সম্পাদকীয়
গত ২২শে ডিসেম্বর ২০১৩ কলকাতায় মহাবোধি সোসাইটি সভাঘরে ‘কালিমাটি’ মুদ্রিত পত্রিকার ১০০তম সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হলো। বিগত ৩৫ বছর ধরে এই সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়ে চলেছে ভারতের অধুনা ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামশেদপুর শহর থেকে। কিন্তু অঞ্চল বিশেষে সীমাবদ্ধ না থেকে ‘কালিমাটি’ অল্প দিনেই ছড়িয়ে পড়েছিল সারা ভারতে। তারপর যখন ইন্টারনেটে শুরু হয় অনলাইন পত্রিকা ‘কবিতার কালিমাটি’, বলা বাহুল্য, তখন ‘কালিমাটি’ ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ‘কবিতার কালিমাটি’র পর ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’। এবং তার পরেই ‘কালিমাটি’র এই দুটি অনলাইন পত্রিকাকে সম্মিলিত করে শুরু করা হয় ‘কালিমাটি অনলাইন’। এরপর একে একে সংযোজিত হয় ‘কালিমাটির কথনবিশ্ব’, ‘চারানা আটানা’, ‘দীর্ঘ কবিতা’, ‘অণুরঙ্গ’ এবং ‘ছবিঘর’। ‘কালিমাটি’র এই দীর্ঘ ‘জার্নি’ বা যাত্রায় অসংখ্য মানুষের সমর্থন, সহযোগিতা, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, উষ্ণতা পেয়েছি। এবং সেইসঙ্গে ভবিষ্যতেও পাব বলে আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস।
এই আনন্দের দিনেও আমরা অবশ্য শোকাহত হয়ে আছি, আমাদের প্রিয় কবি মণিভূষণ ভট্টাচার্যের প্রয়াণে। মণিদা ‘কালিমাটি’তে অনেক কবিতা লিখেছেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের এবং ‘কালিমাটি’র ছিল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক। আর বলাই বাহুল্য, বাংলা কবিতায় তিনি এক উজ্জ্বল কবিব্যক্তিত্ব। তাঁর কলম ছিল সাহসী ও আপোষহীন। ব্যক্তিজীবনে তিনি যে আদর্শ ও মতবাদে বিশ্বাসী এবং দায়বদ্ধ ছিলেন, তাঁর কাব্যচর্চায় তা প্রতিফলিত হয়েছে। আর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অবিচলিত থেকেছেন সেই ভাবনায়। তিনি ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’এ সম্মানিত হয়েছেন জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে। যদিও আরও অনেক বছর আগেই তা কাঙ্ক্ষিত ছিল। শারীরিক ভাবে কবি মণিভূষণ ভট্টাচার্য আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তাঁর লেখা অসংখ্য কবিতা আমাদের কাছে আছে। এবং সেই কবিতাগুলি যখনই আমরা পড়ব, মণিদা আমাদের সামনে এসে দাঁড়াবেন, আমাদের উৎসাহিত করবেন, প্রেরণা যোগাবেন; আর জীবনে সৎ ও সচেতন থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। মণিদা চিরদিন থাকবেন আমাদের মনের মণিকোঠায়।
প্রসঙ্গত ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’ সম্পর্কিত একটি কথা উল্লেখ করার আছে। আমাদের অনুরোধে অনেকেই ঝুরোগল্প পাঠাচ্ছেন সম্পাদকীয় দফতরে। আমরা তাঁদের সবাইকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সেইসঙ্গে একথা মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা কিন্তু প্রচলিত ছোটগল্প পাঠাতে অনুরোধ করছি না, বরং একটা নতুন ধারায় গল্প লেখার জন্য আহ্বান করছি, যে ধারার আমরা নামকরণ করেছি ‘ঝুরোগল্প’। যখন শুরু করেছিলাম, তখন শব্দসংখ্যা ২৫০ থেকে ৩০০র মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এখন শব্দসংখ্যা বাড়িয়ে মোটামুটি ৫০০র মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানাই। আর আঙ্গিক যেহেতু নতুন, তাই আমরা কোনো নিটোল একটা গল্প নয়, বরং নতুন ভাবনার টুকরো গল্প বা ছেঁড়া গল্প বা পরিকল্পিত অসমাপ্ত গল্প বা পরিকল্পিত অবিন্যস্ত গল্প বা না-গল্প... আসলে ঝুরোগল্প পাঠাতে অনুরোধ করছি। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’ আরও বৈচিত্র্ময় ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত আরও জানাই, আপনারা কবিতা, ঝুরোগল্প, কথনবিশ্ব’র জন্য প্রবন্ধ বা নিবন্ধ, অণুরঙ্গ’র জন্য নাটক ইত্যাদি যে লেখাই পাঠাবেন, অনুগ্রহ করে বাংলা ‘অভ্র’ ফন্টের ‘বৃন্দা’তে কম্পোজ করে পাঠাবেন। অন্য কোনো বাংলা ফন্টে কম্পোজ করে পাঠালে আমরা অসুবিধার সম্মুখীন হব।
আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ই-মেল ঠিকানা :
প্রয়োজনে দূরভাষে যোগাযোগ করতে পারেন :
অথবা সরাসরি ডাকযোগে যোগাযোগ :
গত ২২শে ডিসেম্বর ২০১৩ কলকাতায় মহাবোধি সোসাইটি সভাঘরে ‘কালিমাটি’ মুদ্রিত পত্রিকার ১০০তম সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হলো। বিগত ৩৫ বছর ধরে এই সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়ে চলেছে ভারতের অধুনা ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামশেদপুর শহর থেকে। কিন্তু অঞ্চল বিশেষে সীমাবদ্ধ না থেকে ‘কালিমাটি’ অল্প দিনেই ছড়িয়ে পড়েছিল সারা ভারতে। তারপর যখন ইন্টারনেটে শুরু হয় অনলাইন পত্রিকা ‘কবিতার কালিমাটি’, বলা বাহুল্য, তখন ‘কালিমাটি’ ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ‘কবিতার কালিমাটি’র পর ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’। এবং তার পরেই ‘কালিমাটি’র এই দুটি অনলাইন পত্রিকাকে সম্মিলিত করে শুরু করা হয় ‘কালিমাটি অনলাইন’। এরপর একে একে সংযোজিত হয় ‘কালিমাটির কথনবিশ্ব’, ‘চারানা আটানা’, ‘দীর্ঘ কবিতা’, ‘অণুরঙ্গ’ এবং ‘ছবিঘর’। ‘কালিমাটি’র এই দীর্ঘ ‘জার্নি’ বা যাত্রায় অসংখ্য মানুষের সমর্থন, সহযোগিতা, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, উষ্ণতা পেয়েছি। এবং সেইসঙ্গে ভবিষ্যতেও পাব বলে আমাদের নিশ্চিত বিশ্বাস।
এই আনন্দের দিনেও আমরা অবশ্য শোকাহত হয়ে আছি, আমাদের প্রিয় কবি মণিভূষণ ভট্টাচার্যের প্রয়াণে। মণিদা ‘কালিমাটি’তে অনেক কবিতা লিখেছেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের এবং ‘কালিমাটি’র ছিল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক। আর বলাই বাহুল্য, বাংলা কবিতায় তিনি এক উজ্জ্বল কবিব্যক্তিত্ব। তাঁর কলম ছিল সাহসী ও আপোষহীন। ব্যক্তিজীবনে তিনি যে আদর্শ ও মতবাদে বিশ্বাসী এবং দায়বদ্ধ ছিলেন, তাঁর কাব্যচর্চায় তা প্রতিফলিত হয়েছে। আর জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অবিচলিত থেকেছেন সেই ভাবনায়। তিনি ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’এ সম্মানিত হয়েছেন জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে। যদিও আরও অনেক বছর আগেই তা কাঙ্ক্ষিত ছিল। শারীরিক ভাবে কবি মণিভূষণ ভট্টাচার্য আর আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তাঁর লেখা অসংখ্য কবিতা আমাদের কাছে আছে। এবং সেই কবিতাগুলি যখনই আমরা পড়ব, মণিদা আমাদের সামনে এসে দাঁড়াবেন, আমাদের উৎসাহিত করবেন, প্রেরণা যোগাবেন; আর জীবনে সৎ ও সচেতন থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। মণিদা চিরদিন থাকবেন আমাদের মনের মণিকোঠায়।
প্রসঙ্গত ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’ সম্পর্কিত একটি কথা উল্লেখ করার আছে। আমাদের অনুরোধে অনেকেই ঝুরোগল্প পাঠাচ্ছেন সম্পাদকীয় দফতরে। আমরা তাঁদের সবাইকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সেইসঙ্গে একথা মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা কিন্তু প্রচলিত ছোটগল্প পাঠাতে অনুরোধ করছি না, বরং একটা নতুন ধারায় গল্প লেখার জন্য আহ্বান করছি, যে ধারার আমরা নামকরণ করেছি ‘ঝুরোগল্প’। যখন শুরু করেছিলাম, তখন শব্দসংখ্যা ২৫০ থেকে ৩০০র মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এখন শব্দসংখ্যা বাড়িয়ে মোটামুটি ৫০০র মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানাই। আর আঙ্গিক যেহেতু নতুন, তাই আমরা কোনো নিটোল একটা গল্প নয়, বরং নতুন ভাবনার টুকরো গল্প বা ছেঁড়া গল্প বা পরিকল্পিত অসমাপ্ত গল্প বা পরিকল্পিত অবিন্যস্ত গল্প বা না-গল্প... আসলে ঝুরোগল্প পাঠাতে অনুরোধ করছি। আশাকরি আপনাদের সহযোগিতায় ‘কালিমাটির ঝুরোগল্প’ আরও বৈচিত্র্ময় ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
প্রসঙ্গত আরও জানাই, আপনারা কবিতা, ঝুরোগল্প, কথনবিশ্ব’র জন্য প্রবন্ধ বা নিবন্ধ, অণুরঙ্গ’র জন্য নাটক ইত্যাদি যে লেখাই পাঠাবেন, অনুগ্রহ করে বাংলা ‘অভ্র’ ফন্টের ‘বৃন্দা’তে কম্পোজ করে পাঠাবেন। অন্য কোনো বাংলা ফন্টে কম্পোজ করে পাঠালে আমরা অসুবিধার সম্মুখীন হব।
আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ই-মেল ঠিকানা :
kalimationline100@gmail.com / kajalsen1952@gmail.com
প্রয়োজনে দূরভাষে যোগাযোগ করতে পারেন :
0657-2757506 / 09835544675
অথবা সরাসরি ডাকযোগে যোগাযোগ :
Kajal Sen,
Flat 301, Parvati Condominium,
Phase 2, 50 Pramathanagar Main Road,
Pramathanagar, Jamshedpur 831002, Jharkhand, India
JHURO GALPO ! Mane alga kore kichhu bola? Mane jhurjhure? Mane paak na deowa ba beshi diye shukiye fela? Besh kothin achhe bishoyti. :(
উত্তরমুছুন