স্মৃতিগ্রাম
এখানে এলেই ঠিক মনে পড়ে
থলে আর আধুলি দ্বন্দ্বে জনকের বিষণ্ন আকাশ।
এই গ্রাম, পাতাছন্দ মাটি আর বুনো গাবগাছ
ধুলো উড়ে ফিরছে খুরেরা। নৃত্যরত যেন রাস্তাটি-
আধভাঙা সাঁকো। বিষণ্ন হয়ে ওঠা গোধুলির হিজল কোটরে
ও তক্ষক, ঈশ্বরের মতো কাকে ডাকো?
পোড়া-শুটি, কালিমুখ দাঁড়িয়ে সন্ধ্যায়; দূরে লালবাতি
ট্রিং ট্রিং কিনতে পারিনি, দু’চাকার বাই-সাইকেল।
সন্ধ্যা জুড়ে মা’র হাহাকার-
শেয়াল নিয়েছে তার ডিমপাড়া হাঁস।
এখানে দাঁড়ালে, এই রাস্তা, বরুণ শাখায়
বুনোঘাস, শূন্যলতা আর
নিঃস্তরঙ্গ জল... শীত শীত লাগে।
হাওয়ায় হাওয়ায় অগুণতি হাঁসের হাহাকার...
বাবার চশমা
ওই তো দেওয়ালে বাবা, রোপিত কামরাঙা গাছ-
কার্নিসে শুভেচ্ছা স্বরূপ
তেরছা রোদ্দুর খেলে আগের দিনের মতো
সন্ধ্যার ধূপ।
ওই তো দেওয়াল ঘড়ি
সময় দিচ্ছে আজও
জুয়েল টিকটিক। দেওয়ালে মাকড়শা-
জালবিদ্ধ দু’একটি শিশু বৃশ্চিক।
হাওয়া দিচ্ছে দক্ষিণ জানালা
আবছা কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্যালেন্ডার পাতা
ঝোলানো মসৃণ আজও, রেলি ব্রাদার্স
ছাতা।
টেবিলে বই ইতিউতি
চশমাটি পিতার দু’চোখ
ঝাপসা পৃথিবী দেখি; মূহ্যমান বুক ভাঙে
শোক!
আগন্তুক
আমাকে চেনোনি তুমি? শাখা বিস্তৃত আমি মায়ামহীরুহ। আগুন দিয়েছ যাকে
জল আর দাহ্য রসায়ন। আমাকে চেনোনি তবে? ধুলোমাখা পথের সমীপে
দেখা যায় দু’একটি রঙ্গন। অচেনা মেনেছ অতঃপর? আশীর্বাদ তালুভরা আলুভরা
যেমন জমিন। কেন যে চেনো না... এই ছানি-মায়াদের দেশে আমিও তো রয়েছি বিভ্রম।
বোঝনি ও সুন্দর তুমি? রোদে পোড়া জলে ভেজা তালের খোড়লে থেকে তবে উদভ্রান্ত মধ্যাহ্নে মিহিস্বরে শোনাইনি গান? প্রতীপ তারাজ্বলা জ্যামিতি শহরে বুদবুদ ওড়া সেই প্রিয় শিশুতোষ, মধ্যে তুমি চেনোনি জলের রামধনু?
কী আশ্চর্য বিরম্বনাময় অস্তিত্ব বিনাশী স্বচ্ছ কাচ মাৎস্যন্যায়, চেনোনি চেনোনি তুমি মেঘের সংকেত।
উন্মুক্ত চরাচর আকাশে মুখ, মঙ্গল কী অন্য গ্রহান্তরে। মায়াজাল ছিঁড়ে খুউব মিল্কিওয়ে ঘুরেছি সমূহ। জননীর ছায়া জুড়ে রতি জন্মদাগ, বাঁকে বাঁকে একাঙ্কিকায় তবুও বোঝোনি ওই শিরায় শিরায়, পুরনো দিনের মুদ্রা নেচে ওঠে ধাঙরের মতো জলে জ্বলে। আখ্যান দেখোনি কখনো?
বনমোরগের ডাকে যে শেয়াল গল্প বলতে চায়, ষাষ্টাঙ্গে জানাওনি কুর্নিশ।
অথবা সে গন্ধর্ব নিয়মে, শিশিরের ফোঁটা দিয়ে এঁকেছ কাজল। আর
জুজুদের কানে কানে তবু তুমি গল্প বলে গেছ, নাকি ছিপি খুলে ফেনাজল
শিখে গেছ ভাবুক প্রজ্ঞান?
আমাকে চেনোনি আমি পিঁপড়েমন্ত্র ক্ষুদ্রশস্যকণা, জমিয়েছি কার অন্ন তবে?
রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধশ্বাস ক্রুদ্ধশ্বাস প্রতিযোগিতায়, আমাকে দেখোনি তুমি।
কী বিষাদ মায়ামৃগ, বজ্রমেঘ মুঠোয় আমি হাওয়ার মল্লার। জ্বলে জ্বলে
বাষ্পাকুল আলো বুকে কৃষ্ণগহ্বর। সে-ও তো দ্যাখোনি তুমি বিষণ্ন দূরবীণ?
আমাকে চেনোনি তুমি? চাবুক মেরেছ ক্ষুব্ধ, রক্তে করেছো জলপান
ফুলের কুসুম দিয়ে অভিনব কপোলে সম্মান। দূর্বাঘাস করে ঠিক
মাড়িয়েছ দু’পায়ে জঙ্গম। মেঘের আহ্নিকে সিক্ত আগুনে করেছ বিসর্জন অতঃপর...
চেনোনি আমাকে আমি নিজের ঈশ্বর। যূপকাঠে মৃত্যুমুখ, চোখে মৃত হাসির উত্তাপ
ভেঙে ফুঁড়ে তোমাদের মসৃণ চাদরে, নকশা কেটে ফুল এঁকে দেব।
তোমার সঙরূপ তোমাদের নিলাজ প্রটোটাইপ জাল জেনে তথাপিও
পাখা খুলে নৃত্যরত ভুলপ্রজাপতি। শাখামৃগদের দেশে আমিও তো
কাকতাড়ুয়া, ঋজুরেখ ভুল বনষ্পতি...
এখানে এলেই ঠিক মনে পড়ে
থলে আর আধুলি দ্বন্দ্বে জনকের বিষণ্ন আকাশ।
এই গ্রাম, পাতাছন্দ মাটি আর বুনো গাবগাছ
ধুলো উড়ে ফিরছে খুরেরা। নৃত্যরত যেন রাস্তাটি-
আধভাঙা সাঁকো। বিষণ্ন হয়ে ওঠা গোধুলির হিজল কোটরে
ও তক্ষক, ঈশ্বরের মতো কাকে ডাকো?
পোড়া-শুটি, কালিমুখ দাঁড়িয়ে সন্ধ্যায়; দূরে লালবাতি
ট্রিং ট্রিং কিনতে পারিনি, দু’চাকার বাই-সাইকেল।
সন্ধ্যা জুড়ে মা’র হাহাকার-
শেয়াল নিয়েছে তার ডিমপাড়া হাঁস।
এখানে দাঁড়ালে, এই রাস্তা, বরুণ শাখায়
বুনোঘাস, শূন্যলতা আর
নিঃস্তরঙ্গ জল... শীত শীত লাগে।
হাওয়ায় হাওয়ায় অগুণতি হাঁসের হাহাকার...
বাবার চশমা
ওই তো দেওয়ালে বাবা, রোপিত কামরাঙা গাছ-
কার্নিসে শুভেচ্ছা স্বরূপ
তেরছা রোদ্দুর খেলে আগের দিনের মতো
সন্ধ্যার ধূপ।
ওই তো দেওয়াল ঘড়ি
সময় দিচ্ছে আজও
জুয়েল টিকটিক। দেওয়ালে মাকড়শা-
জালবিদ্ধ দু’একটি শিশু বৃশ্চিক।
হাওয়া দিচ্ছে দক্ষিণ জানালা
আবছা কেঁপে কেঁপে ওঠে ক্যালেন্ডার পাতা
ঝোলানো মসৃণ আজও, রেলি ব্রাদার্স
ছাতা।
টেবিলে বই ইতিউতি
চশমাটি পিতার দু’চোখ
ঝাপসা পৃথিবী দেখি; মূহ্যমান বুক ভাঙে
শোক!
আগন্তুক
আমাকে চেনোনি তুমি? শাখা বিস্তৃত আমি মায়ামহীরুহ। আগুন দিয়েছ যাকে
জল আর দাহ্য রসায়ন। আমাকে চেনোনি তবে? ধুলোমাখা পথের সমীপে
দেখা যায় দু’একটি রঙ্গন। অচেনা মেনেছ অতঃপর? আশীর্বাদ তালুভরা আলুভরা
যেমন জমিন। কেন যে চেনো না... এই ছানি-মায়াদের দেশে আমিও তো রয়েছি বিভ্রম।
বোঝনি ও সুন্দর তুমি? রোদে পোড়া জলে ভেজা তালের খোড়লে থেকে তবে উদভ্রান্ত মধ্যাহ্নে মিহিস্বরে শোনাইনি গান? প্রতীপ তারাজ্বলা জ্যামিতি শহরে বুদবুদ ওড়া সেই প্রিয় শিশুতোষ, মধ্যে তুমি চেনোনি জলের রামধনু?
কী আশ্চর্য বিরম্বনাময় অস্তিত্ব বিনাশী স্বচ্ছ কাচ মাৎস্যন্যায়, চেনোনি চেনোনি তুমি মেঘের সংকেত।
উন্মুক্ত চরাচর আকাশে মুখ, মঙ্গল কী অন্য গ্রহান্তরে। মায়াজাল ছিঁড়ে খুউব মিল্কিওয়ে ঘুরেছি সমূহ। জননীর ছায়া জুড়ে রতি জন্মদাগ, বাঁকে বাঁকে একাঙ্কিকায় তবুও বোঝোনি ওই শিরায় শিরায়, পুরনো দিনের মুদ্রা নেচে ওঠে ধাঙরের মতো জলে জ্বলে। আখ্যান দেখোনি কখনো?
বনমোরগের ডাকে যে শেয়াল গল্প বলতে চায়, ষাষ্টাঙ্গে জানাওনি কুর্নিশ।
অথবা সে গন্ধর্ব নিয়মে, শিশিরের ফোঁটা দিয়ে এঁকেছ কাজল। আর
জুজুদের কানে কানে তবু তুমি গল্প বলে গেছ, নাকি ছিপি খুলে ফেনাজল
শিখে গেছ ভাবুক প্রজ্ঞান?
আমাকে চেনোনি আমি পিঁপড়েমন্ত্র ক্ষুদ্রশস্যকণা, জমিয়েছি কার অন্ন তবে?
রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধশ্বাস ক্রুদ্ধশ্বাস প্রতিযোগিতায়, আমাকে দেখোনি তুমি।
কী বিষাদ মায়ামৃগ, বজ্রমেঘ মুঠোয় আমি হাওয়ার মল্লার। জ্বলে জ্বলে
বাষ্পাকুল আলো বুকে কৃষ্ণগহ্বর। সে-ও তো দ্যাখোনি তুমি বিষণ্ন দূরবীণ?
আমাকে চেনোনি তুমি? চাবুক মেরেছ ক্ষুব্ধ, রক্তে করেছো জলপান
ফুলের কুসুম দিয়ে অভিনব কপোলে সম্মান। দূর্বাঘাস করে ঠিক
মাড়িয়েছ দু’পায়ে জঙ্গম। মেঘের আহ্নিকে সিক্ত আগুনে করেছ বিসর্জন অতঃপর...
চেনোনি আমাকে আমি নিজের ঈশ্বর। যূপকাঠে মৃত্যুমুখ, চোখে মৃত হাসির উত্তাপ
ভেঙে ফুঁড়ে তোমাদের মসৃণ চাদরে, নকশা কেটে ফুল এঁকে দেব।
তোমার সঙরূপ তোমাদের নিলাজ প্রটোটাইপ জাল জেনে তথাপিও
পাখা খুলে নৃত্যরত ভুলপ্রজাপতি। শাখামৃগদের দেশে আমিও তো
কাকতাড়ুয়া, ঋজুরেখ ভুল বনষ্পতি...
পোড়া-শুটি, কালিমুখ দাঁড়িয়ে সন্ধ্যায়; দূরে লালবাতি er sange
উত্তরমুছুনট্রিং ট্রিং কিনতে পারিনি, দু’চাকার বাই-সাইকেল। chabita hatath venge dilo jeno aamar kache.. tachara bhalo kabita sabdochabimoy "AAGUNTUK" khub valo lekha . "BAABAR CHASMA"... কার্নিসে শুভেচ্ছা স্বরূপ
তেরছা রোদ্দুর খেলে ...onno ek jagoter dike tene nie jay, sab lekha guloi valo
I'm honoured!
উত্তরমুছুনthanks and regards.
ভালো লাগলো কমেন্টস পড়ে।
উত্তরমুছুন