কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮

অভিষেক ঘোষ



দুয়ারে এলো জমাদার


দুপুরের মেঘে এমনটাই বারবার ঘটে
অশ্রুতটে, থমথমে চোখের পাতায়, টব
তারা ঝরা আকাশের,
রাস্তা বিশ্বাস করে
এদিকে হাওয়া এসে, এক নিমেষে, ফেলে
দিতে পারে সব।
কপাটের খিলে নখ আটকে, হলুদ টিয়া
দেড়বছরের কথা সারে দেবদারু গাছে
রবিবার আসে না আর,
কশাইয়ের টুপিতে,
বৃদ্ধ বজ্রে, চকিত কণ্ঠ 
আবীর
হয়ে আছে...


ইচ্ছে নিয়ে 


ইচ্ছে নিয়ে ইচ্ছে জয় হয় না বলেই
তুচ্ছ লিখে গুচ্ছ হয়েছ নিজের কাছে
ফলের তেজ থামতে পারে, ছুরির গায়ে
আমার তেজ গ্রীষ্মদিনে,
শান্ত আছে...
তবুও যখন
বাড়াবাড়ি করে চক্ষুপ্রদেশ
বেতার থেকে তার পেয়েছে, বাদুরঝোলা
সোজা দেখি উলটো দেখি,
দেখি রূপমায়াময়
আমার জন্য শূন্যতম যে দৃশ্য খোলা
যার ভিতরে ঢুকতে গেলেই  ভীষণ লাগে
ভাষা ছাড়া কিছুই যেন কারো
হারায় না,
অনর্গলকে থামতে বলেই ঠিক করেছ,
তীর্থনদীর তীর ধরে তারা ছেঁচড়ে চলুক
তবু কাক হয়ে যেন কিছুতেই আর
দাঁড়ায় না...


দাবদাহ 


বাদ্য থেকে যায় একদিন। শুধু খামে পুড়ে হারমোনিয়াম, আদানপ্রদান হয়। সুর একদুটো পোস্ট অফিসের ভাঙা জানলার ফাঁক দিয়ে যে চিত্রকর সোম হাত বাড়িয়ে আমার থেকে খাম নিয়ে নেয়, তার ঘড়ির বেল্টে এসে ঝোলে। জ্ঞান দেওয়া ছেড়েছি বলে ডাক্তার একটি ফ্রি পাওয়া কালির ছবি আমায়, বাড়িতে টানাতে দিয়েছে। আঙুলের আড়মোড়া ভাঙার জন্য প্রতিদিন প্রণাম প্রয়োজন। কব্জির কব্জা ঢিলে হয়ে গেলে, লিটন মিস্ত্রীকে ডেকে তা অতি অবিলম্বে সারানোর আগে একটিবারও কলম ধরা যাবে না, অল্প ঝড়েই সব খুলে পড়ার চান্স দেখলে, কিছুদিন খুটখাট হাতুরির থেকে মার্জনা চেয়ে, পেরেকের উপর ধুমধাম শব্দ বন্ধ রেখে চমকপ্রদর আশায় বসে থাকতে থাকতেই অবশ ও অলস মানুষের ভাব  হয়ে যাচ্ছে দেখে হাসি ঠাট্টা রঙ্গ রাগ কিছুই করা যাবে না, শুধু মনে রাখতে হবে, কব্জির কব্জা সারানোর আগে যেন কোনো মতেই, ঝড় না ঢোকে কলকাতায়...


অনিয়মিত চিন্তার লোকেরা, আকাশের বর্ণনাই লেখে

                                             
তোমার কপোলের ধারে, রেসারের গাল কেটে যাচ্ছে,
এরক্ত অমানুষের মত লাল নয়, নয়তো বা মশার
মত সাদা...
তবু গলগল শব্দ হলে, সবাই মর্ম ভয়ে চেপে ধরে না
তাকে
পারে না ছাড়াতে, যার কোমর শুলের কাছে বাঁধা।
একদিন চাপতে হয়, অনর্গল সব কিছুকে চাপাতে হয়,
ডেচকির ঢাকনা কেঁপে উঠলেও খিদে সেদ্ধ হয় না
প্রতি দিনরাতে... 
অনিয়মিত ভাবনা, নীল আকাশের মতই মেঘ দিয়ে যায়
আমরা মুখের উপর দরজা বন্ধ করতে পারি,
স্বপাঠে...
কিন্তু সেই দরজার নীচ দিয়ে আসা মনোযোগগ্রামে,
যোগীবাক্য নামে, যত যত বার কেউ জন্ম নেয়,
হরিণ শিশুর চামড়ায়...
তাকে মেরে খাও, জ্যান্ত খাও বা অর্ধমৃত করে রেখে দাও,
সে টুঁ শব্দ তুললে জড়ো হয় না আর কেউ
যারা গোটাজীবন সামনের দাঁতে করে মাংস,
ও পিছনের দাঁত দিয়ে,
দুব্বা ঘাস কামড়ায়।









0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন