মেটামরফোসিস
তারপর ধর জীবন! জার্মান, না চেক! আত্তিকরণ, না করেছ, ‘তো মরেছ! অথচ সে মিশতেই চায়, চাইলেই
কি আর সবাই সব পারে? সে লিখতে চায়, কিন্তু হতে হয় আইনজীবি! চাওয়া আর হয়ে ওঠার এই যে ব্যবধান, তা'কি কোনো নির্দিষ্ট ট্রাফিক বিন্দু থেকেই বাম বা
ডান খুঁজে নেয়? চেয়েও না পাওয়া কি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়? অকাল মৃত্যু! সে কাফকা বল বা আমাদের
কুসুম, কুসুমকুমার...
এখন সামনে নদী! খলবল করছে পানি! অথচ নামতে ভয় পায়! ‘জীবন একটাই, আর তা না পাওয়ার নয়, ইচ্ছেপূরণের হয়ে উঠুক’ বলে সে
নদীতে না নামুক, নেমে গেল কূয়োয়! অথচ নামার কথা ছিলো রশি আর বালতির। এবার সে উঠে
আসবে, যদি আদতেই উঠতে পারা যায়, বিড়ালের মত করেই... সেই যে বেড়ালটা ডিঙোতে গিয়ে পড়ে গেছিলো, তারপর
মিউ মিউ... রশি আর বালতিকে সম্বল করেই সে উঠে এলো, একটু স্থির হয়ে থাকলো, এদিক
ওদিক তাকালো, তারপর একলাফে পেরিয়ে গেল উঠোন। পেরলো পেয়ারা
গাছের তলা, সেখানে পাতার ফাঁকে রোদ্দুর আর সে চমকে উঠলো! গায়ের জল ঝাড়লো, চাইলেই কি আর ঝেড়ে ফেলা যায় সব? কিছু পর শুয়ে
থাকলো উপুড় হয়ে। চিৎ হলে যদি আকাশ ভেঙে পড়ে মাথায়! ভয় করে যে খুউব!
রাত গভীর হলে সে লিখতে
বসবে বেড়ালের কথা অথবা মানুষ যেভাবে বেড়াল হয়ে যায়, সে লিখবে ‘ভয়’! আর তখন কলমে-কালিতে
দোনাদোনি, পানাপানি হয়ে জল ছিটকোবে, খাটের কিনারায়! এত পানি ছিলও
শীতলাক্ষায়? খাট এগিয়ে যাবে এবার আমাদের কুসুমকে নিয়ে নদীর দিকে, যেভাবে যায়...
এভাবে বাঁচা যায় না, বলেই সে সময়কে দাঁড় করাবে। আর তারপর, না তেমন কিছুই না। শীতলাক্ষা তেমনই শীর্ণকায়া থেকে যাবে। কেবল যার
পানি মাপার কথা সে মাপবে, এক বাও মেলে না, দুই বাও মেলে না... নদীতীরে কেবল
জুতোজোড়া পড়ে...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন