কবিতার কালিমাটি ১১৩ |
মনোরথ
মেঘেদের উদোম
গায়ে নিজেকে বিছোবার স্বপ্ন দেখে রোদ
আমার প্রেমের
কবিতাগুলি দুরন্ত বাতাসে আশ্রয় খোঁজে
নিতান্ত নির্বোধ
পরিদৃশ্য যত
জলছবি ধ্বস্ত হয় জমাট কুয়াশায়
অবোধ আলোক-পাখিরা
ফিরে গেছে বহুদিন আগে
কুহেলির ঘন
তমসায়
যা পাওয়ার
কথা ছিলো সেই প্রবঞ্চনা আজ মূর্ত
বিরহ-জনিত শব্দেরা
মেনেছে
সামগ্ৰিক বহমানতার
শর্ত
তুমি ফিরিয়েছো
নদীপথের মোড়
পাহাড় চূড়ার
দিকে
সাগরের বুকে
জ্বালিয়েছো আগুন
নিভতে দাওনি
তাকে
ভালোবাসার হাতছানিতে
একদিন
পেরিয়েছিলাম
অসম্ভবের পথ
সেদিন তোমার
তর্জনী হেলন
আমার অপূর্ণ
মনোরথ।
তমসা
প্রত্নতাত্বিক
গন্ধ নিয়ে গ্লানিহীন অমানিশা
উজ্জ্বল নক্ষত্রের
স্বল্পালোকে
আমি তুমি এক
বিভেদের রঙ
নেই -- সাদা-লাল-নীল
তোমার হাত,
বুক, চিবুক, কুন্তল
সব এক রঙ
চেতনার নির্নিমেষ
দৃষ্টি দিয়ে দেখা
অনুভব অনুভুতি
সব এক রঙ
তমসা তুমি এক
ঈশ্বর
বৈষম্যবিহীন
করো চরাচর
তমসা তুমিও
এক ঈশ্বর।
যথার্থ
ছিলো নিরন্তর মুখরতার
শ্রুতিমধুর
রাগিনী
ছিলো গুঞ্জরিত
প্রীতিময় উচ্ছ্বাস
ছিলো সেই সময়
পায়ের নীচে শক্ত মাটি
আর ছিলো সম্পূর্ণ উন্মুক্ত আকাশ
এর সাথে ছিলো
তোমার প্রেমের
অনাবিল অনুভূতির উষ্ণ পরশ
ঠিক তখনই, ঠিক
তখনই
অনেক দূরে মেঘের
একটা টুকরো
মুখ ভেংচে বলেছিলো
আকাশটা প্রচন্ড
মিথ্যেবাদী
আর মাটি? আরও
মিথ্যুক।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন