কবিতার কালিমাটি ১৩২ |
বরাত
বসে আছি কতক্ষণ সোঁদা বৃষ্টি নামবে বলে
চায়ের নেশায় হতাশা আরও একবার জানান দেয়
বৃষ্টি খুঁজতে গিয়ে এক আকাশ তারা পেলাম জ্বলজ্বলে
কয়েনের মত…
মুঠোয় লুকোই, ছাড়ি
আহাম্মকের খেলা
ভাবি এই-ই বরাত
কৃষ্ণ মেঘগুলো দেখে যারা যারা ভেবেছে বৃষ্টি হবে
তাদের অনুমানের ফর্দ
ঝাপসা হয়ে গেল
মিথেনে ডোবা অন্ধকারে
সমীক্ষা
একটা বয়স্ক টেবিলে হাতঘড়ি ঘুমায় চিতি সাপের মত।
নোঙর-ছেঁড়া দোমড়ানো বৃষ্টি, ভিজে ভিজে
তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর স্তব্ধতা এমন
ঘরের ভিতর ও বাইরে একইরকম
মাছ হয়ে ঘুমোচ্ছে যেন গোটা পৃথিবীটা
কাঠের লগের ফাঁকা মাঝখানটায় শুয়ে নিদ্রিত বেড়াল
স্বাপ্নিক মর্যাদায় মোহঘোরে থাকতেই যেন একটানা
বৃষ্টির ধারাপাত
ভালোবাসা ও তৃণ চারগুণা লাফিয়ে বাড়ে!
অনুঘটক
(১)
হালকা দু’এক টানেই
সুতো ছিঁড়ে এখন সম্পর্কের মত
ঠিকমত কাটা না হলে দুয়েতেই আঁশ আঁশমত
থেকে যায়
রোমবিক্রিয়ার অনুঘটক হয়ে…
(২)
অতএব অনুঘটক হয়েই থেকে যাবে বৃষ্টি না-নামানো মেঘগুলো,
মৃতপ্রায় শ্রাবণ
অন্য আগুনে ছাপ ঝলসাচ্ছে
কী ভীষণ বহ্ন্যুৎসব লেগেই আছে প্রকৃতিতে!
ভালো কি ঠেকছে না তোমার চোখেও?
অপার মুগ্ধতা প্রিয় কবি
উত্তরমুছুন