কবিতার কালিমাটি ১১৩ |
জলছবি
বেঁচেই আছি বাঁচছি বেশ
চশমা এঁটে পক্ক কেশ।
জীবনটা কী? জানি কী কেউ?
মিথ্যে শুধু গুনছি ঢেউ।
বাড়ছে যত বাঁচার আশা
যাচ্ছে বেড়ে ক্ষুৎপিপাসা।
কীসের খোঁজে ইঁদুর দৌড়
ছুটছে লোকে ছুটছে জোর।
দিনটা আসে দিনটা যায়
চমকে খসা ঝরাপাতায়
কলকলানো নদীর পাশে
চুপটি করে মৃত্যু আসে।
দ্বন্দ্ব
জল আগে না পানি?
আমরা কী তা
জানি?
ওসব জানতে গেলে
আগে
পেতে হয় জলপানি।
গড বড় না আল্লা?
কার যে ভারি
পাল্লা?
পরনে তাদের
হ্যাট-কোট-বুট
না কি আলখাল্লা?
হিন্দু না মুসলিম?
উচ্ছে না কী
নিম?
মরার পরের ভয়
না পেয়ে
বাঁচ্ না ভীতুর
ডিম।
আল্লা হরির
ভক্ত?
এদের মেলা শক্ত?
কাটলে পরেই
দেখতে পাবে
লাল দুটোরই
রক্ত।
কাঁটাতার
আমরা পাখিরা
উড়ে যাই কতদূরে
কত দেশ-গ্রাম
ইয়ত্তা নেই তার
মানুষেরা শুধু
ঝগড়া-বিবাদ করে
মানুষের শুধু
দেশভাগ কাঁটাতার।
আমরা নদীরা
বয়ে যাই কত দূরে
পাহাড়ের থেকে
দূর সাগরের পার
মানুষেরা শুধু
দ্বন্দ্ব-বিবাদ করে
মানুষের শুধু
দেশভাগ কাঁটাতার।
আমরা আলোরা
সূর্যের থেকে এসে
ভেদাভেদ ভুলে
ঘোচাই অন্ধকার
মানুষেরা শুধু
দ্বন্দ্ব-বিবাদ করে
মানুষের শুধু
দেশভাগ কাঁটাতার।
আমরা মেঘেরা
হাওয়ার ডানায় ভেসে
কত পথ চলি হিসেব
থাকে না তার
মানুষেরা শুধু
দ্বন্দ্ব-বিবাদ করে
মানুষের শুধু
দেশভাগ কাঁটাতার।
মানুষেরা কেন
কাঁটাতার ভালোবাসে?
হিংসা বা দ্বেষে
কেন যে বিবাদমান!
কেন যে শেখেনি
ভালোবেসে বেঁচে থাকা,
নদী বা বাতাস,
মেঘ-পাখিদের গান।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন