চার পংক্তির কবিতা
(১)
একটি একটি শব্দ আগে পিছে উপর নিচে নেচে নেচে
গড়ে তোলে তোমার শরীর ঝুমুর তালে নেচে ওঠার শরীর
নাচের ঘূর্ণনে অনবদ্য এক সুর অর্ফিয়ুসের কণ্ঠ থেকে ঝরে
অঝোরে ছলছলিয়ে হয়ে ওঠে অশ্রুতপূর্ব এক কবিতা।
(২)
কবিতা লেখা যেন শৈশবের এক্কাদোক্কা খেলা
তাল তমালের আলোছায়ায় মগ্ন নিবিড় ঘুম
হঠাৎ বৃষ্টি এলোমেলো আকাশ ঝরে পড়া
মেঘবিকেলে আলোর ঝিলিক পাখির ডানা ছোঁয়া।
(৩)
কবিতার জানালায় মুগ্ধ আকাশ দেখেই চলি
আকাশের অলিন্দে দেখি বিচিত্র বিশ্বের পটচিত্র
বিশ্বের দরোজায় দাঁড়িয়ে আছে আমার স্বদেশ
অশ্রুনদীর একাকী উপকূলে চোখের জলে ভেসে।
(৪)
কবিতা যখন খরশান হয় ঝকঝকে হাতিয়ার
দেশের দশের শত্রুরা তখন পিছু পা হটে নিশ্চয়
কবিতা যখন মৃদুল মধুর কোমলতায় টইটম্বুর
মানুষের জন্য মানুষের ভালোবাসা উত্তাল হয়ে ওঠে।
(৫)
তরঙ্গরে অতল সমুদ্রের কূল কিনারা হীন তরঙ্গ
উত্তাল ঢেউরে সবুজ অরণ্যের উথাল পাথাল ঢেউ
বালিয়াড়ি ফুলে ফেঁপে ঘূর্ণি ঝড়ে পাগল করলি
আজ
রাতে আর ঘুম নেই
আজ রাতে আর ঘুম নেই
তারাদের সাথে হবে বার্তালাপ
অশ্রু ঢেলে সাজাতে হবে
ঘাসেদের ডগা আছে যারা
বিবর্ণ প্রান্তরের আনাচকানাচে
তারাদের সজল চোখে
শতাব্দী প্রাচীন জমাট বেদনা
গলে গলে বৃষ্টির মতো ঝরবে
আজ আমি সারারাত ভিজে
স্নান করে যাব অবিরাম
আকাশ ভিজবে বাতাস ভিজবে
অরণ্য প্রান্তর মৃত্তিকা চরাচর
গ্রাম বন্দর শহর নগর স্নাত হবে
উদীয়মান সূর্যের প্রথম আলোয়
আমি নতজানু হব পৃথিবীর পথে
সমগ্র বিশ্বকে প্রণাম জানাব
অমানবিকতার জন্য সমগ্র
মানব সত্তার হয়ে মার্জনা চাইব।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন