তোমার গহীনকে ডিকোড করতে করতে
পৃথিবীতে সবথেকে সুন্দর কিছু যদি থাকে সে কেবলমাত্র তোমার
ভরণী নক্ষত্রের মতো দুটো চোখ। যদি ওর নাম রাখি... ডুলুং... তুমি কি অভিমানে বন্ধ
করে নেবে চোখের পাপড়ি! কিন্তু আমি তো বন্ধ করবো না বহন...! পাড়ি জমিয়েছি সেই কবে
শূন্য থেকে শুরু করে নিহারিকা বেয়ে তোমার
গহীনকে ডিকোড করতে করতে। হয়তো তুমি জানো অথবা জানো না আবার হতেও পারে গোপন করে রাখো
এই মিথোজীবিতা। এও
জানি তুমি আসলে সেই অ্যাকেসিয়া, যাতে রসনা
তৃপ্ত করতে আসে দুল্কি চালে হেঁটে আসে দূর আমাজনের জিরাফ। আর এই
মিথোস্ক্রিয়ায় আমি হয়ে উঠি সেই সিউডোমারমেক্স জাতের পিঁপড়ে, যে বা যারা সেইসব লোলুপ জিরাফদের নাকে মুখে ঢুকে গিয়ে
ব্যস্ত করে জ্বালাতন করে রসভঙ্গ করে ফেলে। বিনষ্ট হতে দিই না তোমাকে, বিনষ্ট হই না আমিও। নিন্দো প্রকৃতিরে... যিনি তোমার মতো অ্যাকেসিয়া সৃষ্টি
করেছেন আবার আমার মতো পিঁপড়ের কৌম গড়ে দিয়েছেন পারস্পরিক বেঁচে থাকা কিংবা
বাঁচিয়ে রাখার জন্য। Dialectic
Materialism নিয়ে মানুষের কত তর্ক ঝগড়া
মারামারি। ওরা
কেউ বুঝতেই চাইলো না এটা আসলে তোমার আমার যৌথ রূটম্যাপ। মাও সে তুং
ভদ্রলোক ভারি মিষ্টি কথায় ধরিয়ে দিতে চেয়েছেন যাতে –
“বাহ্যিক কারণ হচ্ছে পরিবর্তনের শর্ত। আর অভ্যন্তরীণ কারণ
হচ্ছে পরিবর্তনের ভিত্তি, অভ্যন্তরীণ
কারণের মাধ্যমে বাহ্যিক কারণ সক্রিয় হয়। যথার্থ তাপেই মুরগীর ডিম মুরগীর ছানায়
পরিবর্তিত হয়, কিন্তু কোনো তাপেই পাথরকে
মুরগীর ছানায় পরিবর্তিত করতে পারে না, কারণ এ দুইয়ের ভিত্তি ভিন্ন”।
এই ডিম ও মুরগি বাঁচিয়ে রেখেছে
স্বামী বিবেকানন্দকে। যা আমরা পারিনি। ঐ ডিম আর মুরগি ও পাথরে আজও বেঁচে মাও সে তুং যা বন্দুকের
নল পারেনি। আসলে
আমাদের অনেক না পারার বোঝা টেনে টেনে চলতে চলতে আমরা সেক্স আর্জ ভুলে গেছি। তুমি ভাবছো
বোধহয় আমি শরীরের চাহিদার কথা বলছি! হ্যাঁ তুমি ঠিকই বুঝেছো, আমি শরীরের কথা বলছি... তবে আমার বা তোমার একটা দুটো শরীরের
নয় বা শুধুমাত্র একটা দেশের নয়... নীলগ্রহ এই পৃথিবীর সমস্ত শরীরের চাহিদার কথা
বলছি... তাদের সমস্ত চাওয়া পাওয়ার অধিকার দাবি আদায়ের কথা বলছি অথবা বলা ভালো
আবার নতুন করে চাইছি ফ্রয়েডের আদিম চাহিদাগুলোই... সেই ইড সেই ইদম যা চেয়ে আসছে
মহাকাল... আবর্তিত হচ্ছে হয়ে চলেছে ইথারে অনন্ত... এতক্ষণ যা বললাম তুমিও মনে
রেখো না...। এসব মনে রাখতে নেই... তাহলে পৃথিবীটাই তো হয়ে উঠত নতুন শিশুর জন্য
ভরসাযোগ্য বাসভূমি। বরং
তুমি মনে রেখো তোমার চোখে আমার ডুলুং উচ্ছ্বল স্রোতে বয়ে যাচ্ছে... আমি বহন বন্ধ
করবো না... শেষবারের মতো বৈঠা বাইতে বাইতে ভীষণ স্বার্থপরের মতো ঘুমিয়ে পড়বো
আমার ডুলুংএর চোখে চোখ রেখে... তারপর সহজে বিস্মৃত হবো আমরাও... এভাবেই... আবারও
ফিরে আসবো সিউডোডারমেক্স পিঁপড়ে যেভাবে অনাদি অ্যাকেসিয়ার শরীরে...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন