কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৩

০১ ভূমেন্দ্র গুহ

তিন বার
ভূমেন্দ্র গুহ

অভিশপ্ত হয়ে আছি সারাটা শরীরে।
এ-শরীর অভিশপ্ত, রন্ধ্রে-রন্ধ্রে বুঝে নিতে থাকি।
রমণীর শরীরের সুকৃপণ রন্ধ্র থেকে উর্ধ্বপাদ-অধোমুন্ড হয়ে
এক বার বেরোতে গিয়ে ঢের পাপ করা গেছে, যেহেতু সম্যক কষ্ট, যেহেতু সমূহ
রক্তপাত ফলিয়ে তুলেছি, রমণীটি ছোট হোক, বড় হোক, যে-রকমই হোক;
ছিলুম যথেষ্ট নোংরা, ঝিল বিল ম’রে যাওয়া নদীর বিশাল মোহনা থেকে উঠে।
এবং দ্বিতীয় বার সেই গর্ভপ্রদেশের অন্ধকার বিছানায় রক্তের লোমে-অনুলোমে
নিজেকে নির্দিষ্ট দেখে : অসম সংগ্রাম ফের পৃথিবীতে পা রাখতে, হেরে যেতে থাকা
সইতে ফের পায়ে-পায়ে হেঁটে যেতে পৃথিবীর রাস্তার উপরে –- নিঃস্ব রক্তপাতে –-
যদিও এ-বার তা অন্য চেহারায়। তিন-বারের-বার ঠিক শ্মশানের নিকটের নদী—
জল, তিল, ভাঙা কুঁজো, ধোঁয়ানো চিতার কাঠ, শ্মশানবন্ধুরা, দিশি মদ,
অবিকল জলের মতোন জেগে ওঠা–- রক্ত নয়–- সাদা জল আনকোরা বাঁশের ডগায়
অবিরল –- সাদায়-কালোয় ঢাকা মাথা ফেটে গেলে।
অতএব কালাকেষ্ট যে-পালা গাইছে, তা মাথুর, ঠিক চ’লে যাওয়া নয়,
স্বর জলের উপরে
ভেসে যাচ্ছে মৃদুমন্দ সেই মোহনার জলে, যা এখন জ্যান্ত হয়ে উঠেছে সহসা—
অভিশপ্ত শরীরের অভিশাপ শোক হচ্ছে আগুনের পবিত্র নির্মোকে।


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন