কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

১০) রানা পাল



রানা পাল


স্পর্শ

স্পর্শ করেছি মনে মনে,
ভিজতে চেয়েছি আমি অনন্ত রাত
জলের ফোঁটার পাশে,
দেখতে চেয়েছি আমি, তোমাকে হঠাৎ
চেতনার গাঢ় অচেতনে।

দূরে সরে গেছে
তবু মুছে দিতে পারেনি সে,
স্তব্ধতাকে ঘিরে আছে কথা,
দরজার কাছে এসে
এক নীরবতা যেন ছুঁয়ে আছে অন্য নীরবতা।



কেমন আছি আমি

দিন চলে যায় দিনের মতো,
কোথায় যাচ্ছি আমি?
কারো সঙ্গে দেখা হবার কথা,
সমস্ত ভন্ডামী
পকেটে গুঁজে হন্যে হাঁটা অনেক গলিঘুঁজি
শরীর জুড়ে আদিম উল্কি আঁকা,
কার কাছে রেখে এলাম
সাগর পারের বালি-কাঁকড় আঁকড়ে পড়ে থাকা?

হেমন্তে ভেজা চোখ, কদম ফোটায় শহরের ফুটপাথে,
কেমন আছেন, বলেছিল যে
তার ছড়ানো দুই হাতে আনন্দরেণু মাখা,
হয়তো রাতে ঘুম ভেঙেছে তাকেই খুঁজে।
গভীর রাতের শিকড় বাকড়
বাড়তে বাড়তে দেখি, ছেয়ে আছে অজস্র নোংরামি,
দিন চলে যায়, সে তো যাবেই,
কেমন আছি আমি?



বেড়ে ওঠে কলকাতা


দিনের আলোয় সব্জী বেচে,
    রাতের বেলায় শরীর
এমনিভাবেই শুক্রবারের হাট বসে,
বেড়ে ওঠে কলকাতার ব্যবসা বাণিজ্য,
বিমানপোতে বিদেশী মন্ত্রীর জন্যে
সেয়ানে নিষ্পাপ মুখের শিশু।





তুমি, তুই


আমি আলো হয়ে ছুঁয়ে থাকব
তোমার চোখ,
শিশির হয়ে ধুয়ে দেব
তোমার ঠোঁট,
তোমায় ভালোবাসার গান শিখিয়ে দেব।


মানুষকে ব্যথা দেবার ব্যথা
তুই পাবি,
কান্নায় সারা শরীর
ঘামের মতো ভিজে গেলে, বুঝবি,
একটা অনুরোধের দাম কত।




নুড়ি পাথর

তোর কাছে কি সেই নুড়িটা আছে,
আমার জন্যে কুড়িয়ে এনেছিলি,
ফাগুন হাওয়া হঠাৎ চুলে যেই কেটেছে বিলি
ঝাপসা হলো চোখ, বাষ্প যেমন কাচে

দিস্‌নি আমায়, রাখলি নাকি ফেলেই দিয়েছিলি,
সে কথাটা আর শুনিনি, আমাদের আড্ডায়,
মাসের পরে বছর ঘুরে দশকও বুঝি যায়,
সেই নুড়িটাই এতদিনে আমায় ফিরিয়ে দিলি

ভাবনা জুড়ে তাকে, ছুঁয়ে দেখছি আজ,
ছোট্ট সে নেই আর,
মস্ত পাথর প্রকান্ড এক ভার,
বুকের ওপর চেপে বসাই কাজ

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন