কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নীপবীথি ভৌমিক






প্রশ্ন চিহ্নের খোঁজে

একটা প্রশ্ন চিহ্নের নাম কেন, আর একটা কে...

অথচ উত্তর সাজানোই থাকে শূন্য রঙের দর্পণে,

আমরা খোঁজ করি তাকে চিরুনি তল্লাশির অভিযানে, মিথ্যে সন্দেহ নিয়ে বিজ্ঞাপন টানাই
নিজস্ব মন-দেওয়ালের গায়ে ।
অথচ, শূন্যতা ছুঁতে পারলেই যে উত্তর এসে বৃষ্টির ফোঁটা ঝরিয়ে যাবে সম্পর্কের
ফুলদানিতে, সে কি বড়ই অবুঝ প্রশ্ন ?

কেন আর কে জিতে যায় এভাবেই।
অদৃশ্য হাতে হাত মিলিয়ে। আর সম্পর্ক নামে হলুদ পাখিটা চাপা পড়ে মরে গভীর প্রশ্ন
চিহ্নের ভারে।


বাস্তব

বাস্তব এটাই যে, মন ভুলে গেছে আমাদের, কার নাম ভালোবাসা।

বাস্তব এটাই, হত্যাকে চিনতে চিনতে অবহেলার নাম রেখেছি ভালোবাসার গায়ে।

অথচ ভয় পাই আমরা।‌ হয়ত বাস্তব এটাই।
রক্ত রঙ এসে যখন ভিড় করে যায় আমাদের
শীতকালীন মিঠে রোদে...
চোখ বুজিয়ে রাখি, মিথ্যে ভালোবাসার তাপে।

বাস্তব এটাই  হাতে ফুল রেখেও, ফুলেই রেখেছি
আমাদের বিষাক্ত যাপন।



শিরোনামহীন

(১)

আয়নায় মা'মুখ দেখি
       ভিতরে বয়ে যায় স্বচ্ছতোয়ার জল,

   রোদ তো কোনো বার্ধক্য ঋতু নয়!
     বয়স্ক চোখ হয়ে ঘুমিয়ে থাকে শুধু
  অবসরের অবকাশ খাতায়।

 (২) 

ভালোবাসা নিভে গেলে আবার তুমি জোনাকি হয়ে জ্বলে ওঠ অস্তমিত মনঘরে।

 (৪)

বৈরাগ্যের চাঁদ  আর একফালি আলো পাওয়ার ছেঁড়া চাল,

     আমাদের  দিন আনি দিন খাওয়া উপন্যাসে
        ছোট গল্পের সংখ্যা বড়ই কম।

    হা-ভাতে ঘরের কথা এভাবেই লেখা থাকে
      ফ্যান গন্ধ শুকিয়ে যাওয়া থালার পাতায়।

(৫)

এখানেই‌ কি শেষ সব! এখানেই কি সেই বাঁক?
           হারিয়ে যাওয়ার আগে 
    অপরিচিত হওয়ার খাতায় ছুঁয়ে ছিলাম হাত? 

  (৬) 

শব্দ হারিয়ে গেলে অক্ষরের ঘরে আমাদের
           কান্না-স্নান।

       অদৃশ্যে জল নেই জেনো, দৃশ্যে যতই শব্দ হারানোর গান!






0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন