কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

উমাপদ কর

 

কবিতার কালিমাটি ১০৪


চতুর দশপদী

 

(৪৬)

 

কলঘরে সাবানের ফেনা ছেয়ে আছে,

বাবল্‌ উঠছে ফাটছে, ভীষণ শব্দ।

ঢুকতেই পারছি না, অথচ স্বাধীন।

ঢুকলে বেরোতে পারব না ঘনভয়।

 

এত করতালি ড্রপ খাচ্ছে বিছানার

আশেপাশে, ঘুমনাশ, অথচ স্বাধীন।

আঁঠা-সাটা সব খাবারের পাত্র ন্যাকা,

কী যে খাব ক্ষুধা জানে না, মাতাল শনি।

 

স্নান বন্ধ, ঘুম খোঁড়া, খিদের হর্মোন

ঘুমিয়ে পড়েছে, পতাকা উড়বে আজ।

 

(৪৭)

 

আঁকা থেকে একজন মানুষের হাড়

দাগ থেকে একজন পুরুষের নাক

বিন্দু থেকে একজন নারীর আঁচিল

স্পষ্ট হতে থাকে। গরম ফুলুরি ভাজা।

 

দেহ দহে পড়ে থাকে লাল মহিষের

নদে ভেসে-ডোবে নীল শুশুকের পিঠ

সরোবরে পদ্ম আর শালুকের বিয়ে

শুকনো খালের কোণে লাশ কথা বলে।

 

হাসি আর নাই হাসি, কানপাশা হাসে

শাড়িটাও চেনা, প্রিয় গোপাল বিষয়ী।

 

(৪৮)

 

পাখি-ঠোঁটে এক টুকরো আলোর গান

ভাঙা-ঘুম-আমি কানে পেয়ে উঠে বসি।

জানলার কাচে বাসি রাতের কিছুটা

আমার কার্নিশ থেকে উড়ে যেতে চায়।

স্বপ্নটাকে রানওয়ে ধরে আরেকটু

ঠেলে দিতে মশারির মাংস সরাই।

 

গড়াতে গড়াতে মানচিত্র রং-চং

মেখে চায়ের টেবিলে, লিকার মোটেই

মুখে রোচে না জানালো, আমি— ‘কতদিন

পেটে সুড়সুড়ি দিতে দাও না, বলো তো!’

 

(৪৯)

 

ছর্‌রা হাসির বন্দুক-ছর্‌রা ছড়া,

সস্‌প্যান-ভরা উথলানো অভিমানে

একফোঁটা রাগ ছানা কেটে অনুরাগ,

জাফরির দেহ কেটে আলো-অন্ধকার।

 

আলো আসে, রিক্‌শোয় চেপে ফিরে যায়,

সাইকেল-ক্যারিয়ারে আসে অন্ধকার,

স্ট্যান্ড করে রাখে, ফিরি ফিরি মুখে বলে

ফেরে না মোটেও, বাস্তু ভিটে মনে ধরে।

 

নেলপালিশে বুকের হাড়, লিপস্টিকে

চোয়াল রাঙিয়ে নাজুক আসনপিঁড়ি।

 

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন