আমাদের আঁশটে গৃহকোণ
তুম্ খুবসুরৎ হো, ইয়া না হো
আমার আঁশবটি চাই
চমকে উঠো না
রক্ত আর কিছু নিরীহ হত্যা পেরিয়েই
বেঁচে থাকুক আমাদের আঁশটে গৃহকোণ
ধূপছায়া ওম
এবং ভিতর বাড়ি
ঝনঝন শব্দে ভেঙে পড়লে অন্ধকার
জবাবদিহি। পাতাঝরা শীতে
আমাদের দেয়ালে। দেয়ালে। স্বপ্নের মতো। বা মৃত্যুর ললিপপ
চুষতে চুষতে। উড়ে যাওয়া ভিতর বাড়ি। ঢেকে নেবে। ধূপছায়া ওম
এবং
মাছ আঁশটে লাশ
যথেষ্ট নষ্ট হতে চেয়ে। ভাতঘুম জড়ানো দু-ফোঁটা মেরু ঊরু। প্যারালাল ভাস্কর্যে ঋতুকালীন প্রেম ও নির্ভরতা। ক্রমাগত মৃত পান্ডুলিপির জ্যামিতিক বিবর্তনে। পকেটে পুড়ে নিলে জায়মান অন্ধকার। মাছরাঙা ফসিল হয় এবং মাছ আঁশটে লাশ
আত্মহত্যাপ্রবণ
চ্যাপ্টা পৃথিবী
নাভির আগুন। কিছু ফাঁকা বুলি
প্রথমে ‘হ্যাঁ’ লিখলাম অতঃপর ‘না’
কয়েকদিন। সবকিছুই
সেদিন এক বন্ধুকে। চিলেকোঠায়
জেগে ওঠা আগুন : ঝুরো সকাল
সেইরকম ভাবে। ঠিক এই রকম ভাবেই
নদী-সাঁতার। নীল শাড়ি
প্রতিবিম্বিত ঢেউ অলস ইনসাফ থেকে
রগরগে। অসামতলিক। কেতাবি
জুতোর শুকতলা ছুঁয়ে। চরম নাটকীয় ক্ষিদে
চুইংগাম চিবোতে চিবোতে গিলে ফেলে আত্মহত্যাপ্রবণ চ্যাপ্টা পৃথিবী
গৃহপালিত
শ্মশান-গন্ধ
একটুকরো উপুড় হয়ে
ধূপ-ধূনোর মতো
আমাকে : চুপচাপ
এটাই নির্ভুল সময়
বেপরোয়া শুদ্ধ নিঃসঙ্গতায়
অনবরত। নিবিড়
গৃহপালিত শ্মশান গন্ধ
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন