গৃহবন্দির ভ্রমণকাহিনী – ৩
‘কালিমাটি’তে জল দেয় যে নদীটি, তার পাড়ভাঙার শব্দ শুনতে পাই। ভাঙাগড়ার খেলায় তার হাতে দেখি পঁয়ত্রিশ বছরের মাটি কুপোনোর খুরপি। দীর্ঘ সময় যত জটিল হয়েছে, বেড়েছে তার ধার, আর নদীর কাজলরেখাটি গেছে বেঁকে। বৃত্তমগ্ন সমস্ত ফরমুলা জলাঞ্জলি দিয়ে তার বৃত্তছুট সিদ্ধান্ত। দৌড় খুলে রাখছে স্পর্শক বরাবর। প্রতিটি বর্ষায় আরো জল, আরো সার, মাটি কুপোনো কর্ষণযোগ্যতা। উর্বর হতে হতে অবৈধ পায়ে শততমের জলছাপ পড়ে গেল। অথচ বৈধ হতে চাইলে ঝক্কি ছিল না তেমন। কিন্তু ভবি ভুলবে কেন! বোধের ঘরে তার অবৈধ স্বরলিপি যাপন। শাসনের সমস্ত ব্যাকরণ গড়িয়ে দিয়েছে দু আঙুলের ফাঁকে। বোধ থেকে অবোধ পর্যন্ত এই দুরন্ত উল্লাস। আমি মাটি খুঁড়তে থাকি। দেখার পার্সপেক্টিভ পরিবর্তন করি। তোমাকে দেখি তোমারই সাপেক্ষে। কেননা, সকলেরই কিছু রকমফের থাকে। ফিকে ঢং, আসমানি অবলম্বন, ধু ধু কায়া ইত্যাদি প্রভৃতি হরেকরকম্বা। তোমাকে দেখতে চেয়ে আমি হেঁটে যাই কালোমাটির রাঙাপথ ধরে। দেখি, দক্ষিণায়নে যেমন তুমি সরলপথের এলিজি ফোটাতে চাওনি, উত্তরায়ণেও লটকে রাখোনি কোনো বেলোয়ারী আশা। নিশ্চিত দরজা পেরিয়ে যার কেবলই অনিশ্চিতের দিকে চলা, মৃত্যু তাকে কোথায় স্পর্শ করবে বলো? যে প্রবাহে অপ্রবাহও একাকার, মৃত্যু সেখানে কোথায় চিহ্ন রাখবে বলো? শততম কোনো সংখ্যা নয়, আলোর হারমোনিক মাত্র। অ্যান ইনফাইনাইট ডাইভারজেন্ট সিরিজ। যার কোনো থামা নেই। প্রতিটি হারমোনিকে ফ্রিকোয়েন্সির উল্লাস। আর অনন্ত প্রসারণের প্রতিশ্রুতি
শতাব্দী তখন নিয়মাবলির আখ্যান লিখছে
বর্তমানের আঙুলে পূর্বাশ্রমের অনুবাদ
ক্রিয়ার কোরাসে যেন প্রতিক্রিয়া সব
এক চলমান ইতিহাস
ধারাবাহিক বোনা আলসে অনুক্রম
আবির্ভাবও নেই
আবিষ্কারও নেই
যেন কোলাহলহীন বৃত্ত
বৃত্ত ভেঙে তুমি ব্যতিক্রম বসালে
অসংলগ্ন পায়ে তোমার দ্বিতীয় ভুবন
ছন্দ নেই
শৃঙ্খলা নেই
নিয়মাবলিও
কেবল আত্মপ্রত্যয়ের ভ্রূণ ফুটছে আঙুলে
সত্যের স্বরলিপি ভাঙা দ্বিতীয় সত্য
যার প্রথমও নেই
ইতিহাসও
আমি ভাবি বন্দরখোঁজা জাহাজটির নাবিকের কথা। তার কম্পাসের ব্যথা। তার দিকচিহ্নের প্রথা
আন্তর্জালের গায়ে গুটিবাঁধা সংসার
রুইতনের সাহেব ইস্কাবনের বিবি
হরতনের জনজন কথা
তুমি নিঃশব্দে ভেঙে দিলে
কার্যকারণ সম্পর্ক
সৃষ্টি প্রয়াসের গর্ভে ঝুরো বীজের গল্প
বীজপত্রের গায়ে সম্পূর্ণতার দাবি নেই
বীজমন্ত্রে প্রতিশ্রুতির ধ্বনি নেই
বীজতলা বুনে দেওয়ার দায়ও নেই
শুধু এক অনন্ত যাত্রা
স্বীকারেও নেই
অস্বীকারেও
আমি ভাবি মাটির রং কালো বলেই কি তার গায়ে এত স্বপ্ন লেগে থাকে
শতাব্দী তখন নিয়মাবলির আখ্যান লিখছে
বর্তমানের আঙুলে পূর্বাশ্রমের অনুবাদ
ক্রিয়ার কোরাসে যেন প্রতিক্রিয়া সব
এক চলমান ইতিহাস
ধারাবাহিক বোনা আলসে অনুক্রম
আবির্ভাবও নেই
আবিষ্কারও নেই
যেন কোলাহলহীন বৃত্ত
বৃত্ত ভেঙে তুমি ব্যতিক্রম বসালে
অসংলগ্ন পায়ে তোমার দ্বিতীয় ভুবন
ছন্দ নেই
শৃঙ্খলা নেই
নিয়মাবলিও
কেবল আত্মপ্রত্যয়ের ভ্রূণ ফুটছে আঙুলে
সত্যের স্বরলিপি ভাঙা দ্বিতীয় সত্য
যার প্রথমও নেই
ইতিহাসও
আমি ভাবি বন্দরখোঁজা জাহাজটির নাবিকের কথা। তার কম্পাসের ব্যথা। তার দিকচিহ্নের প্রথা
আন্তর্জালের গায়ে গুটিবাঁধা সংসার
রুইতনের সাহেব ইস্কাবনের বিবি
হরতনের জনজন কথা
তুমি নিঃশব্দে ভেঙে দিলে
কার্যকারণ সম্পর্ক
সৃষ্টি প্রয়াসের গর্ভে ঝুরো বীজের গল্প
বীজপত্রের গায়ে সম্পূর্ণতার দাবি নেই
বীজমন্ত্রে প্রতিশ্রুতির ধ্বনি নেই
বীজতলা বুনে দেওয়ার দায়ও নেই
শুধু এক অনন্ত যাত্রা
স্বীকারেও নেই
অস্বীকারেও
আমি ভাবি মাটির রং কালো বলেই কি তার গায়ে এত স্বপ্ন লেগে থাকে
এনকোর রুণা। গদ্য পদ্য মিলিয়ে কালিমাটির ভিতর বাহিরের আলোচনা সম্পন্ন হল তোর অসামান্য কথনপদ্ধতিতে।
উত্তরমুছুন