কবিতার কালিমাটি ১১৫ |
শব্দের পরাজয়
সজোরে ধাক্কা
দিচ্ছে মুমূর্ষু চোখের ভাষা
চোখের ভেতর
ঝঞ্ঝাবাত, মণির গভীরে ঘূর্ণি
পরাস্ত হবার
পর বুঝতে পারি পিঠে শিরশির
করছে এক বায়বীয়
সাপ,
ধূর্ত সব বাঁকা
পথ পায়ের তলায় কাঁপে
পাঁজরের তলায়
আটকে থাকে ব্যাকুল নিঃশ্বাস...
আমাকে শাস্তি
দেবে কে বা কাহার নীতি?
ভাষার শিকড়ে
থাক সান্ত্বনার হাত।
শব্দের অনিশ্চিত
শব্দের শরীরে
রক্তপাত হচ্ছে ভেতরে ভেতরে
এই সময়ে আই.সি.ইউ-
এ চিকিৎসা দরকার
এইসব অতিরঞ্জিত
চিকিৎসা পদ্ধতি ভালোবাসার কথা জানে না
অথবা শৈশবে
শেখা বলে বেমালুম ভুলে গেছে।
কখনো টিলা কখনো
পাহাড় প্রমাণ মিলিয়ে যায়
আলোকরশ্মির
ফলা ও জ্যোতি --
কখনো হাতে এঁকে
রাখি খড়গ ও বরাভয়
নিশ্চিন্ত হতে
হলে একবার টস করে নেওয়া ভালো।
শব্দের গভীর
শব্দের শরীরে
সুড়ঙ্গ কাটি -- মাটি অথবা কংগ্লোমারেট সবই মায়ার।
সমীপতা ছিটকে
পড়ছে ফুলকি ফুলকি
কমলা দাগের
পৃথিবী একই সঙ্গে ভাঁড় ও দু:খবিলাসী
অনতিক্রম্য
ছায়াপথে বেহালা বাঁশি আর হারমোনিয়াম
বেজে যাচ্ছে,
তারসপ্তক থেকে নিম্নগামী ধ্বনি।
বটের ঝুরি হয়ে
আটকে ফেলছে উদ্বেগের মাটিতে
'কতদিন এভাবে
পারব জানি না' লেখা চিঠিতে পঞ্চাশের ডাকছাপ
কী হতে পারত
যদি এই হাতের মধ্যে থেকে যেত কলম ও মূদ্রা?
তিনটে কবিতাই খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন