প্রতিবেশী সাহিত্য
কবি
সদানন্দ সাহী-র কবিতা
(অনুবাদ : মিতা দাশ)
কবি পরিচিতিঃ জন্মঃ ৭আগস্ট ১৯৫৮, সিংঘয়া, কুশীনগর, উত্তরপ্রদেশ। শিক্ষাঃ এম
এ, পি এইচ ডি। অধ্যাপক। বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা ও সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে জড়িত
ছিলেন। বেশ কয়েকটা গুরুত্ত্বপূর্ণ
অনুবাদ, কবিতা সংকলন ও কবির, রৈদাস, পল্টু দাস আর প্রেমচাঁদের উপর বই
প্রকাশিত হয়েছিল।
অর্জন
সময়ের চাকা চলতে থাকে, বালি মুষ্টি
দিয়ে পিছলে যায়,
বুদবুদগুলো উঠে এবং বিলীন হয়ে যায়,
মুহূর্তগুলো মুহূর্তে কেটে যায়
মুহূর্ত
মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তন
তাও
কিছু মুহূর্ত কিছুক্ষণ
আসে
আর থমকে দাঁড়ায়
অবশেষে যখন আমরা
হিসেব করি
তখন
এই কিছু মুহূর্ত
এই কিছুক্ষণ
অর্জিত করা হয়।
একটি নারীকে বোঝা
আমি একটি নারীকে বুঝতে চাইলাম
ওর দুঃখের মাধ্যমে
বুঝতে পারলাম না
আমার
একটা গোটা জীবন শেষ হয়ে গেল বুঝতে
কি একটা নারীকে বোঝা
শুধু মাত্র ওর দুঃখকে বোঝা নয়
একটি নারীকে বোঝা
ওর স্বপ্নকে বোঝা
ওর উল্লাসকে
ওর আনন্দকে বোঝা।
পিঁপড়া
(১)
আমরা পিঁপড়া পছন্দ করি না
ওদের বিল থেকে বেরিয়ে আসা
ধাপে ধাপে চলা
এবং
বালিতে মিশ্রিত চিনি কে সংরক্ষণ
করা, এসবে
আমরা বিরক্ত বোধ করি
পিঁপড়ে!
তোমাদের নিহিত কল্যাণ
যে
আপনার বিল ফিরে যাও
বিল-এ ফেরা
মানে বাড়ি ফেরা
মানে শান্তি ফিরে আসা
যাই হোক
আজকাল রাস্তায় হাঁটা
কত বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
(২)
চিনি নিয়ে পিঁপড়েরা চলে গেল, কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে রয়ে গেল,
পিঁপড়েরা চিনি নিয়ে চলে গেল,
হাতিরা ধুলো চাটতে রয়ে গেল
পিঁপড়েগুলো
আধিপত্যের ওপর ক্ষুদ্রতার জয়ের
গল্প লিখে গেল
এবং তারা তাকিয়ে রয়ে গেল।
যারা হেরে যাওয়া
যুদ্ধে লড়ছে
রথ ভেঙ্গে গেছে,
চাকাগুলো কাদায় ডুবে গেছে,
রক্তক্ষরণকারী আত্মার উপর
তীর বর্ষণ চলছে।
আটকে থাকা চাকা
আর ডুবে যাওয়া তীরগুলোর
নিষ্কাশন পর্যন্তর
কোন অবকাশ নেই
যুদ্ধ এবং প্রেমে
যারা বিশ্বাস করে
সব কিছু ন্যায্য
তারা কোন নিয়ম বা নৈতিকতার দাস নয়
নিয়ম তাদের জন্য যারা হেরে যাওয়া
যুদ্ধে লড়ে
নৈতিকতা রয়েছে, আইন রয়েছে
বিধান রয়েছে
একটি হেরে যাওয়া যুদ্ধ যারা লড়ছে
ওরা সহানুভূতির জন্য ভিক্ষা করছে না
আত্মসমর্পণ করে না,
মুখ ফিরিয়ে নেবে না
যারা ক্ষত বিক্ষত অস্ত্র
আর আহত আত্মার সাথে লড়াই করে,
তারা হেরে গেলেও
পরাজিত হয় না।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন