কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

তৈমুর খান




কাপুরুষ 


সূর্য অস্ত গেলে
আমরা পথ হারাইলাম

রাত্রির অন্ধবালিকা আমাদের ডাকিয়া লইল

আমরা অন্ধকারের ঘ্রাণ পাইতে লাগিলাম


ছলাৎ ছলাৎ ঢেউয়ে নদীর যৌবন দুলিতেছে
আহা নদীও গর্ভবতী হইতে চাহিতেছে!

কয়েক প্রহর স্তব্ধতার কাছে বসিয়া
আমরা নিজেদের কথা ভাবিলাম

আকাশে চাঁদ উঠিল

জ্যোৎস্না রাত্রিকে অলংকার পরাইয়া দিল

রাত্রিও যুবতী হইল


আমরা মনুষ্যজীবন অতিক্রম করিতে পারিলাম না

কাপুরুষ হইয়া জাগিয়া জাগিয়া জীবন কাটাইতে
লাগিলাম

কখন ভোর আসিবে আমাদের কেহ বলিতে পারিল না
 


এযুগের রাজপুত্র

নিজেকে রাজপুত্র মনে হইল
একটি ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হইয়াছি
কোমরে তলোয়ার ঝুলিতেছে
ঝড়ের বেগে ছুটিয়া চলিতেছি
কোথায় যাইতেছি?
তাহা পরে ভাবিব 
এখন মনে কোনও জিজ্ঞাসা আনিব না

সভ্যতা কত আলোকোজ্জ্বল হইয়া সাজিয়াছে
কত রাজকন্যার জন্ম দিতেছে
পৃথিবীটা রূপকথার দেশ মনে হইতেছে

আমার ঘোড়াটি এবার উড়িতেছে
মহাকাশের আলোয় পথ দেখিতেছি
একে একে আকাঙ্ক্ষার সুউচ্চ শিখরে উঠিতেছি
দেখিতে দেখিতে অদৃশ্য হইয়া যাইতেছি
নিজেকেও আর খুঁজিয়া পাইতেছি না... 


আত্মরক্ষা

নৌকা ভেসে গেছে
বন্যা আসক্ত নদীও
প্রেমের বৈঠারা কে কোথায় 

হাসিকান্নার জলে বিস্ময় তরঙ্গ তট ভাঙে
সততার বিকল্প ছিল না যদিও
এসময় ভেসে গেছে সেও

নিজের ছায়ার কল্পনায়
এখনও ভেসে আছি
এই তীব্র প্রবাহে যতক্ষণ ভেসে থাকা যায়


নীলবর্ণা

কোনও নীলবর্ণার কাছে
আমার সাহসী বিশ্বাস রোজ যায়

কী কথা বলতে চায়?
বলা হয় না কথা তার
প্রপীড়িত উল্লাস নীরব দহনের গান গায়

নীলবর্ণা নিসর্গ হয়
শস্যক্ষেত হয়
নীলবর্ণা তবু এক পাখি
আমার অনন্তলোকে তার ডাক শুনতে থাকি










0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন