কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

ময়ূরিকা মুখোপাধ্যায়

ক্রস কানেকশন্


প্রতিবার ওয়ার্ড ফাইল খোলার সময় হরফ হওয়ার ইচ্ছে হয় এই ইচ্ছেটা যদিও অনেকটা পুঁথিগত পূর্ব পরিকল্পিত চিত্রনাট্যের মতো তবুও ইচ্ছে তো! তাই বোধহয় কোনো ডাইমেনসান না থাকলেও বিজ্ঞানের খুব একটা যায় আসে না
মিনিমাইস হয়ে যে কোডিংগুলো নোটপ্যাড আঁকড়ে বসে আছে, বসে আছে তো আছেই, মাঝে মধ্যে সাজিয়ে দিচ্ছে ওয়েবসাইটের সংসার তারা কতটুকুই বা জানে স্বাধীনতার মানে?
আমিও খুব সর্তকভাবে এড়িয়ে যাব সবের মানে বড় কঠিন জিনিস তাই নেগেটিভ মার্কিং না হওয়াই ভালো আমি বরং দেখি, এক্সাইড মোড় থেকে কি ভাবে ভাগ হয়ে যেতে থাকে মনখারাপ সরকার খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে সে-সব নন্দনের সিঁড়িতে, অ্যাকাডেমির তাকে, সেন্টপলস্-এর বেঞ্চগুলোতে
ফিরে যেতে চাইলেও তো ফেরা যায় কলকাতা দেখা যায় কিন্তু দেখে ফিরে আসা আর ফিরে দেখার মধ্যিখানের জায়গাটুকু কে মেসার করবে? ওইটুকুই তো সব যেটা দীর্ঘসময় ধরে আন্ডার কনস্ট্রাকশন অবস্হাতেই থেকে যায় রাবিশ  আর বাড়তে থাকা জঙ্গল মিলে-মিশে এক হয়ে যায়
তবুও মনে হয় জাপটে ধরার মানুষ অনেক বেশি আঁকড়ে ধরার চেয়ে
কে চেয়েছিল কবিতা লিখতে?
আসলে কেই বা চায়?
যে, কলমে প্রতিবার রিফিল ভরায়, শব্দ তার কাছে খুব একটা আসে না বোধহয় প্রথমবার কলমটা যে কিনে দেয়, পুরো লেখাটাই হয়তো তার হয়ে যায়
নিজের বলতে তো ট্রেনে-বাসে ঝুলে থাকা চিন্তা-ভাবনাগুলো এই যেমন...
রাতরাত কনসেপ্ট-টাকে ভাবতে বেশ ভালো লাগে আধখাওয়া জলের গ্লাসে সাঁতার শিখছে ঝিঁঝি পোকার নেক্সট  জেনারেশান হাল্কা আলোয় রিফ্লেক্ট করা পেপার ওয়েট অ্যাপ্লাই করছে, অপেক্ষা করার ফর্মুলা বেশ সাজানো-গোছানো ক্লান্তি ইনস্টল করা থাকবে প্রতি নার্ভ-

কিন্তু...
আদপে তা হয় কি?
ঘুমের বিনাশের জন্য ভরসা রাখতে হয় সেই অ্যালার্মের ওপরই
রং বদলাচ্ছে সন্ধ্যেরাএখন ধূসরের বদলে গোলাপী রোদগুলোও আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, সানগ্লাসের বিভিন্নতায়
লাগে লাগে...
মাঝে মাঝে হয় ব্যথা টিটেনাস নেওয়ার পর যেরকমটা হয়... অনেকটা ওরকম কিন্তু আর যাইহোক, অতটাও কষ্ট হয় না, যতটা কষ্ট কন্ডাক্টর কাকুর হয়, ওর ঠান্ডা লাগার দিনে
ঘুরে ফিরে যখন আবার সেই বাসস্টপেই আসতে হলো, তখন বলি...
আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে দেখতাম শিল্পাকে পাবে না জেনেও বাসের জন্য কীভাবে দৌড়াত!
ট্রেন-বাসকে যত সহজে যেতে দিই, তাদের যাত্রীদের পারি না কেন?
বাসের ইঞ্জিন আছে বলে?
হৃৎপিন্ডও তো মেশিন!
যাকগে...
যন্ত্রসংগীতেই ভালো লাগে
স্ক্রু-ড্রাইভার বরং টুলবক্সেই থাক
আপাতত...
সযত্নে এড়িয়ে চলছি সংলাপ
আর লেখার মধ্যে... সংক্ষেপে অভিমান...


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন