কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০

তাপসকিরণ রায়



কবিতা 



মৃত পাখিদের ঝাঁক
                               
কখনও আনাড়ির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে তুমি উড়ে যাওয়া পাখির ঝাঁক দেখো
তখন স্বপ্নময় চোখে মাখা মুখে মাখা মায়াময় প্রেমিক অথবা প্রেমিকার মত 
সেই তুমিই আবার কখনও অনায়াসে চিবিয়ে খাচ্ছ সেই পাখিদের হাড়গোড় ও সুস্বাদু ঠ্যাং 
নিজেকে একটু আড়াল রাখতে চাইছ, খেতে গিয়ে সে সব দৃশ্যমান কথা মনে আনতে চাও না। 
তাই একটা পার্টিশন রাখা আধো অন্ধকারে বসে থাকো।
আবার এক পড়ন্ত বিকেলে প্রেমের ভাবঘোরে চেয়ে দেখো হলুদ পড়ন্ত রোদের বেলায় 
পাখিরা ফিরে যাচ্ছে আপন কুলায়।
তখনো একটা আড়াল টেনে নিয়েছ তুমি, পৃথিবীর সব দৃশ্য সেখানে আধখানা রয়ে যায়,
এক দিকে মায়া-মমতা ও ভাবনার ঢল নামে, অন্য দিকে লেহ জিহ্বা-রসনাতে   
মৃত পাখিদের ঝাঁক নেমে আসে।


সময় যেতে যেত

সময় যেতে যেতে 
কিছু জীবনের ফেলে আসা পাঁক খুঁজে ফিরি 
একটা জলাশয়ে রাখা ছিল আমার পদ্মভ্রমর-- 
আর সেই রাজকন্যা। 
এখনও উদ্ধার হল না--
অযথাই কিছু কালিমা লেগে গেছে শরীরে 
গঙ্গাজল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ধুয়ে মুছে যাবে কিনা কে জানে!
তবু নিবেদন করি, আমার অনাথালয়, 
সেই পাঁকে জন্মাতে পারি যদি একটি পদ্ম-- 
তুমি দেখে নিও, 
সেই চরিত্রহীনতা ধীরে ধীরে মুছে যাবে।


তবু অন্ধকার 

তবুও অন্ধকারে একটা জায়গা রাখা আছে,
 
যেখানে বিশ্রাম নিতে হয়। 
ব্যতিক্রমী কিছু দিক আছে, সে জাগার গিঁট 
আর বুঝি খোলা যায় না।
নিজেই নিজেকে শুধোই,
তবু এগোতে হবে, হয়ত একদিন
দিগন্তের আলো ছুঁয়ে 
অন্ধকারকে সহজেই আলিঙ্গন করা যাবে।


1 কমেন্টস্: