কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

১৭) সায়ন ঘোষ



সায়ন ঘোষ


কলমের নিব ভেঙ্গে  গুঁড়োধূলো

কলমের নিব গুঁড়ো হলো।
ধাপে ধাপে চিন্তাক্লিষ্ট আদর্শবাদীদের আনাগোনা শুরু হলো হলঘরে...
নিয়মমাফিক তুলসী টব আলোয় ভরে উঠলো।
ধূপকাঠির সুগন্ধিতে ঘরময় তখন উৎসব।

অনতিবিলম্বে দুটো কনস্টেবল ধরপাকড়...
শালারা বাবার সম্পত্তি মনে করেছে।
এবারে অন্যত্র অভিবাসন।
আসন্ন মচ্ছবে আপনাদের সবার আমন্ত্র

বদমেজাজী ছেলেটা এখন শান্তশিষ্ট;
কলমের কালির ছাপে।

পুরনো জিনিসগুলো স্থান বদলাচ্ছে একে একে...
কারণ, এখন কলমের নিব ভেঙ্গে গুঁড়োধূলো।


খাতার গল্প


এই খাতায় সবার পাণ্ডুলিপি ধরা পড়েছে।
এই খাতায় অনেক যুদ্ধের আগের রাতের বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে।
লেখা আছে কীভাবে শিশুশ্রমিকদের দিয়ে পেটো, বোমা বানানো হয়...
কীভাবে তাদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়. ..
আর কীভাবে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় তাদের ছোট ছোট লাশ।


এই খাতায় বাসন্তী কাকিমার ইউক্যালিপটাস ছাপমারা শাড়ির আঁচলে চায়ের দাগ
স্পষ্ট বর্ণিত হয়েছে।
তিনটে তাস রাখা আছে টেবিলে...
দর্শক হিসেব মতো একটা খপ্ করে তুলে নেবে।

এই খাতায় রঙচঙে চারটে দেওয়াল রয়েছে...
কয়েকটা কালো কাক বসে আছে তার উঁচু পাঁচিলে
ঠিক তার পাশেই সুবল কাকুর পায়রা খাওয়ানোর দৃশ্যটা ধরা পড়েছে।

খাতায় গিটারের পাঁচটা স্ট্রিং রয়েছে।
একটা বোসেদের বাড়ির বেড়াটা শক্ত করে আগলে রেখেছে।

খাতায় আরও লেখা আছে
কীভাবে তনুবৌদি কোমর নিচু করে মাছের বাজারে দরদাম করে,
কীভাবে সুরেশ বিশ্বাস ধর্মতলায় হাওয়াই চটি বিক্রি করে...
কীভাবে সূর্যের রঙ উজ্বল হয়
এবং কীভাবে চাঁদের গায়ে মরচে পড়ে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন