কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯

কমল দাস




যা হয়নি

নবজাতকের কোন বিশ্বাস থাকে না।
বিশ্বাস শব্দটাই ব্যবহৃত হয় স্বার্থের
দোলাচলে নিয়ত। 
সংস্কার থেকে আসে নি কোন মুক্তি
অথবা প্রবহমান চিন্তার বৈপরীত্য।
তবুও শরীর বিনষ্ট হলে আত্মার দোহাই বলে আরও এক জন্মকথা।
শরীরের চেয়েও মন নাকি মূল্যবান
হাজার বছর ধরে শূন্যতায় যোগ বিয়োগ - পরিণত হয়ে আজও
সহশ্রদল পদ্ম পাঁপড়ি খোজে এক 
পরম বিশ্বাসে। আরও এক বিপন্ন 
মানসে বেঁচে থাকা অথবা ঠিকঠাক 
মন্ত্রোচ্চারণে পিন্ড প্রদান।

বিশ্বাস থাকে না নবজাতকের
অর্জন করা সে আয়োজন শুধু 
ক্ষমতা, অর্থ, নীতিবোধের 
এক প্রবল পরাক্রান্ত হিসেবী 
ক্ষয়ে যাওয়া প্রচল ব্যবস্থার গলিত শবের জন্য।
ঠিকঠাক বেঁচে থাকার অর্থ ঠিকঠাক 
মানুষের জন্য নতুন বিশ্বাসী হয়ে ওঠা


অভিব্যক্তি

মুখোশেরা হাসে মুখোশেরা কাঁদে
মুখোশেরা কথা বলে সুনিপুণ অঙ্কের ভাষায়
হৃদয়ের নরম মাটি পুড়ে গেছে কবেই
মাপা হাসি মাপা দুঃখ রসহীন গর্বিত জীবন।

এই বেশ ভাল আছি অনুভুতি নিক্ষেপে--
কথাকে গোপন করে নিজের ইমেজে।


ব্যক্তিগত

জীবনের সব রং মুছে গেছে
আমারই ক্ষণিক ভুলে
বিশ্বাস চুরি গেছে শঠতায়
 একগাল হাসির বিনিময়ে।

 শুধু দেবশিশু এক অপাপবিদ্ধ
বিস্ময়চোখে পৃথিবীর আলো দেখে
বিড়ালের নিঃশব্দ চলাচল
জীবনের সব রংএ মাখামাখি
ভাগ করে অনাবিল আনন্দে।

এসব চলে আজ সভ্যতার জঞ্জালে
তবুও জীবন চলে মুখোশের আড়ালে
যতেক অর্থের গরীমায়।
যে রক্তের বিনিময়ে প্রাণ আসে
সে রক্ত যদি ধুলায় গড়ায় সেও তো
প্রাণ একইতর পশু চেয়ে দেখে
খুঁজে দেখে সন্তানের যাবতীয় সুখ।

দেবী আসে দেবী যায় বিসর্জন শেষে
বোধনে বিসর্জন আজ নিজেরই আত্মজ
তবু মুখোশে নেই কোন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া
মানুষী মুখ আজ হিংস্রতার বিষে নীল।



0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন