গোঁজামিলের খাতায় নাম
এখন পাতা টেনে টেনে ছবির উল্টো পাল্টা
এক এক করে খসে যায় নিঃশ্বাসের হামবড়া
কাল কখন মা'র হাতের লুচি, সাদা তরকারি
শিরাগুলো মাঝে কখন রঙ পালটে ফেললো
ভালো মানিয়েছে দেখি, বহুরূপী টোকা দরজায়।
ভ্রূ জোড়া আঁচ কোঁচকানো, শক্ত মূর্খ বকুলবাতাস
বকুল না হলেই বা ক্ষতি কি, যে কোনোভাবেই
শুধু মাগো, মা...
বাবা, তোমার দেওয়া সেই লাল সাইকেল
বারবার কাঁকর চাটা হাঁটু আরেকবার।
শেষ ভোঁ বাজেনি এখনো
পার্থসারথি গো, চেষ্টা করে ইচ্ছেয়
আজও সূর্য আড়াল করে রেখো।
অতঃপর তারা সুখী...?
তিরিশ সেকেন্ড...
হয় জড়িয়ে ধরো, না হলে ঘোড়া ছুটবে
এই তো, বাঁ কাঁধে মই লাগিয়ে
কয়েক লক্ষ চুমু, তোমারটাই চেয়েছিলাম
মারো গুলি, তুমি না তো ঠাণ্ডা ইস্পাত ঠোঁট
তাই সই; বন্ধ না হওয়া,
দাও দাও, চাই চাই মুখ।
প্রেমিকহৃদয়...
সব পারছি না খান পনেরো ঘুমবড়িতে
আধাজ্ঞান, টুকুস টুকুস আয় ফোনটি বেজে
না হতো, পাতি বালিশ ঢাকা ভেজে;
এ তো পাতি এলোচুল কাজলনয়না দিনশেষ
খান আটাশ আরও ঘুম, গাঢ় ঘুম।
ভোর হল গো প্রেয়সী, উঠবে না?
সাদা চাদরে চাপা খুব ভালোবাসি
ঠোঁট ফুলিয়ে, এমন করলে কেন...
আকণ্ঠ বাস ট্যাক্সি চলাচল ঘণ্টায় ন্যানো সেকেন্ড
এ'পাড়ার চোখে চোখে তাকাবো না সরিয়ে
অনেক জিন্স-কুর্তি-টিশার্ট, হাজরার মোড়ে যানজট
এভাবেই তিলে তিলে এসেছ, ক্রমাগত এক্ষুনি হয়তোর
পূর্বাভাসে; পাতার আড়াল একা একটানা কুহু কুহু
লোক হাসায় একা একা মরে।
সাথে এমন জীবন, এমন জীবন সাথে
রক্তে মিশে যায় যখন এমনি, প্রশ্ন বলতে
তোমার সাথে কেন নয়? একেকটা চন্দ্রবিন্দু
টেনে এনে নষ্টচাঁদ দর্শন, মাঝদুপুরে;
সূর্যের জ্বলে ওঠায় ঘি সলতে...
এরপর তাকিয়ে থাকার পালায় সমস্ত নির্ঘাতগুলো
অবশ্যম্ভাবী ধন্যবাদে আছাড়ি পিছাড়ি খাবে,
মুঠো মুঠো। নিরুত্তর, সামলে নেবে তো?
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন