কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

শর্মিষ্ঠা ঘোষ




বেঁচে থাকলে  

আমাদের প্রেম বেঁচে থাকলে সে আজ হেঁটে বেড়াত
গায়ে ফুলছাপ কামিজ
হ্যাঁ, মেয়ে সন্তানের মত মায়াবী
আমাদের কোলে কাঁধে দোল খেতে খেতে
গল্প শুনতো কীভাবে কে প্রথম কাছে গিয়েছিলাম
শোন, আমাদের সেই অ্যাবর্টেড প্রেমের জন্য
ছোট্ট কবরের দু’মুঠো মাটি  
টবে ভরে তাতে একটা গন্ধরাজ লাগিয়েছি
খুব বৃষ্টি হলে খুব গরম পড়লে খুব মনে পড়লে
দু’এক কলি লোরি শুনিও ঘুমোবার আগে
স্বপ্নে এক মায়াবী ডাক স্বপ্নে এক অহেতুক আনন্দ
আমাদের না হওয়া প্রেম না জন্মানো গল্প
লিখে দিও ব্যস্ত কলাকার লিখে দিও তুমুল প্রেমিক


হাল্কা  

এই দ্যাখো, কী ফুরফুরে হাল্কা হয়ে যাচ্ছি
ঠোঁট ছুঁয়ে অনায়াসে ধেয়ে যাচ্ছে স্ল্যাং
আহা! ওভাবে বোল না, এসব আদর কথা
সবাইকে সবকিছু বলে না, লেখে না, বাঁদর! 
এই দ্যাখো, গাল বেয়ে জল টুপটাপ, নুন নুন
সেলফোনে নিঃশ্বাস বুক ভরে নিই, কী চেনা জীবন!
মেকি লাভ যান্ত্রিক অঙ্গভঙ্গি এবং চিৎকার
পাশ দিয়ে না দ্যাখাই ভালো, এইতো ক'দিন
এই দ্যাখো, আহ্লাদী মন সহসা মুক্ত লিপ্ত যুক্ত 
এতদিন কোথায় ছিলেন, নকল কোর না
যখন ছুঁয়েছে মন, কাছে এসো আঁকড়ানো শিখি 
জলরঙে আঁকি হারানো গল্পের ফিনিক্সের ডানা


আছি?   

আছি আমি?
নাকি মৃত?
এই ফুল
এই তীর
কাকে ছোঁড়?
কাকে? কেন?
এই প্রেম
এই ঘৃণা
এই ভোর
এই দিন
বেহিসাবি
অভিমান?
কাকে দেবে?
দিতে পার?
কাঁধে হাত
আছে কার
পাশে হাঁটে
কার ছায়া
বোজ চোখ
অনুযোগ
স্তব্ধতা
বুঝে নাও
মন এক
বসে থাকে
এক জোড়া
ভুলো চোখ

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন