চারানা আটানা – ৭
দু’হাজার চোদ্দ
নতুন বছর সেই এসেই গেল। আর আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল প্রেডিকশন – নতুন বছর কেমন যাবে!
পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে একপাক ঘুরে অবাক হয়ে ভাবল, আচ্ছা, আমি ঠিক কোন্ পোজিশনে এলে এরা নতুন বছর, নতুন বছর করে হৈ হৈ করে, কে জানে! আমাকে তো সেই ঘুরেই যেতে হচ্ছে, একটু যে জিরিয়ে নেবো, তারও উপায় নেই।
ব্রহ্মা বিষ্ণুকে বলল, কী রকম বুঝছেন, আর কদ্দিন টানবে ব্যাটারা এই পৃথিবীটাকে? আমাকে কি আবার অনন্তসায়রে যোগনিদ্রায় বসতে হবে শীগ্গিরি? মহেশ্বর পাশে বসে চরস টানছিল, এ কথা কানে যেতে বলল, বোম্ ভোলে! ঘোর কলি!
হাফ পঞ্জিকার ব্যবসাদাররা হিসেব নিকেশ করছিল। বিক্রিবাটা কমে গেছে, আজকাল বেশি লোক হাফ-ফুল কোনো পাঁজিই কিনতে চায় না। বাংলা বছরের পাঁজি বের করে ওরা, ইংরাজিও একখানা বের করলে কেমন হয়, সেই নিয়ে জল্পনা চলছিল। একজন বলল, করেই বা কী হবে? গতবার আমার পঞ্জিকায় সাতাশটা গুপ্তরোগের কবচ-তেল-মালিশ-মন্ত্রগুপ্তির অ্যাড দিলাম, তেইশজন এখনো পে করেনি। এইভাবে কি পঞ্জিকা চালানো যায়? আগে একরকম দিতাম, এখন গুপ্তপ্রেস বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত দুই নিয়মের যাবতীয় বিধান দিচ্ছি, তাও চলছে না আগের মতো। মোবাইলে খুটখাট করেই এখন লোকে সব পেয়ে যায়।
ক্যালেন্ডারওয়ালাদেরও মাথায় হাত। দুধ-নিউজপেপার-ধোপা-ইস্ত্রি এসব আগে ক্যালেন্ডারে টিক মেরে রাখত যারা, তারাও মোবাইলের কল্যাণে আর লক্ষ্মী-সরস্বতীর ছবিওয়ালা ক্যালেন্ডার ঘরে টাঙাচ্ছে না। আজকাল অ্যাস্থেটিকের যুগ। কিংফিশার প্রতি বছর মডেল দিয়ে গরমাগরম ক্যালেন্ডার বের করছিল, সেও তো গোঁত্তা খেয়ে গেল, এখন উপায়? ডাইরিও আজকাল বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে। সবার হাতে ডিজিটাল ডাইরি যে!
তাই বলে কি মানুষের ভাগ্য বসে থাকবে? আকাশে জটিল গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব মানুষের ওপর নেক্স্ট্ বারোটা মাস কী রকম পড়বে, তা জেনে রাখতে হবে না? বারোখানা রাশি কাকে দেবে বাঁশ, আর কার মুখে হাসি?
দেখা যাক!
মেষ Aries ২১ মার্চ — ২০ এপ্রিল
মেষ মানে হলো ভেড়া। আপনার যদি ভেড়ারাশি হয়, তবে কী এক্সপেক্ট করেন, এ বছরে আপনার কপালে খুব সুখ আসবে? আরে মশাই, ভেড়াদের সুখ কী রকম হয়, জানেনই তো! পালে ঢুকে যাবেন, ঘাস ফাস পেলে খাবেন, না পেলে খাবেন না। গায়ে লোম গজালে অন্যে কেটে নিয়ে যাবে যদ্দিন পারে। তারপর সুস্বাদু ল্যাম্ব অর্থাৎ মাটন হয়ে কারো পেটে চালান যাবেন।
সেটা এই সামনের বছরেই হবে কিনা, তা নির্ভর করছে কতটা লোম গজাতে পারবেন। বেঁচে থাকতে হলে যেভাবেই হোক লোম গজিয়ে চলুন, অন্যদের ছিঁড়ে আঁটি বাঁধতে দিন। খবরদার, হেয়ার রিমুভার ব্যবহার করবেন না। যত্রতত্র মেষা-মেষি না করে এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখুন। না পারলে গো-মেদ ধারণ করলে সুফল পেতে পারেন।
বৃষ Taurus ২১ এপ্রিল — ২১ মে
বৃষ হচ্ছে ষাঁড়। মানে আপনার যদি বৃষ রাশি হয়, তবে আপনি ২০১৪তে ধম্মের ষাঁড়ের মতো স্বাধীন থাকতে পারবেন। বাজারে যাবেন, এর টুকরিতে, ওর ডাঁইতে মুখ দিয়ে তুলে নেবেন শীতের সবজি পালংশাক-ফুলকপি-বেগুন-করলা। বেগুনের কাঁটা বেছে খেতে হবে না, করলা তেতো লাগবে না। তবে এসব যখন করবেন, তখন কেউ না কেউ পেছন থেকে হ্যাট হ্যাট ক’রে – না, টুপি দিতে আসবে না, খেদিয়ে দেবে। খ্যাদানি খাওয়াই আপনার ভাগ্যলিপি, ওটা চলতেই থাকবে বছরের পর বছর।
তবে একটা সুখবর আছে বৃষভাই। ষাঁড় এতকাল গরুর পেছনেই লাগতে পারত, এখনও অবধি সেটাই বৈধ। তবে মানুষ এখন অনেক, কী বলে, মনুষ্যত্ববিশিষ্ট হয়েছে। তাই স্বাধীনতার জয়ধ্বনি তুলছে ষাঁড়ের চয়েসের ওপরেও। হয়তো এ বছরের মাঝামাঝিতেই আপনি কেবলমাত্র গরুর না, আর একটা ষাঁড়ের পেছনেও লাগতে পারবেন, সুপ্রীম কোর্ট কিছু মনে করবে না।
মিথুন Gemini ২২ মে — ২১ জুন
মিথুন হচ্ছে – সে যাই হোক – সব কিছু জানার দরকার নেই। ব্যাপার হচ্ছে, আপনাদের যাদের রাশি মিথুন, জানেনই তো, আপনারা সব হচ্ছেন, যাকে বলে মা ষষ্ঠীর কৃপাধন্য। মানে মোস্ট অফ ইউ। বাংলা মা সুসন্তান প্রসব করা অনেকদিন ধরেই বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন অপোগন্ড বাজারে ছাড়ছেন একের পর এক।
সেই ট্রেন্ড যে কিছুমাত্র বদলাবে দু’হাজার চোদ্দতে, এমন আশা ভীষণ অপটিমিস্টরাও করে না। আমি আর কী বলি, সংযম প্র্যাকটিশ করুন। সেটাই মঙ্গল। ভোটার বাড়িয়ে কী লাভ? কাকে ভোট দেবে সে?
কর্কট Cancer ২২ জুন — ২২ জুলাই
ভাই কর্কট, তোর ইংলিশ ভার্সান শুনলেই হৃদ্কম্প হয়। বছরের পর বছর চলে গেল, ডাক্তাররা এখনও শুধু আশার বাণী শোনায়, মানে লাইফটা স্রেফ একটা প্রবাবিলিটি। এ বছরে তার কিছু পাল্টাবে? কে জানে!
সুতরাং যাদের কর্কট রাশি, সব্বাইকে বলছি, তাদের থেকে দূরে থাকো, যদি মর্কট না হও। এরা ধরলেই তোমাকে গ্রাস করে ফেলবে। হ্যাঁ, কর্কট মানেই টেররিজ্ম্, নোংরা রাজনীতি, দুর্নীতি, সমাজবিরোধিতা। ডেট ফেট ছাড়ুন, কর্কট মানে পার্কস্ট্রীট-কামদুনি-গেদে-মধ্যমগ্রাম। কর্কট মানে আশারাম বাপু। এ বছর কর্কটদের কেমন যাবে? এইট্টি পার্সেন্টের খুব ভালো, যেমন যায়। টোয়েন্টি পার্সেন্ট ঝামেলায় পড়বে। মিলিয়ে নিও।
সিংহ Leo ২৩ জুলাই — ২৩ আগস্ট
সিংহ হচ্ছে জঙ্গলের রাজা। আমাদের সমাজ বা সংসার এখন তো মোটামুটি জঙ্গলই। কাজেই আমরা সবাই রাজা। আমাদের এই রাজার – থুড়ি রাণীর – রাজত্বে। ওহো, বলতে ভুলে গেছি, সিংহ মানে পুরুষ সিংহ তুমি তখনই যখন তোমার সিংহীটি ধারে কাছে নেই। মানে বাড়ির বাইরে, যেমন অফিসে, বাজারে, রাস্তায়, মাঠে, ময়দানে। অফিসে তুমি বস, সাবর্ডিনেটদের ত্রাস। ময়দানে মাইক হাতে পেলে তুমি ফাটিয়ে দাও – কী ফাটাও তুমিই জানো – সামনে দর্শকাসনে কেউ থাকুক না থাকুক। সিংহী কাছাকাছি থাকলেই তুমি কেঁচো। তখন তোমার কেশর ফেশর সব ধূসর। এসব হচ্ছে চিরন্তন জিনিস। বছর আসুক যাক, কিস্যু পালটায় না। দু’হাজার চোদ্দতে তুমি একই থাকবে।
বুঝতেই পারছ, যাদের রাশি সিংহ, সেই অবিবাহিত পুরুষদের বলছি, এ বছরটা যেতে দাও। কী দরকার খামোখা একটা মেয়ের খিদ্মদ্গারি করে? আর মেয়েদের বলছি, ছেড়ো না, বয়ফ্রেন্ডের কান, বা আর যা পাও ধরে টেনে পিঁড়িতে বসাও। দেরি করে লাভ কী? জো হুজুর বলার লোক পেয়ে যাবে এভাবেই।
কন্যা Virgo ২৪ আগস্ট — ২৩ সেপ্টেম্বর
কন্যা রে, তোকে নিয়েই তো বিপদ রে! যত দিন যাচ্ছে, মোমবাতির মিছিল হচ্ছে সন্ধ্যেবেলা, কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা। সকালে, দুপুরে, সন্ধ্যায়, রাতে, যে কোনো পোশাকে, যে কোনো জায়গায়, যে কারো হাতে তুই ধর্ষিতা হয়ে যেতে পারিস। পাড়ার দাদা, ধর্মগুরু, বাসের কন্ডাকটর, নেতার চ্যালা – এরা তো আছেই, এর বাইরেও অনেক। কাউকে বিশ্বাস নেই, কাউকেই।
তুই যে এখনও বেঁচে আছিস, এই দু’হাজার চোদ্দয়, এটাই তো আশ্চর্যের! ভ্রূণ অবস্থাতেই তোকে মেরে ফেলেনি, এ তোর চোদ্দপুরুষের ভাগ্যি। হয়তো জানতো না, ভেবেছিল ছেলে হলেও হতে পারে। জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গে কেন মারলো না? কী লাক তোর! ইস্কুলেও গেছিস? অহো ভাগ্য। ডিগ্রী পেয়েছিস? দুনিয়ার অষ্টম আশ্চর্য! ছেলেদের সঙ্গে সমানে সমানে চলতে চাস? পারবি না। ধর্ষিতা হয়ে যাবি। পাড়াপ্রতিবেশী দুচ্ছাই করবে। মা-বাবা হাহুতাশ করবে, নিজেদের ভাগ্যকে দুষবে। পুলিশ হাত চাটবে। উকিল জিজ্ঞেস করবে নোংরা প্রশ্ন। তোর জন্যে কেউ নেই। তুই একা। এ বছরেও। একা।
তুলা Libra ২৪ সেপ্টেম্বর — ২৩ অক্টোবর
না হে, এ কটন নয়, যদিও তার চেয়ে খুব বেশি যে ভারী, তা বলা যাবে না। এই দাঁড়িপাল্লা আইনের প্রতীক। দাঁড়িপাল্লা থাকে দোকানে, ওজন মাপতে। বাজার আগুন, যে পয়সায় আগে এক কেজি জিনিস পাওয়া যেত, এখন তা কয়েক গ্রাম। আইন মাপার উপায় নেই। প্রতীক প্রতীকই থেকে গেছে।
কবি বলে গেছিলেন, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। এখনও কাঁদছে। রেস্ত দিয়ে উকিল কিনতে হয়। এখন সাক্ষী আর জাজও নাকি কেনা যায়! জোর যার মুলুক তার। কীসের বিচার চাইবে? সবই তো বিরোধীদের ষড়যন্ত্র! সবই তো তুচ্ছ ঘটনা, যা হয়েই থাকে। তার চেয়ে অন্যরকম হবে দু’হাজার চোদ্দয়? হতে পারে, যদি তুমি পাল্টাও। একমাত্র তুমিই পারো।
বৃশ্চিক Scorpio ২৪ অক্টোবর — ২২ নভেম্বর
বৃশ্চিক হচ্ছে বিছে। নিরীহ প্রাণী, কিন্তু বেশ ভয়াল। দেশের সেন্টারে এই জাতের কিছু লোক এসে বেশ গড়বড় বাধিয়ে দিয়েছে। সিংহকে ধরাশায়ী করে দিয়েছে। এখন সিংহই বিছেকে দিচ্ছে আউটসাইড সাপোর্ট। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।
এটাই একমাত্র আশার দীপ। এই বিছেগুলো হুল না ফুটিয়েও বেশ ত্রাসের সঞ্চার করেছে কর্কটদের মনে। এরা যদি আরও কিছু কিছু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, তবে সমাজের প্রতিস্তরে যে দূর্নীতি, তার পরিমাণ কিছু হলেও কমবে। অন্যান্য দলগুলো, যারা নিজেদের বাঘ-হাতি-গন্ডার ভাবছিল, বাধ্য হবে নোংরা পোশাক ডিটার্জেন্ট দিয়ে ধুয়ে পোস্কার করতে। না হলে কেঁচো হয়ে মাটির নিচে ঢুকে যেতে হবে। বৃশ্চিক ভাই, তোমরাই আশা। তোমাদের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটুক এই বছরে। তোমরা রক্তবীজ হও।
ধনু Sagittarius ২৩ নভেম্বর — ২১ ডিসেম্বর
লোকে ধনসম্পদ নিয়েই বেশি ব্যস্ত, ধনু নিয়ে নয়। রামের ধনু আকাশে থাকে, বিষ্টির পর অনেক সময় দেখা যায় সাত রঙে। শিবের ধনু দেখলেই রাজা রাজড়ারা তা ভেঙে ফেলার জন্যে ব্যস্ত হয়ে যেত। হরধনু ভেঙে যাওয়ায় শিবের একটা অস্ত্র বেকার হয়ে গেল, কিন্তু রাম পেয়ে গেল সীতা।
সেই রকম চলছে। সীতা-গীতা-রীতা পাওয়ার জন্যে আজকের রোমিওরা যা পাচ্ছে সব ভেঙে ফেলছে। ভেঙে যাচ্ছে চরিত্র-সংযম-সততা-মনুষ্যত্ব। তোমার ধনুরাশি? সাবধান। তোমাকে ভেঙে ফেলার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে সবাই। যেই ভেঙে যাবে, অমনি খোঁজ হবে তোমার বাবা-মা কোন্ পার্টিকে ভোট দিলেও দিতে পারেন। সেই পার্টির নেতা দাবি করবে, তার ম্যানিফেস্টো রক্ষার্থে তুমি শহীদ হয়েছ। অন্য পার্টির নেতা বলবে, এসব ওদের চক্রান্ত।
মকর Capricorn ২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারী
মকর, তুমি কি নিজেই জানো, তোমার অর্থ কী? মকরমুখো বালা আর কাউকে পরতে দেখো? মকরক্রান্তি রেখাটা অ্যাটলাসে ঠিক কোথায়, তুমি খুঁজে বের করতে পারবে? মকর হচ্ছে একটা – কী বলব – পুরনো শব্দ। এখন পুরোপুরি সংখ্যালঘু।
সংখ্যালঘুদের অবস্থা তো জানোই। বাংলাদেশে যদি তোমার নামের পাশে হিন্দু লেখা থাকে, তবে প্রতিদিন সকালে ‘বেঁচে আছি, কী আনন্দ’ বলে নৃত্য কোরো, কেননা তুমি সত্যিই আর বেশি দিন নেই। হাসিনা-খালেদা তো নয়ই, যাদের প্রতিবেশী সহচর বলে ভেবে এসেছ, তুমি মরে গেলে তারা কোথাও হয়তো প্রকাশ্যে আহা-উহু করবে, আদতে ভাববে, বাঁচা গেল, দুনিয়া থেকে আর একটা কাফের কমে গেল। পশ্চিমবাংলায় তোমার নামের পাশে যদি মুসলমান লেখা থাকে, তবে তোমায় আর পায় কে? তুমি একাই হচ্ছ ভোট ব্যাঙ্ক। তোমাকে তোয়াজ করবে ছাপ্পার জন্যে, ভোট হয়ে গেলে যেখানে আছ, সেখানেই ঠেলে দেবে। কেননা নেতারা ভাবে, মকর মানে মর্কট। এ বছরও তাই চলবে, যদি না বৃশ্চিকরা অন্য কিছু করতে বাধ্য করে তাদের।
কুম্ভ Aquarius ২১ জানুয়ারী-১৮ ফেব্রুয়ারি
কুম্ভ মানে হাঁড়ি, যারা তা বানায় তাদের কুম্ভকার বা কুমোর বলে। কুমোরদের বছর কেমন যাবে, তা নিয়ে কে মাথা ঘামায়?
যদি নিতান্তই ঘামাতে হয়, তবে বলি, এ বছরে তো কুম্ভমেলা নেই, আবার যখন আসবে, তখন তোমাদের সময় আসবে। ততদিন পর্যন্ত, ভাই কুম্ভ – একা কুম্ভ – তোমার হাতেই আছে নকল বুঁদিগড় রক্ষার ভার।
মীন Pisces ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ
মীন হচ্ছে মাছ, সংস্কিতোয় মৎস্য। বাঙালির প্রাণ। কিন্তু ভাই রে, ডিম্যান্ড যতটা, সাপ্লাই এই বাংলায় তার ফ্র্যাক্শন। রুই-কাৎলা মাছ আসে অন্ধ্র থেকে। বাংলাদেশের ইলিশ নাকি আদতে বার্মার। তিস্তার জল ছাড়া নিয়ে বাংলাদেশের সাথে যে গন্ডগোল, তার জন্যে পদ্মার ইলিশ আসা নাকি কমে গেছে অনেক। প্রণববাবু নাকি লড়ছেন, উনি পেয়ে যাবেন হয়তো, কিন্তু আপনাদের যাদের মীনরাশি, যতই হাউ মীন বলুন না কেন, আপনারা পাবেন না।
পরিবর্তনের যুগে ইলিশ ছাড়ুন, দেখা পেলেও ট্যাঁকের জোরে তাকে অঙ্কশায়িনী করে উঠতে পারবেন না। কইয়ের সাবস্টিটিউট হিসাবে তেলাপিয়া পেতে পারেন। ভ্যাদা মাছে কাদা খায়, পুঁটি মাছের পরাণ যায়। সমাজের ভ্যাদাগুলোকে তো চেনেন, তারা আপনার কাদা খেয়ে যাবে। আপনার যদি হয় পুঁটিমাছের প্রাণ, তবে দু’হাজার চোদ্দয় আপনার ভাগ্যে আছে বঁটি।
এই হলো গিয়ে এ বছরের রাশিচক্র। বুঝতেই পারছেন, কেমন যাবে। সুতরাং এসব নিয়ে মন খারাপ না করে নিজের কাজে মন দিন। আপনার রাশির সঙ্গে আমার এই প্রেডিকশন মিলে গেলে ‘কালিমাটি’র নামে সওয়া পাঁচ আনা হরির লুঠ দেবেন। না মিললে জানবেন, এটা অন্য পার্টির চক্রান্ত।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন