কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯

প্রশান্ত গুহমজুমদার




জ্বর

তাহার জ্বর, এ প্রকারেই। অরূপে পৌষে কিংবা দুপুরে। ফিরিতেছি। খড় অথবা ঊষরে। ধীরে। শ্যামায় নতুবা আনুগত্যে। কাহিনীতে। তাহার অপূর্ব কালোয়। সেন্টিমিটারে। ওই চোখ কিংবা আমৃত্যু অসূয়ায়। ডাকে। স্মৃতির বাহিরে বহু রাত্রি। একা। পেয়ালার শুশ্রুষা ব্যতীত। জ্বর। তাহার মুখে এমন আকাঙ্ক্ষা! পথ। পথ দেখি জ্যামিতি ভাঙিতেছে, বারবারঠিক? তবে কখন রাখিব আমি তাহাতে! তাহাতে!    


ক্যানভাস

পেয়ালায় আলো, কালো, নতুননীল, কাঁচের ঘর, এইরূপঅদ্যাবধি অসমাপ্ত। কেবল সিঁড়ি, স্মৃতিতে, কিছু সাদায়ছড়িয়ে ছড়িয়ে রাত্রে একজন, এমত আঁকে। খুব একজন। মস্তিষ্ক, লিঙ্গ, যোনির প্রতিচ্ছবি, সন্তান আরোপ করেযুদ্ধের অন্তিম পর্ব। আশ্রয়। অপরে স্পর্ধা করিতে দ্বিধা। ভয় ওই ক্যানভাসে। পায়। যেহেতু অযৌক্তিককেবল আঙুলগুলি স্পষ্ট করে, তাহাদের, ধূসরএবং ঊর্ণনাভ। এবং অন্য কিছু। এই কঠিনে, ভুল ছন্দে, কেন্দ্রের উষ্ণতায়, প্রকৃত প্রস্তাবে, পেয়ালায় উজ্জ্বল, মেধাহীন, উদগ্রঅতঃপর মুগ্ধ জন, কিছু দেখে, অতিরিক্ত?  


সিঁড়ি

ঘরের পাশেই ঘর! অনাবিল ছিল না এই বহনতুমি সিঁড়ি দেখিয়াছিলে। তাহার। আধখানা গোল। ভয় ভাবিয়াছিলে? চাকা, নির্বিকার, এমত মনে ছিল? খুলিয়া দেখ নাই, মাটির ধুলো অথবা ধুলোর সাদা অনাবিষ্কৃত ছিল ওই সাদা ভ্রমণে, নতুন। কেবল নিজেকে কষ্ট  ওই সব অধম পদে, ক্রিয়ায়, পতনে। দেখ নাই, চাকা ক্রমশ তোমাকেই লেহনে উদ্যোগীফলত সংবেদী কাঁটাসব তোমাকে গ্রহণ করিয়াছে। দেখ, আজ অবধি দুয়ারের সাদায়। আত্মনেপদী পেয়ালায়। শূন্য সীমন্তে। সেইসব।


প্রজাপতি

দেখিতেছি। প্রণাম এবং প্রজাপতি। শুনিতেছি। বৃংহতি এবং রক্তপেয়ালায় কুয়াশা। উপহাস নাই! বস্তুত আলো এবং বন্দুক অবসৃত। কুয়াশার শব্দে কেবল বাজিতেছে অবান্তর। নতুন কিছু, এমন। যাহা নশ্বর। তথাপি পেয়ালা। তথাপি সংবেদী সংবেদী অশ্রু। বিকটে এখন শাসন করিতেছে আমার পেয়ালা। একমাত্র উত্তরাধিকার।

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন