শেষ বেঞ্চ
যত দূর - চক্ষুলজ্জার দেওয়ালটা ততই স্বচ্ছ
তাই শেষ বেঞ্চেই বসি।
ম্যাডাম ভূগোল পড়ান বিঠোফেনকে ঠোঁটে নিয়ে
আর আমার নিউরন বয়সের পার্লামেন্টে ভূগোলকে রসায়ন পড়ায়।
অন্তঃবিক্রিয়া খাতার কোণায় চড়াই-উৎরাই আঁকে
জ্যান্ত কোকের বোতলের ভাঁজ গুনতে থাকে
একটু বাদে বাদে চুঁইয়ে চুঁইয়ে গুঁড়ো দুধের বিজ্ঞাপন মনে আনে।
এভাবেই প্রতিদিন বয়ঃসন্ধির ঘন্টা বাজার আগেই ক্লাশ শেষ হয়ে
যায়।
সন্ধ্যাবেলা প্রতিটা অংকে জিরো ফিগার ঘুর ঘুর করে
মাঝরাতে ঘুম ভাঙতেই টের পাই –
কাঁপনের সাথে তাপমাত্রার সম্পর্কটাই আসলে সমানুপাতিক।
ব্যারোমিটার
ভালোবাসা মাপতে চাইলেই দুঃখ
স্কেল হয়ে যায়
নির্ঘুম ধড়ফড় রাতের হৃদপিণ্ডে আঁকে
তীব্রতার গ্রাফ
প্রেমের সাক্ষ্য হয়ে
রাধার বারোমাসি
মিটমিট ঘ্রাণ ছড়ায়
আকাশের কালো মনিটরে
ভালোবাসার মাপামাপিতে দুঃখের
পিংপং
খেলার বিরতির সময়
সুখের দেখাও মিলল,
সুখ রঙ মেখে ঝুলছে
ফেইসবুকে - লাইকের ঠোঁটে,
শুশুক হয়ে গেছে
ভার্চুয়াল প্রচ্ছদে
কমেন্টর ইশারায় ডোবে
আর ভাসে —
প্রেমের বায়বীয় সুখ
অথবা বায়বীয় প্রেমের
সুখ
সংক্রমণ
রাবার-ঢিলা প্যান্টের বয়স
থেকেই আমি প্রতিশ্রুতির আড়ৎদার
দেধারছে বেচে গেছি
দ্বিধাহীন, নথিহীন কথা
অপেক্ষাটা মূলা
দেখালে প্রতিশ্রুতিগুলো সিলিঙে ঝুলে গেল
এখন ঘড়ির ডানায়
সিলিঙের আস্তর খসে – প্রতিশ্রুতিও খসে
চাওয়া আর পাওয়া
সময়ের কাঁধে রেললাইন হয়েই চলছে
তবু ভ্রুক্ষেপকে চড় দিয়ে
কুশি কাঁটায় বুনছো ফাঁপা ভবিষ্যৎ
সব শিখা শেষ হলে
নিজেই জ্বলছ আমাকে পরিধিতে রেখে
গালের টোলকে ভুলিয়েছ
প্রথম ছোঁয়ার শর্ত
নিজেকেও ভুলিয়ে
দিয়েছ কথার প্যাঁচে নিজেকে বেচার গল্প
কী করে পারলে বল?
প্রতিশ্রুতিও কি
সংক্রামক?
পুরনো আমি হয়ে নিজের
আয়নায় মনছবি টাঙিয়েছ -
ভাঙা চশমাটা বেলুন
হয়ে সম্ভাবনাকে আবার ওড়াবে
সম্ভাবনাটাও সত্যি
সত্যি একদিন চাদর হয়ে যাবে
চাদরটা সমঝোতা স্মারকসহ জড়িয়েছিল
প্রথম চুমুর ডানায়।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন