কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়




মিথ্যে বিষয়ক কিছু সত্য


(১)  

মিথ্যে বলতে বলতে একসময়
আমাদের ছায়া নড়ে ওঠে
থকথকে অন্ধকারে বিদ্রূপ গায়ে মেখে
কে যেন আমার পিছন পিছন আসে
ঠিক একেবারে কানের সাথে
ফিসফিস স্বর
মিলিয়ে দেয়
কেউ বুঝতে না পারলেও আমি আছি ঠিক তোমার পাশাপাশি
সব দেখছি সব শুনছি

অন্ধকার আরোও অন্ধকার হয়ে আসে
ছায়া মিলিয়ে যায় চোখ থেকে
আলো থেকে

তবু ছায়ার ভেতর ভয়ঙ্কর ছায়া
শুনতে পাচ্ছে সমস্ত ফিসফিস শব্দ।

(২)

মিথ্যের কোনো আকার নেই
এক বালতি মিথ্যে গুলে 
এতে আরোও রঙ মিশিয়ে দিলেও
সে সমুদ্রগামী সে তরল

গড়িয়ে গড়িয়ে নেমে যাবে নীচে

আরও নীচে
ভয়ঙ্কর খাদে

এবং তোমার পা ধরে টানবে।

(৩)

সমস্ত কল্পনা
সমস্ত অলীক সম্ভাবনার ভেতর
একাধিক রাস্তা আছে
চোরাকুঠুরির মতো

এই রহস্য মায়াজগতের

ধীরে ধীরে পা টিপে পা টিপে
যেতে যেতে
সমস্ত আলোর দমবন্ধ হয়ে আসে

শুধু দৃষ্টির ভেতর থাকে সত্যের চাবিকাঠি
বাকি যা চারপাশে বস্তাবন্দী
সম্পূর্ণ অলীক।


রাখালের রিংটোন

হৃদয় উপচে যেভাবে বেরিয়ে আসে ধ্বনি
মুখবন্ধ খাম কেউ খুলে ফেলে
তারপর নির্জনতা ছিন্নভিন্ন করে
ব্যক্তিগত শব্দগুলি বাতাসে ইথারে
সাজিয়ে সাজিয়ে রাখে স্তরে স্তরে

আমার বিষাদ হও বংশীরব
আমাকে বাজাও
নিংড়ে নিংড়ে তুলে আনো সমস্ত নির্যাস

আমি তো রাখাল
আনন্দ পাহারা দিই
সন্ধ্যে নেমে আসে ধানখেতে
গাভীগুলি ক্রমশ উদ্গ্রীব হয় লেজ নাড়ে

কেউ কি বাজায় বাশি দূরে?

গর্ভমাস ফুটে ওঠে জীবনসংকেতে।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন