মায়াকীয়া
বারুদ, যাকে জড়িয়ে পেরোতে
পারি মাইল মাইল ক্রসফায়ার।
যে ফুঁ দিয়ে আমার হাজার টুকরোর স্প্রেপেন্টে
নিয়ে আসে অকালঝিরঝির... ভিজতে, ভেজাতে।
তাকে...
যে বলে, যাকে বলি,
অ-বৈধের বৈধতা দিলাম
রিষ্টিতে করো পুণ্য অবগাহন
নকসি কাঁথার মাঠে তোমার হলাম
দস্তাবেজে খেলা সংসারকাহন;
মহব্বত শুধুই...
তাকে, যে ফুঁ দিয়ে আমার
হাজার চুড়ি ক্যালাইডোস্কোপে
নামায় অকালঝিরঝির...
ভিজতে, ভেজাতে।
ধমনীর বর্ষণ টান
কচি কচি বৃষ্টি পরিষ্কার করে দিচ্ছে
জমানো রদ্দি। এই যে ধুয়ে যাচ্ছে চারিদিক, শত শত পাথরকুচিকষ্ট
শেকড় ছড়িয়ে দিচ্ছে ভাঁজে ভাঁজে। মাঝে মাঝে বেশ রক্তবর্ণ ফুটে উঠছে কান্নাফুল।
বিষাদ লিখবো না ভেবেছি। ভেবেছি আমার
রাস্তার মোড়ে বসে থাকবো অনন্তকাল। সবার আলাদা রাস্তা থাকে। তোমার রাস্তার সাথে
বুড়িছোঁয়া খেলতে খেলতে ভুলে যেতে বসেছিলাম, গন্তব্যে ছাদ থাকে না।
যে যার মোড়ে পৌঁছে খালাস! খালাস?
আমি ভেসে থাকি এক মহাবুদবুদে, যেখানে মাটি, মাটির ঘরদালানছাদ, শখ করে দেওয়া ফাঁক ফোকরের রোদের বেড়া। বেড়ার ভেতর অনেক গল্প, ঝুটঝামেলা, তুলকালাম... তবু ডেকে ওঠা সেই আদরের ডাকে। তখনই ঝমঝম, তখনই অকালেই শরৎ বসন্ত আর তুমিআমি ঋতু।
সেদিন জানলাম, ভয়ানক প্রতিবাদী জানলায় দাঁড়িয়ে থাকি, ভেতরে শুধুই প্রেম নিয়ে। এতো প্রেম! জ্বালালে দেখছি। এ প্রেম তোমাকে দিতে দিতে, বেড়েই চলে।
বৃষ্টি এলে চারপাশ আয়না করে পারদ মাখিয়ে দেয় আমায়। আমার রাস্তার ঢাল বেয়ে স্বেচ্ছাচারী স্বৈরিনী জলের ঢল নেমে আসে মোড়ে... মাটি গুলে জন্মায় সাঁঝবাতি জন্মের পাঁক।
কথা বলি না ছত্রিশ কোটি
বচ্ছরকাল
যাদের সাথে অনেক কথার বুজকুড়ি,
তারা কে কবে কোথায় পালটে ফেলেছে
চিলেকোঠা দরদালান।
চুপ করে শখের খাগ নিয়ে বসে ভাবি এই সেই অনেক বলা হলো;
সামনের শিশু গাছটা কেমন জট পড়া
অবস্থায় একটু একটু লাজুক যুবা।
প্রাণকেন্দ্রে সেই কবে থেকে লুকিয়ে রেখেছি এক জোড়া তীক্ষ্ণ হুল...
কতবার বলেছি আমার চোখ পড়তে নেই
নীলকণ্ঠের পালকে,
আমি হারতে ভালোবাসি বলে বারবার জিতে
যাই বালক হিমবাহের প্রেম...
কী মায়ায় পুড়িয়ে ফেলছি মান অপমানের তুলাদণ্ড,
ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ছে ছাইসুন্দরের
প্রেম, অথবা ছাইসুন্দরী!
চাবুকের দাগে দাগে উল্লাসে লেখা হচ্ছে স্বাধীনতার উপাখ্যান।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন