একদিন অবিরাম টেক্সট
একটা টেক্সটের জবাবের জন্য এত দেরী সহ্য হয় বলো?
হ্যালো মহাশয়া, জানতে চেয়েছি যে স্যুপ বানাতে গোলমরিচের গুঁড়ো লাগে কিনা!
আমি ফোন হাতে ফ্লোরে শুয়ে আছি, অপেক্ষার প্রেম ঝক্কর ঝক্কর মৈমনসিংহ করছি, তোমার টেক্সট আসছে না। অপেক্ষায়
সিগারেট ধরালে ভালো হতো, কিন্তু ও
বিশ্রী জিনিস ছেড়েছি অনেকদিন। কী যে করি! টেক্সট করছো না কেন তুমি?
এরমধ্যে বিক্রম সিংএর ৩টা গান শোনা হয়ে গেল, আকরাম খানের সলো নাচ দেখে ফেললাম একপ্রস্থ। নাহ তোমার
গোলমরিচগুঁড়ো সংক্রান্ত টেক্সট এলো না যে এলোই না।
রিভিউ পিটিশনের মতো প্রেমিক রাগটা মুলতবী রাখলাম। আবার তোমাকে
টেক্সট করলাম;
এক্ষুণি বেরুচ্ছি। অস্ত্রাগার লুন্ঠন করবো। তারপর বন্দুক
নিয়ে তোমার বাড়ির দিকে আসছি। প্রস্তুত হও
অসভ্য আদালত।
খুনখারাবীর ভয়ে কিনা জানি না, অমনি তোমার টেক্সট এলো। লিখলে:
হ্যালো ডাকাত, সারাক্ষণ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়ে থাকো কেন বলো তো? ভেতরে ভেতরে তো শাহবাগ জাগরণ। অবশ্য তোমাকে গনগনে ভাল্লাগে।
পুড়ে খাক হয়ে যা তুই। হিহিহি।
তারপর আবার তোমার আরেকটা টেক্সট;
ওগো আমার কারাগার প্রধান, আমি স্যুপ বানানোর রেসিপি লিখে প্রস্তুত, তোকে পাঠাব। অমনি হোম আদালত প্রধান মা জানালেন : স্টপ। তাকে কিচেনে
হেল্প করা লাগবে। আমার কী দোষ, হে গনগনে ছেলে?
আমি শান্ত স্বরে লিখলাম;
হ্যালো ব্যারিস্টার। তোমার কাজই
হলো সময় ক্ষেপণ। বুঝতে পারছো যে ক্ষিদেটা পেরিয়ে গেলে মহাক্ষুধা অবকাশ যাপনে যাবে। কার্যকারিতা
ঝুলে থাকবে। মহা ত্যাঁদড় তো তুমি!
আবার তোমার সুইট টেক্সট;
ইশ বিশ্বাস করো ওসব কিছু না। আমি কি জামাতী পিছলামি নাকি? ছি ছি। আমি কি মানবতাবাদীদের সোল এজেন্ট প্রধানের আবদেন সাথে এটাচ
করে পাঠিয়েছি যে স্যুপ খাওয়া বন্ধ করো ?
তুমি না আসলেই...
আচ্ছা বাবা দেখা হোক আমাদ।।। কানে কানে
শোনো জংলী (ফিসফিসিয়ে : সব সুদে আসলে
পুষিয়ে দেবো। যেন ৪২ বছর প্রতীক্ষায় আছে গণজাগরণ! ) অসভ্য!
বিক্রম সিংএর আরেকটা গান চাপালাম, আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়...
আমার বাসার ফ্লোর কাঠের ফ্লোরে লম্বালম্বি শুয়ে আছি। হাতঘড়ি নেই, ফোনে সময় দেখতে ইচ্ছা করছে না। টিকটিক করে
নচিকেতা সময় কাটছে না। নাভি
পিল্লাইর মুখটা দেখতে পাচ্ছি অস্পষ্ট। স্যুপ খেতে ইচ্ছা করছে।
ঘুম পাচ্ছে ছায়া হরিণের মতো। চোখ মুদে
যাচ্ছে কাবেরী নদীর ঢেউয়ে। কাল কে যেন বলেছিল সবুরে সব ফলে...
আজ সবুরে স্যুপ ফলুক...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন