সোনালী বৃক্ষ
তারপর দেখবে তুমি আপনি আপনি আমার দিকে তাকিয়ে আছো!
যত করো সমস্ত কষ্টিপাথরের যাঁচাই
চুরমার হয়ে সব সোনা হয়ে যাচ্ছে--
তুমি অনায়াসে আমায় বলতে পারো, সোনা?
তুমি জানবে না সে শঙ্কর ধাতুর মিশ্রণে
কত কবিতা প্রেমিকের কাছে প্রেমিকভাষা উন্মুক্ত হয়েছে
জীবন উৎক্ষেপ্য প্রেক্ষা লতায় সোনালী হয়ে যাচ্ছে
তোমারই রসে সেই সোনালী বৃক্ষ শুঁষে তুমি তাতে চুম্বন এঁটেছো।
ছত্রাক
একটা সময় আছে
ভালবাসা সপাট হয়ে সেঁটে থাকে জীবন
আসলে সেই মুহূর্তখানেক সময়
পরিধির মানচিত্রে একটা বিন্দু দিতে পারো।
সে জীবন বাক্যের বিন্যাস যদি
যদাতদা ভেঙে ভেঙে সমাপ্তি দেখো তুমি
ফেলে দিতে গিয়ে তুমি তাকে টেনে নিতে চাও,
আরো দূরত্বের ঠিকানা।
এই বাথান প্রেম ঠিকানায় এক দিন বসতি ছিল--
এক অববাহিকার তীর,
তৃতীয় সত্ত্বায় আরও এক পতিত সংসার
তার পরিধি খুঁজে ফিরি জপের মৃত চিহ্নত
বেজে ওঠে নিজের বুকে ভেতর
সে ঠিকানায়--
বিস্তৃত আঁকে লিখে দিলাম প্রেমের খামার বাড়ি।
তারপর হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, একটি কাহিনী,
সেখানেও এক মাপচিত্রে ধরা ছিল সমস্ত মাত্রা
সে সব হারিয়ে একদীর্ঘায়ু ছত্রাক আজও জেগে আছে।
কাঁচা মাংস
কাঁচা মাংসের ঘ্রাণ এখনও ভাল লাগে
আজও আদিম অরণ্য বেশী দূরে নেই জানি
নাগরিক আলোমালা নিয়ে খেলা করি
তবুও ঝাউবন বনবীথি সাজিয়ে রাখি
মন জনারণ্য মাঝে
সুখ নৈবেদ্য হাতের পাশে রেখে সমুদ্রের নির্জনতা খুঁজে ফিরি
বেলাভূমির পড়ন্ত বেলায় মন নেচে ওঠে
তারপর সব কিছু ছাড়িয়ে ঈষৎ অন্ধকার
নরম পাখির পালক ছাড়িয়ে
আগুন তন্দুরি স্বাদে মুখের রসায়ন লালা গিলি
এই কাঁচা মাংসের ঘ্রাণ এখনো ভালবাসি
সিরাজ গন্ধে তোমার ছুঁয়ে যাওয়াগুলি গড়িয়ে যাচ্ছে মন
এক চুমুক ভালবাসার জারক রসে আমি মাংসল ও ভাসমান সমুদ্র।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন