ঘুম
ঠিক এই সময়গুলোতেই
থমকে যেতে হয়। চোখ
মেলে দেখতে ইচ্ছে করে। অনেক
তো হলো, তুমি আমি, বাসস্ট্যান্ড, কফিহাউস। অনেক হলো...
চোখ-কান-নাক বুঁজে শব্দবাজিও হলো অনেক... কিন্তু আ।।? আলো কই?
কত বিলাসিতা
করে,
তোমরা ফ্যান উপচে পরা দেখো... যেন সমুদ্র দেখছ... বলো!
আহা! সেরম সমুদ্র যদি ওড়াও দেখতো...
কী করেছে তোমার
প্রেম?
কী করেছে তোমার
পুরুষ?
তোমাকে দিয়ে
গোটা দশেক কলকাতা লিখিয়ে নিয়েছে? বা গোটা চারেক নন্দন...
তাহলে তো চেনে
ওই এক্সাইডের মোড়। একদিন
এসো তবে... তোমাকে দেখাবো পুড়ে যাওয়া গোলাপফুল...
গোলাপফুল...
হ্যাঁ, গোলাপফুল...
যেটা, তোমাদের ভালোবাসা দেয়, আর আমাদের ভাত।
ক্যানভাস ভরিয়ে
তোলো বলো?
তোমরা গোধূলির
নাম দিয়ে দিলে ভার্মিলিয়ন।
আমি দেখলাম
ঘুমচি ঘর - ষাট ওয়াট...
তোমরা বললে
সৃষ্টি... পাবলো পিকাসো...
আর আমি...
এ থেকে বি,
বি থেকে সি-মাইনর
স্যান্দেশে
এ আতে হ্যায়...
তোমাদের অডিটোরিয়ামে
তখন,
হাততালি... উল্লাস আর ওদের গোলটেবিল... তোমরা দেখছো আলো, আমি দেখছি আগুন। সেই ভার্মিলিয়ন... সৃষ্টি... নাহ... ধ্বংস...
আমি বলছি তোমাদের, লেখো, সুর দাও হাহাকারের...
লেখো আরও লেখো,
তোমাদের ক্যানভাসে পলাশ ফুটুক, তোমাদের লেন্সে শুকিয়ে যাক রক্তকরবী।
আমাদের জন্য
শুধু একটু ঘুম রেখো যেয়ো...
শুধু একটু ঘুম...
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন