কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / তৃতীয় সংখ্যা / ১২৩

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / তৃতীয় সংখ্যা / ১২৩

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪

সুতপা মুখোপাধ্যায়

 

ক্রান্তিকালের ছবি — পুণ্যলতা চক্রবর্তীর একাল যখন শুরু হল

 


উনিশ থেকে বিশ শতক—একটা দীর্ঘ সময়ব্যাপী বাংলায় যে পরিবর্তন তার আঁচ টের পেয়েছিল মেয়েরা সবচেয়ে বেশি। উনিশ শতকের পাশ্চাত্য শিক্ষার আলো নতুন করে শিক্ষিত বাঙালির চৈতন্যে আঘাত করেছিল। উঠে এসেছিল শুধু পরাধীনতার যন্ত্রণা থেকে মুক্তিলাভের প্রেরণা নয়, সমাজের ভিতরকার দিকটাকে আর একবার দেখে নেবার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল পারিপার্শ্বিকতার কারণে। মেয়েদের শিক্ষা, মেয়েদের স্বাধীনতার মতো বিষয় আধুনিকতার সূচক হয়ে উঠেছিল ঔপনিবেশিকতার কালে, যার মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় নির্মাণ জরুরী হয়ে উঠেছিল এই ঔপনিবেশিকতার প্রেক্ষিতে। কিন্তু, সেই আধুনিকতার বৃত্তে মেয়েদের জীবন বা জীবনকে দেখার যে চোখ তাকে আমরা খুঁজে নিতে চাই একটা সময়কালকে আরও নিবিড়ভাবে বোঝার জন্য। কারণ তাদের ভাবনায় সমাজের অন্তর্লীন চিত্রটি ধরা পড়ে গভীরভাবে। সেখানে যেমন থাকে বঞ্চনার চিত্র আবার পাশাপাশি থাকে নতুন সময়কালে নতুন চেতনাকে নিজের মতো করে গ্রহণের চিত্রটিও।

উনিশ ও বিশ শতকের ক্রান্তিকাল দেখা নারী লিখেছিলেন “একাল যখন শুরু হল”। ১৯৬৪ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে ধারাবাহিকভাবে বেরোয় লেখাগুলি। ১৯৫৮-তে লিখেছিলেন ছেলেবেলার দিনগুলি’ । সেখানে লিখেছিলেন, “… সুসম্বন্ধ ভাবে পারিবারিক বা সামাজিক জীবনের বিবরণ দেবার চেষ্টা করিনি; স্মৃতির পটে ছবির মতো যা ফুটে উ’ঠেছিল, গল্পচ্ছলে তাই বলেছি।’’ আসলে জীবনের গল্পগুলির মধ্যেই ধরা পড়ে সমাজের গতিময়তা, তার পরিবর্তন। একাল যখন শুরু হল তে তাই অনেকখানি পথ পার হওয়ার গল্পগুলি চিনিয়ে দেয় সমাজের গতিপথ। উনিশ শতকের শেষভাগ নিয়ে তাঁর কথন শুরু হয় যখন দেশে স্ত্রী শিক্ষা ও স্ত্রী স্বাধীনতা নিয়ে এই শতকের মাঝামাঝি সময়ে যে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হয়েছিল তা শান্ত হয়ে এসেছিল অনেকখানি। মেয়েদের স্কুল কলেজে যাওয়া, পরীক্ষায় পাস করাতে অনেকখানি ধাতস্থ হয়ে গিয়েছিল বাঙালি সমাজ। রক্ষণশীল সমাজের পাশাপাশি একটি উদার শিক্ষিত সমাজ সহাবস্থান করছিল। সেই সময়ে পুণ্যলতার জন্ম। মা বিধুমুখী, বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। যে বাড়িতে বড় হলেন তিনি সেই বাড়িরই অন্য অংশে থাকতেন তাঁর মাতামহ ব্রাহ্ম নেতা ও সমাজ সংস্কারক দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় এবং নারীপ্রগতির পথে অন্যতম অগ্রবর্তিনী ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় যিনি ছিলেন প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং প্রথম মহিলা ডাক্তার।

মেয়েদের স্কুল-কলেজের কথা বলেছেন পুণ্যলতা। স্কুলে অধিকাংশই ব্রাহ্ম, শিক্ষিত হিন্দু বাড়ির কয়েকজন মেয়ে, কয়েকজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী মেয়ে ব্রাহ্ম বিদ্যালয়টিতে পড়ত। জানিয়েছেন এন্ট্রান্স পাস করে বেথুন স্কুলে যাওয়ার কথাও। আমরা জানি, ১৮৪৯-এ দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ এবং পন্ডিত মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সহায়তায় শিক্ষাবিদ জন এলিয়ট ড্রিংকওয়াটার বেথুন মেয়েদের জন্য কলকাতায় এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। যখন পুণ্যলতা ভর্তি হন বেথুন স্কুলে তখন সেখানকার প্রিন্সিপাল ছিলেন চন্দ্রমুখী বসু। কাদম্বিনী যে বছর বি এ পাস করেন সেই বছরই চন্দ্রমুখীও প্রথম মহিলা গ্র্যজুয়েট হিসেবে  স্বীকৃত হয়েছিলেন। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, হরিণ নয়না শোন কাদম্বিনী বালা / শোন ওগো চন্দ্রমুখী কৌমুদীর মালা / যে দুঃখেতে লিখেছিনু বাঙালির মেয়ে / তারি সম সুখ আজি তোমা দোঁহে পেয়ে। স্কুলের শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের কথা বলেছেন পুণ্যলতা। স্কুলের শিক্ষিকাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “গম্ভীর ভারিক্কি চেহারা, পরনে সাদা শাড়ি ও লম্বা আস্তিনের বন্ধ-গলা জামা, চুলগুলিকে বেশ টান করে মাথার পিছনে শক্ত একটি ছোট খোঁপা বাঁধা, অলঙ্কার বা প্রসাধনের বালাই নাই, বরং স্বাভাবিক রূপটাকেও যেন শ্রীহীন করে ঢেকে রাখবার চেষ্টা।” স্কুলের ছাত্রীদের কথাও বলেছেন পুণ্যলতা। মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা ছিল অল্পবয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া। তবে বিবাহিত কয়েকটি মেয়েও স্কুলে পড়ত। বিজ্ঞান শাখার বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন উদ্ভিদবিজ্ঞান ছাড়া অন্য কোন বিজ্ঞান পড়বার ব্যবস্থা ছিল না। আসলে মেয়েরা বিজ্ঞানে আগ্রহী নয় বা বিজ্ঞান মেয়েদের জন্য নয় সেই ধারণা সমাজের মধ্যে অনেকখানি ছড়িয়ে ছিল। কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় বা তারও আগে যে মেয়েরা চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা নানাধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। শিক্ষিত সমাজেও মেয়েদের বিজ্ঞান পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দেওয়া হয়নি। তাই পূণ্যলতার লেখাতেও দেখি সেই ধারণা কাজ করছে যে বিজ্ঞানের দিকে মেয়েদের বিশেষ আগ্রহ দেখা যেত না। বেথুন কলেজে বটানি পড়াতেন হেমপ্রভা বসু তা জানা যায়। হেমপ্রভা ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর বোন। তিনি অসুস্থ হলে আর কাউকে পাওয়া যায়নি মেয়েদের বটানি পড়াবার জন্য। পুন্যলতার লেখায় দেখি মেয়েদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার আকাঙ্ক্ষা কীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কতৃপক্ষ অনুমোদন না করাতে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া  হয়নি তাঁর। সুযোগ বঞ্চিত হওয়ার দুঃখ তিনি প্রকাশ করেছেন লেখায়। পড়াশোনা শেষ করে বেশির ভাগ মেয়েই ঘরসংসার করত জানিয়েছেন পূণ্যলতা। চাকরি যারা করত তারা শিক্ষা বিভাগেই কাজ করত বেশি। সমসাময়িক অন্যান্য ছাত্রীদের মধ্যে থেকে পাঁচজন ডাক্তার হয়েছিল এবং দুজন আইন পরীক্ষায় পাস করেছিল জানিয়েছেন পুণ্যলতা।

উনিশ শতকের শেষভাগের সমাজের একটা চিত্র পাওয়া যায় তাঁর লেখায়। সেখানে ফুটে ওঠে মেয়েদের বঞ্চনার ইতিহাস। স্কুল কলেজের গন্ডির বাইরে একটি বৃহৎ নারীজগত ছিল, যার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল পুণ্যলতার। নিজের মায়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি লেখেন, “আমার মা ছিলেন নূতন যুগের মানুষ। স্কুল কলেজে পড়বার সুবিধা তিনি পাননি, কিন্তু বাড়িতে দাদামশাইয়ের কাছে সুন্দর শিক্ষা পেয়েছিলেন — মিশনারী মেমের কাছে ইংরাজিও শিখেছিলেন। নূতন আদর্শেই তাঁর মন গঠিত হয়েছিল।” অবাকই লাগে এই ভেবে যে ব্রাহ্ম আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে অগ্রণী দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় কেন কন্যা বিধুমুখীকে স্কুল-কলেজের প্রাঙ্গণে নিয়ে এলেন না। নিজেদের রক্ষণশীল, উচ্চশিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান উদারমনা আত্মীয়দের কথা বলেছেন পুণ্যলতা। রক্ষণশীল হলেও তাঁরা বাল্যবিবাহ, পণপ্রথা ইত্যাদি নানা কুসংস্কারের বিরোধী ছিলেন। মেয়েদের অনাদরের কথা বলেছেন তিনি তাঁর স্মৃতিচারণে যা গভীরভাবে পীড়িত করেছিল তাঁকে। প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে দেখেছিলেন বাড়ির গৃহিণী বিকেলে নিজের হাতে স্বামী ও পুত্রদের রেকাবিতে সাজিয়ে জলখাবার দিতেন, পেয়ালাতে দিতেন চা। কিন্তু মেয়েদের ভাগ্যে জুটত মাথাপিছু দুখানা করে রুটি আর একটুখানি গুড়।  আর প্রতিবেশী বাড়িতে দেখেছেন বালবিধবা একটি মেয়েকে যাকে পরিবারের ইচ্ছে থাকলেও লোকভয়ে তারা পুনর্বিবাহ দিতে পারেনি। নিজেরা দুঃখ পেয়েছে মেয়ের অবস্থা দেখে, কিন্তু  প্রতিকারের সাহস হয়নি সমাজের ভয়ে। আসলে বিধবা বিবাহ আইন পাস হয়ে গেলেও সমাজের গা থেকে মুছে যায়নি কুসংস্কারের গন্ধ। প্রতিপদে দ্বিধার চিত্রটি ছিল স্পষ্ট। আবার এমন প্রতিবেশী দেখেছেন যারা পণের জন্য বাড়ির বউকে লাঞ্ছনা গঞ্জনায় বিব্রত করে রেখেছে। পুণ্যলতা দেখিয়েছেন পরিবারের মেয়েরা যদি শিক্ষার আলো না দেখে এবং কুসংস্কারে অন্ধ হয়, তাহলে কতরকম বিভ্রাট ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়। একটি বাড়িতে বধূর তিনটি সন্তান পরপর সূতিকাগৃহে মারা গেলে যখন মন্ত্র-মাদুলি-তাবিজে ফল হল না তখন ডাকা হল লেডি ডাক্তারকে যিনি আঁতুড়ঘর বদলানোর কথা বলে যান। প্রকান্ড বাড়ির কোথাও ছোঁয়াছুঁয়ির ভয়ে আঁতুড়ঘরের স্থান হত না, হত গোয়াল ঘরের পাশে একটি অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে। উনিশ শতকে বাঙালি মেয়ের স্বাস্থ্যভাবনার ইতিহাসে দেখা যায় আঁতুড়ঘরের ব্যবস্থা বা অব্যবস্থার বিষয়টি নানাভাবে চর্চিত হয়েছে। খ্রিস্টান মিশনারিরা এদেশে যখন সংস্কারসাধন করার উদ্যোগ নিয়েছিল তাদের সমালোচনার ক্ষেত্রটি ছিল মেয়েদের প্রসব-সংক্রান্ত অব্যবস্থার বিষয়গুলি যার দুই প্রধান ক্ষেত্র হল সূতিকাগারের বেহাল দশা এবং অপরিচ্ছন্ন ধাত্রী যা বিপন্ন করে তুলত মা ও শিশুর জীবন। বাঙালি শিক্ষিত সমাজেও এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা  শুরু হয়। শিশুর সুস্থ জন্ম নতুন জাতীয় চেতনায় নতুন ভাবে ভাবার পরিসর তৈরি করে, কারণ শিশুরাই একদিন ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের কর্ণধার হয়ে উঠবে।

পুণ্যলতা লেখেন, “শিক্ষিতা মেয়েরা চিন্তা ও মনের স্বাধীনতা অনেকটা পেতেন, দুনিয়ার পরিচয়ও কিছু জানতে পারতেন, তবে তাঁদের চলাফেরার স্বাধীনতা এখনকার মেয়েদের তুলনায় অনেকটা সীমাবদ্ধ ছিল। বাবা, কাকা, কিংবা ভাইদের সঙ্গে আমরা কত জায়গায় বেড়াতাম, কত কিছু দেখতাম, কিন্তু মেয়েদের একলা বেরোবার, ট্রামগাড়িতে চড়ে কিংবা পায়ে হেঁটে যাওয়ার নিয়ম তখনও ছিল না। সেই গন্ডিবদ্ধতার দিনে গন্ডি ভাঙার উদ্যোগ যে নিয়েছিল মেয়েরা তার উল্লেখ করেছেন পুণ্যলতা তাঁর লেখায়। অনেক মেয়ে রাস্তা দিয়ে প্রকাশ্যে হেঁটে যাওয়ার জন্য উন্মুখ ছিল। পুণ্যলতা জানান যখন তাঁরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতেন লোকে অবাক হয়ে দেখত। একদিন তাঁরা তিন বোন শখ করে বাবার সঙ্গে ট্রামে চড়তে গিয়ে দেখেন কলকাতার নতুন ট্রামের চেয়ে তাঁরাই নতুন দ্রষ্টব্য হয়ে গেছেন বেশি। স্ত্রীশিক্ষা মানুষজন মেনে নিলেও স্ত্রী স্বাধীনতা পছন্দ ছিল না অনেকের। লিখেছেন বাঙালি মেয়ের রাজনীতিতে যোগদানের কথাও। স্বদেশি আন্দোলনে বাংলার মেয়েরা কীভাবে প্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন সেই বর্ননা পাওয়া যায় তাঁর লেখায়। ঘরে ঘরে মেয়েরা চরকায় সুতো কাটলেন, সেই সুতোর কাপড় নিজেরা পরলেন, প্রিয়জনদের পরালেন। মেয়েরা নিজের হাতে কাপড় বুনে ও নানা শিল্পদ্রব্য তৈরি করে বিক্রি করলেন। যা লাভ হল তা দেশের কাজে দান করলেন। ১৯০৬ সালে কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন উপলক্ষে নিখিল ভারত নারী সম্মেলনের যে অনুষ্ঠান বেথুন কলেজে হয়েছিল তার বিবরণ দিয়েছেন পুণ্যলতা। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার চার বছর পরে ভারতীয় মহিলারা তাতে যোগ দেন। বাংলা থেকে ছিলেন স্বর্ণকুমারী দেবী আর কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়। স্বদেশি আন্দোলনের সময়ও ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছিলেন। স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা সরলার কথাও উল্লেখ করেন তিনি যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। পুণ্যলতা লেখেন, “দেশের শিক্ষিত মেয়েরা, শিক্ষা ও স্বাধীনতা লাভ করে শুধুই নিজেদের ও নিজ পরিবারের সুখ ও উন্নতিতে সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি—তাঁদের মধ্যে অনেকেই এমনি নানাভাবে নিজেদের সৌভাগ্যের ফল, সে সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত সমস্ত নারীসমাজের মধ্যে বিতরণ করতে চেয়েছিলেন। তাঁদের সে চেষ্টা ও আশা বিফল হয়নি।” শুধু বাংলার মেয়েদের কথা নয়, লিখেছিলেন অন্য প্রদেশের মেয়েদের কথাও।

পুণ্যলতা চক্রবর্তীর লেখায় নতুন যুগের একটা ছবি ফুটে ওঠে। উনিশ শতক থেকে বিশ শতকে পা বাড়ানো বাঙালি শিক্ষিত সমাজের বদল ফুটে ওঠে তাঁর লেখায়। মেয়েদের রাজনৈতিক চেতনা কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার সময় থেকে অল্পমাত্রায় পরিলক্ষিত হলেও স্বদেশি আন্দোলন তাদের গভীরভাবে যুক্ত করেছিল রাজনীতির পরিসরে যা পরবর্তীকালে আরও জোরালো হয়ে ওঠে। কীভাবে শিক্ষিত মেয়েরা সমাজকল্যাণের কাজে যুক্ত করলেন নিজেদের সে ছবিও পাওয়া যায় পুণ্যলতার লেখায়।


1 কমেন্টস্:

  1. যাঁর সম্পর্কে বিশেষ চর্চা হয় না, এমন একজন জ্যোতিষ্মতী মহিলাকে নিয়ে এই তথ্যপূর্ণ লেখাটি ভালো লাগল।

    উত্তরমুছুন