কবিতার কালিমাটি ১০৪ |
গানবাড়ি
(১৯)
যে দিকে রাস্তা
ছিল ওড়নাভ্রমে ক্রিক-রো’র দিকে একা একটা রেস্তোঁরার ভাঁজে রাখা ডিসেম্বরের বাহানা
লুটি তাকে
যে আমার ছিল
না, পল সেজাঁরও না
লুঠ করে
রং নিয়ে দেখি
এক পল্টনের মার্চপাস্ট, যারা তীব্র শাসক
বুট আছে
নিচে স্টাড
যে দিকে রাস্তা
ছিল
বা ছুঁলো বলে
একা একেকটা
রেস্তোঁরার ভাঁজে রাখা অপেরাখোরাক রাত ফেটে
কলকাতা হল
রাস্তাটা এখনো
আছে, বাহানাও
না হলে তুমি
ঠিক তুমি হতে
না
(২০)
গান রবিঠাকুরের
আগে
বা পরে
গাছের আগে বা
পরে
সাইকেলের আগে
বা বেল বাজাবার
কথা নয় তবু বেজে ওঠার পরেই
চমকে ওঠা বা
না-ওঠা চোখের ঝাঁপিতে
গান
আর বাড়িতে নেই,
লায়েক হয়েই রোদ গায়ে টম্বুর
টই টই করছে
অশুদ্ধ আর ডি
শুদ্ধ কল্যাণে
আবহাওয়ায় কীসব সারাচ্ছে
রবি ঠাকুর নয়,
টেগোরও নয়
একটা চাখানায়
বসে যাকে ডেকেছিলাম সে আর আমি
ও একটা নদীও
ও নদীরে গেয়ে
ওঠার আগে বা পরে
বাঁধ ভাঙল
ভাসিয়ে দিলাম
গানছবিলা স্ট্রং-রুমের পাখিদের
জল রং
কী অবাক জল
রং
(২১)
কয়েকটা আসা
যাওয়া
সাঁকো লাগা
দুপুরের দিকে
যে লোকটা লোক
ঘুঘু নয়
বাস্তু নয়
বিশ্বাসী নয়
তিনটে নয় নিয়ে
যাদের জীবন
তাদের আবার
জীবন কীরে!
খুব একা
একা-অতিরিক্ত
শীত হল
শীতে সে বাড়ি
যাবে
বাড়িতেই তো
যাবে সে অনেকটা পথ বা রাস্তায়
বাড়ির সন্ধ্যাগুলো
রং ছিল মাষকলাইয়ের,
লোকটার
পায়ে সাঁকো
সাঁকো লাগা
সে এক আশ্চর্য দুপুর
গান ছেড়ে দিয়েছিল
বাড়ি কিছুই
বলেনি, সাঁকো পেরিয়ে যাওয়া
ফিরে আসা
দরজায় নক করা
বাড়ির অভ্যাস
আসা যাওয়ার
ভেতরে যে বাড়িটা আমার
ওটাই কী তোমার
লোকটা ঘরে ঢুকে
বলল, ছেলে মেয়েরা কোথায় সব
লোকটার গলায়
গান
গান এক সরু
বদমায়েসি
সাঁকো জানত না…
(২২)
একটাই রাস্তা,
ওদিকে উন্নয়নী, এদিকে বিকাশ
উন্নয়নী
নয়নী
বিকাশ
বিকু
নেতাজি তরুণ
সংঘ পেরোলেই রোজ সূর্য ওঠে, ডোবে
বিদ্যুৎ দামী
গ্যাসও
বিকাশের কাছে
উন্নয়নী বা কাছে যাওয়ার তাগিদে বানানো রাস্তাটা
‘না হয় আমি
তোমার কাছে ছিলেম অতি নগন্য’র মত
মত শব্দটা চিরকালীন
প্রতিমা বন্দ্যোপাধায়ও,
তাই না?
উন্নয়নীর বাবা
উন্নয়ন আর বিকাশের বাবা নরেন
বন্ধু ছিল
এই রাস্তা আর
ওই গানটা, একটা গান লিখো গো ইত্যাদিতে তৈরি হচ্ছিল যুক্তফ্রন্ট সরকার
রাস্তা আর গানের
সম্পর্কে এখনো অনেক জটিলতা
বাড়িগুলোর ছায়া
ও রোদ
দুর্দান্ত!
উত্তরমুছুন