শ্রীজাতের মত কিছু মানুষ এখনও কথা বলত গেলেই দেখবেন, মুখটা কি  করে,
ওরা মরে না। যখন কেউ মরে।
ওরা কবিতা লেখে। লন্ডনে বসে। কিভাবে একজন পাখি লন্ডন যায় আমার
জানতে একদম ইচ্ছে হয় নি। আমার ইচ্ছে হয়েছে, কিভেবে, কিছু
চোখ যাদের চলেই যাচ্ছিল,
তারা কিভাবে আবার চোখ ফিরে পেয়ে,
আবার সেই ভুল কেই ভালো বলছে।
একেই তো বলে স্রোত বাবা।
যেখানে শুধু আবহমান পত্রিকা ভেসে গেল।
আমি কিছু ভুল করে থাকলে, সবাই বলতে পারে,
কিন্তু একটা কথা বলতে পারি,
7k দেখে ভয় পাবেন না।
ওটা আমাদের কলকাতার জনসংখ্যা নয়।
নয় তো,
উটার।


জীবন – এক       
দুই লিখব না

প্রতিটি বাবা মা’কে এখন প্যাড গ্লাবস পড়াই। ওনারা সবাই ভাবেন, দেশ নিয়ে কথা বলতে গেলেই ঢিল কিছু আসবে। আমি কর্ণকে যোদ্ধা ভাবি ঠিক তখনই যখন সে স্বর্গে গিয়ে অর্জুনের সাথে কথা বলেছিল। আমি গণেশই বা হতে যাব কেন, আমি মোটরগাড়ি চড়ে যখন ধুলো পেরিয়ে যাই সবার সাথে, মুন্সি থাকে, হাসে আমার কথায়, কালো মুখ কিছুটা আবার যেটা এখুনি ফর্সা বা বাদামী হতেই পারে কাঁথা দেখলে।
ওর বিয়ের ইচ্ছে আছে এখন। আমি বুঝেছি। আমার হারাচ্ছে কিছুটা। আমি তাও মুন্সীকে বলেছি পাপাইকে কোনদিন আর বলবি না, তোকে নিয়ে আসতে। আমরা সবাই এবার সবাইকে নিয়ে আসব। ছাদের পার হয়ে যে শূর আমার দাঁড়িয়েছিল,  আমার বলের ছয় দেখতে দেখতে তাকে এবার সত্য আটকাতেই হবে। আমাদের জিততে গেলে, মনে হয় না বাবাইকে বাদ দিতে হবে, বাবাই, বাজে বকবে, অনেক বকবে, অনেক আগে থেকে বকবে, যখন থেকে এই তোদের মাত্র ছয়টা ছেলে হত, আর বাবাই দাঁড়িয়ে থাকত, তার সুন্দরবন নিয়ে, নতুন খেলা নিয়ে একটা স্লিপের বাজে, ভাঙা গলা নিয়ে।
জানবি অভিষেকদা তার অনেক আগে, ছয়টা বল কল আর ছয়টা বাথরুম করে দেবে এবার, যদি কয়েকটা ইট সস্তায় পাওয়া যায়,
আড়াল।




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন