কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

অভিজিৎ মিত্র

 

সিনেমার পৃথিবী – ১০ 




আগেরবার আফ্রিকার সিরিয়াস সিনেমা নিয়ে বলতে গিয়ে আমার ছোটবেলার এক মুভির কথা বলতেই ভুলে গেছি। সেটা সম্ভবত ১৯৮৫ বা ৮৬ সাল। আমি তখন ফাইভ বা সিক্সে পড়ি। সেই সময় (বয়স্ক পাঠকের হয়ত মনে থাকতে পারে) ইংলিশ সিনেমার চল পশ্চিমবঙ্গে তত ছিল না। সিনেমা হলগুলোয় বাংলা বা হিন্দি ছবিই আসত। কোথাও কোথাও মুভি ক্লাব ছিল যেখানে বাড়ির বয়স্করা গাঁটের কড়ি খরচ করে মেম্বার হিসেবে সপ্তাহান্তে এইসব বিদেশি সিনেমা দেখতে যেতেন। আর আমাদের মত ছোটদের (বা বাড়ির মহিলাদের) পাড়ায় পাড়ায় যখন ভি-সি-আর শো হত, তার ওপর ভরসা করে বসে থাকতে হত। সেই রকম এক ভি-সি-আর শো-তে শনিবার পাশের পাড়ায় ছোটকাকার সঙ্গে দেখতে গেছিলাম ‘হাটারি’ (১৯৬২) – জীবজন্তু ধরে খাঁচায় পোরা একদম ভাল লাগে নি। আর পরেরদিন দেখতে গেছিলাম ‘গডস মাস্ট বি ক্রেজি’ (১৯৮৪) – ফাটাফাটি হাসির সিনেমা। আজ এটা দিয়েই শুরু করব। আফ্রিকার পরিচিত দারিদ্র, জীবনসংগ্রাম, গৃহযুদ্ধ, কুসংস্কার ছাড়িয়ে একটু অন্যরকম মুভি নিয়ে আলোচনা করব। সে হাসির ছবি হোক বা হোমোসেক্সুয়াল।

‘গডস মাস্ট বি ক্রেজি’ সাউথ আফ্রিকার ছবি। পরিচালক জেমি ওয়েস। দমফাটা  হাসির সিনেমা। এরোপ্লেন থেকে কালাহারি মরুভূমির ওপর এক কোকো-কোলার খালি বোতল ফেলা হয়। সেটা হাতে আসে মরুভূমির শিকারী গোষ্ঠীর হাতে এবং তারা বিশ্বাস করতে শুরু করে এটা ভগবানের দান। কিন্তু সেই বোতল নিয়ে এমন কিছু কান্ড ঘটে যে তারা ঠিক করে ভগবানের জিনিস আবার ভগবানকেই ফিরিয়ে দেবে। সেই গোষ্ঠীর এক শিকারী ক্সি-র ওপর দায়িত্ব পড়ে বোতল ভগবানকে ফিরিয়ে দিয়ে আসার। বোতল হাতে ক্সি তার যাত্রাপথে কি কি  কান্ড ঘটাতে ঘটাতে যায় ও কিসে কিসে জড়াতে জড়াতে যায়, সেই নিয়ে এই হাসির ছবি। এর দু’নম্বর ভাগ বেরিয়েছিল ১৯৮৯ সালে। যেহেতু পুরো সিনেমাই আউটডোর শুটিংয়ে হয়েছে, তাই কালাহারি মরুভূমির সৌন্দর্য ভাল লাগবে। এবং কোন স্পেশাল এফেক্ট না থাকলেও সহজ সরল উপজাতিদের জীবনযাপন ভাল লাগবে যারা সভ্যতার অগ্রগতি সম্বন্ধে প্রায় কিছুই জানে না। 

এরপর আসব সেনেগালের সেই বিখ্যাত পরিচালক উসমান সামবেনে-র আরেক ছবিতে - ‘ক্সালা’ (১৯৭৫)। অদ্ভুত গল্প। হাসি পাবেই। তবে হাসির মোড়কে ঢাকা  পলিটিকাল গন্ধ নাকে আসতে বাধ্য। আফ্রিকার পলিগ্যামি কালচার নিয়ে এই হাসির ছবি। ছবির শুরুতেই আমরা দেখি সেনেগাল স্বাধীন হয়েছে। সেই স্বাধীন দেশের এক মুসলিম ক্ষমতাশালী ধনী ব্যবসায়ী এল-হাদি তৃতীয়বারের জন্য বিয়ে করছেন। এবং সেই বিয়ের রাতেই আবিষ্কার করছেন যে তার পুরুষত্ব চলে গেছে। উনি ধরে নিলেন যে তার আগের পক্ষের দু’বউ-এর ভেতর কেউ নিশ্চয়  তাকে এই অভিশাপ দিয়েছে। ফলে উনি দৌড়ে বেড়াতে শুরু করলেন, বিভিন্ন রকম তুকতাক, যাতে এই অভিশাপ কেটে গিয়ে তার পুরুষত্ব আবার ফিরে আসে। তার জন্য প্রচুর খরচ করতে শুরু করলেন এবং তার উপার্জিত অর্থ তলানিতে চলে এল। কিন্তু এই দীর্ঘ চেষ্টা, দীর্ঘ যাত্রার ভেতর উনি দেখেও দেখলেন না তার আশেপাশে যত ভিখিরি রয়েছে বা যাদের ঠকিয়ে উনি এদ্দিন বড়লোক হয়েছেন, তাদের ভেতরেও কেউ হয়ত তাকে এই অভিশাপ দিতে পারে।

হাসি আছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু তার ফাঁকে এটাও লুকিয়ে আছে যে স্বাধীনতার পর আফ্রিকার নেতাদের লোভ আর লালসা তাদের কীভাবে অমানুষে বদলে দিয়েছে।  ঐ পুরুষত্ব হারিয়ে যাওয়া আসলে রাজনৈতিক ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার প্রতীক, যেটা হলে নেতারা পাগল হয়ে যেতে পারেন এবং যা খুশি করতে পারেন (আমার তো মনে হয়, এই মুহূর্তে আমাদের দেশের জন্যও এটা প্রযোজ্য)। সিনেমা শুরুর  কিছু মিনিট আপনাকে আটকে রেখে দেবে। দেখুন।  

‘হাফাউইন: বয় অব দ্য টেরাসেস’ (১৯৯০) তিউনিশিয়ার পরিচালক ফেরিদ  বাউডিয়ার-এর প্রথম ফিকশন ছবি। বলা যেতে পারে এটাই তিউনিশিয়ার প্রথম আর্টফিল্ম। যদিও হাসি আর ড্রামায় আদ্যোপান্ত, তবুও বলে রাখা ভাল যে এই সিনেমায় প্রচুর ন্যুডিটি আছে। নৌরা নামক এক বাচ্চা ছেলে টিনেজ হয়েছে। ফলে তার বয়হুড কাটিয়ে সে এবার আস্তে আস্তে পুরুষ হতে চলেছে। কিন্তু যেহেতু ছোট, তাই এখনো সে তার মা-আন্টিদের সঙ্গে তিউনিশিয়ার বিখ্যাত হামামে যায়, যেখানে অনেক মহিলারা স্নান করতে আসে। সেখানে গিয়ে সে মহিলাদের খোলা বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে, বাইরে এসে সেই নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করে। একবার ধরা পড়ে গিয়ে হামামে সে মার খায়, তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর সে না পারে মহিলাদের সঙ্গে যেতে, না পারে পুরুষদের কাছে মিশতে। কারণ আকারে সে এখনো ছোটখাটো। এরপর সে তার পরিবারের আরেক যুবতী মহিলাকেও খোলা গায়ে দেখার জন্য উৎসুক হয়।   

এই সিনেমায় বাউডিয়ার বেশ পটু হাতে একসঙ্গে কয়েকটা জিনিস দেখিয়েছেন:  ১) তিউনিশিয়ার সুখী জীবনধারা, ২) তিউনিশিয়ায় পুরুষ ও মহিলার জটিল সম্পর্কতত্ব, ৩) এক বালকের মনে যৌনতার উপলব্ধি আসা ও তার বড় হয়ে ওঠার মুহূর্ত। আরবিক মিউজিকের তালে আর তিউনিশিয়ার সারি সারি সাদা  ছাদের ল্যান্ডস্কেপে এই ছবি মন্দ লাগবে না, বিশেষ করে আফ্রিকার মত রক্ষণশীল দেশ থেকে এই সিনেমা বেরোন তো দারুণ ব্যাপার।  

এবার হাসি ছেড়ে অন্য রকম কিছু গল্পে আসা যাক। চাড দেশের পরিচালক মহমত সালে হারুন ২০০২ সালে তৈরি করেন সিরিয়াস ড্রামা ‘আবুনা’ যার অর্থ ‘আমাদের বাবা’। শৈশব ও কৈশোর মনস্তত্বকে পরিবার-পরিজন দূরে সরে যাওয়া  কীভাবে প্রভাবিত করে, সেই নিয়ে এই ছবি। দু’ভাই, ১৫ বছরের তাহির আর ৮  বছরের আমিন, এক শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে তাদের বাবা তাদের ছেড়ে অনেক দূরে কোথাও (মরক্কো শহরে) চলে গেছে। তাদের চোখের সামনে একে একে সবকিছু বদলে যায়। তাদের মা দিশেহারা হয়ে দুজনকে এক স্কুলে রেখে দেয়। কিন্তু দুজনে প্ল্যান করে স্কুল পালিয়ে তাদের বাবাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। অবশেষে বড় ভাইয়ের সঙ্গে একটি প্রতিবন্ধী মেয়ের মানসিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সিনেমার গতি স্লথ। তবে ভাল লাগবে দৃশ্যায়ন। এবং দুই বালকের জার্নি যারা জীবনে কোনদিন নিজের মরুভূমির মহল্লা ছেড়ে কোথাও বেরোয় নি। আনকোরা দুজন ছেলে কেমন অভিনয় করল, সেটাও দেখার।   

এক ১২ বছরের মেয়ে চন্দা, নিজের ছোট বোনের মৃত্যুর পর কফিনের দোকানে কফিন কিনতে গেছে। কারণ তার মা শোকে পাথর হয়ে গেছে। আর বাবা মদ  খেয়ে বেহুঁশ। ফলে একজন বারো বছরের মেয়ের যা কোনদিন করা উচিৎ নয়, আজ তাকে সেটাই করতে হচ্ছে। এই থিম নিয়েই শুরু হচ্ছে সাউথ আফ্রিকার ছবি ‘লাইফ, অ্যাবভ অল’ (২০১০)। পরিচালক অলিভার স্মিট। এরপর ছায়াছবি  যাচ্ছে তার আসল জায়গায়। গোটা এলাকায় এক গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ঐ বালিকার মৃত্যুর আসল কারণ এইডস। এবং সত্যি মিথ্যে যাচাই না করেই  গোটা এলাকার মানুষ সেই পরিবারের সবাইকে একঘরে করে দেয়। আফ্রিকার মত এক পিছিয়ে পড়া দেশে যেটা বাস্তব। এই ছবি সেই ভুল প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিনেমা। এক বাচ্চা মেয়ে আর তার মা-র। 

এই ছবি কান ফিল্ম ফেস্টিভাল আর অস্কার, দুটি বিভাগেই নমিনেটেড হয়েছিল। দৃশ্যায়ন ভাল। আরো ভাল শেষ দিকের মন ছুঁয়ে যাওয়া সঙ্গীত।  বিখ্যাত চিত্র সমালোচক রজার এবার্ট এই সিনেমাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। আমি ততটা দরাজ হতে না পারলেও এইডস-এর মত বিষয়ের গুজব ও অস্পৃশ্যতাকে যেভাবে এই সিনেমায় তুলে আনা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে মতামত তৈরির চেষ্টা হয়েছে, তার জন্য পরিচালককে হ্যাটস্‌ অফ বলব।  

‘হায়েনাস’ (১৯৯২) সেনেগালের ছবি। পরিচালক ‘তুকি বুকি’র ডিব্রিল ডায়প  মাম্বেতি। এই সিনেমা মানুষের মনস্তত্ব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ছবি। ১৯৫৬ সালের এক নাটকের আধারে। এক ছোট্ট গ্রামের দোকানদার দ্রামান। আর সেই গ্রামের টিনেজ মেয়ে লিঙ্গের। দ্রামানের প্রেমিকা। প্রেমের অবাধ মেলামেশায় লিঙ্গের প্রেগনেন্ট হয়ে পড়ে। কিন্তু দ্রামান সেই বাচ্চার দায় নিজের কাঁধে নিতে অস্বীকার করে। বরং লিঙ্গের-এর চরিত্র খারাপ দেখানোর জন্য টাকা দিয়ে আরো দুজনকে খাড়া করে যারা গুজব ছড়িয়ে বেড়ায় লিঙ্গের-এর সঙ্গে তাদের-ও শারীরিক যোগ আছে। লিঙ্গের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। তিন দশক পর লিঙ্গের আবার সেই গ্রামে ফিরে আসে, একজন বিত্তশালী মহিলা হিসেবে। তখন দ্রামান সেই গ্রামের একজন গণ্যমান্য। এবং গোটা গ্রাম অর্থকষ্টে ভুগছে। তারা দ্রামানকে সেই মহিলার কাছে পাঠায় যদি তার হাতে লিঙ্গের কিছু অর্থসাহায্য করে। কিন্তু এবার লিঙ্গের গ্রামে ফিরেছে এক অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে। সে গ্রামের লোকেদের প্রস্তাব দেয়, তারা যদি দ্রামানকে মেরে ফেলে, তাহলে সে গ্রামের প্রয়োজনীয় সমস্ত অর্থ যোগান দেবে।

সাইকোলজি নিয়ে জটিলতা যত এগোয়, তত গ্রামের বাইরে হায়েনা আর  শকুনের ভিড় বাড়ে। সাংঘাতিক মোটিফ। এবং সমুদ্রের ধারে লিঙ্গের অস্থির পায়চারী করতে করতে বলছে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যাজ মেড মি এ হোর, সো আই উইল মেক দ্য ওয়ার্ল্ড এ হোর-হাউজ’। এখানে মাম্বেতি দারুণভাবে দেখিয়েছেন লোভ-লালসা মানুষের মনস্তত্বকে কীভাবে পরিচালিত করে, প্রতিহিংসা মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। হায়েনার ভ্রাম্যমান মোটিফে।   

শেষ ছবি এসেছে আফ্রিকার গিনি দেশ থেকে। মহম্মদ কেমারা-র ‘ডেকান’  (১৯৯৭)। হোমোসেক্সুয়ালিটি নিয়ে সিনেমা। আফ্রিকায় প্রথম। কি হল, ধাক্কা খেলেন? হোমসেক্সুয়ালিটি, তাও আবার আফ্রিকা থেকে? হ্যাঁ, এটাই সত্যি। আর এই সিনেমাই পথ দেখিয়েছে ভবিষ্যতের ‘রফিকি’ (২০১৮) বা ‘দ্য উন্ড’  (২০১৭)-র মত আফ্রিকান সিনেমাকে।

দুজন স্কুলছাত্রের হোমোসেক্সুয়াল ভালবাসা, সেই নিয়ে ছবি। বলতেই হয়, অভিনয় বা পরিচালনা বা ক্যামেরার কাজ, কোনোটাই ভাল নয়। কিন্তু ১৯৯৭ সালে এই থিম নিয়ে ছবি তৈরি করা এবং গিনির সরকার এই সিনেমার ফান্ডিং বন্ধ করে দেবার পর পরিচালক সাহস দেখিয়ে নিজের টাকায় এই ছবি শেষ  করেন, এতগুলো কারণের জন্য একে লিস্টে রাখলাম।   

আফ্রিকান সিনেমার এই দু’পর্বে যে ১৫টা ছবি নিয়ে আলোচনা করলাম, তার  বাইরেও আফ্রিকাকে নিয়ে আরো বেশ কিছু দারুণ সিনেমা হয়ে গেছে, যেগুলো  সারা পৃথিবীতে যথেষ্ট সমাদৃত ও পুরষ্কৃত হয়েছে। আমারও বেশ ভাল লেগেছে। নিচে সেইরকম তিনটে সিনেমার নাম দিলাম। উৎসাহী পাঠককে অনুরোধ, এগুলো দেখবেন। ইচ্ছে থাকলেও এগুলো আলোচনায় নিয়ে আসতে পারলাম না কারণ এগুলোর কোনোটাই আফ্রিকান পরিচালকের বা আফ্রিকান প্রযোজকের বা আফ্রিকার মাটিতে প্রথম রিলিজ হওয়া ছবি নয়। ফলে এগুলো আফ্রিকাকে নিয়ে ছবি হলেও, আফ্রিকান সিনেমা হিসেবে ধরতে পারলাম না।

প্রথম ক্লাসিক ছবি ‘দ্য ব্যাট্‌ল অব আলজেয়ার্স’ (১৯৬৬)। তৈরি করেছেন  ইতালিয়ান পরিচালক গিলো পন্টেকর্ভো। আলজেরিয়ার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। আগের পর্বে এর উল্লেখ করেছিলাম। এরপর ‘হোটেল রয়ান্ডা’ (২০০৪)। রয়ান্ডার হুটু  আর টুটসি প্রজাতির অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং গৃহযুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে তৈরি ছবি। ছবির পরিচালক টেরি জর্জ একজন আইরিশ। এই সিনেমায় এক হোটেল ম্যানেজারের ভূমিকায় ডন চিড্‌লের লো-টোন অভিনয় প্রশংসাযোগ্য। শেষ ছবি ‘দ্য লাস্ট কিং অব স্কটল্যান্ড’ (২০০৬), উগান্ডার স্বৈরাচারী নেতা ইদি আমিনকে নিয়ে তৈরি। স্কটিশ পরিচালক কেভিন ম্যাকডোনাল্ড। এখানে মনোযোগ দিয়ে দেখুন ফরেস্ট হুইটেকারের অভিনয়। আমি তো ইদি আমিনের ভূমিকায় এই হুইটেকারের সঙ্গে ১৯৮৮র ‘বার্ড’ ছবিতে চার্লি ‘বার্ড’ পার্কারের অভিনেতা হুইটেকারকে মেলাতে পারিনি। 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন