কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

পৃথা রায় চৌধুরী




নন্দ ঘোষ, তোমাকে...

সবার সামনে, হাঁ করে তাকিয়েছ,
পেয়েছ অসভ্য নাম
‘সুন্দর! সুন্দর!’ চেঁচিয়ে পাড়া মাত
আরে পাগল নাকি?

রঙকানা, লাল সাদা চেনা যায় না
এসবে কী যায় আসে?
হুকুম করেছো, সর্বনাশা চোখ সরা
সরা বলছি,
ধোয়া তুলসীপাতা সব কথা শোনে।

এখন বন্ধ চোখে মরা সমুদ্দুর, তুমি
ওই দূরের অববাহিকায় বাধ্য চলমান
তোমার দিকে নিশানায়,
তর্জনীদের বিপদ, শেষ কটা ঢেউ
নিঃশ্বাস ফেলে এখনো।

মোটমাট, তোমার সব দোষ
নিজের দিকে রিডাইরেক্ট করে নেবো
একবার শুধু চীৎকার করে ‘ভালোবাসি’ বলো,
প্লীজ...!



একান্তর

চা, বিড়ি, এর মুণ্ডু ওর ধড়
চুপ! চুপ! বত্রিশ প্রদর্শনী এবার
খটখট রাস্তা পার।

কী ভালো মেয়ে, মা'র সাথে  
ভোরবেলা স্কুল যায়, দুপুরবেলা ফেরে
এই শীতেও রোজ চান করে যাও?
কী ভালো মেয়ে!

থতমত কচি পিঠে ব্যাগ,
আঙ্গুল চেপে হন্তদন্ত জিন্স-কুর্তির
আশ্বাস পাশে।
ভালো আছেন? রোজ, দেখি
আপনি, আপনাদের।

চলে গেছে, সলিড...
ল্যাম্পপোস্ট ডান বাঁক, আড়াল
কাল থেকে ঘুরপথ কিছুদিন।

অ-প্রয়োজন

শততম আশ্চর্যদের মিছিল চলেছে...
ঠিক, সবাই শততম
প্রথম থেকে নিরানব্বই কখন জানি রেকর্ডের বইয়ে।

চাঁদের কলঙ্কদাগ ইদানিং টি আর পি ধাওয়া করে
পূর্ণগ্রাসে হতাশ নিউজ বুলেটিন
হাইহিল ছুটেছে কস্‌মেটিক কাটাকুটির
তিল বা আঁচড়ের দিকে।

ওস্তাদ, ওস্তাদ, হাত ধরে বৈতরণী পার করাও কাকে
পারানির বৈঠা সে হাতে,
ঠাহর ছিলো নৌকা গর্ভে, পাগল হলে ভবঘুরে
বিষুবরেখাতেও জবানবন্দী, কাজ শেষ হয়নি।

হঠাৎ বোঝা যায়, কেতকীতেও থাকে ছুরির গন্ধ
প্লেটো একাকী শরীর সন্ধানে;
ব্যাল্যান্স না থাকার অজুহাতে
তাকে জানানো হয় না বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন