উপুড় মধ্যাহ্ন
আমি শুরু থেকে সব সুন্দর ছুঁয়ে ফেলেছিলাম
বিবৃতি তৈরি করতে গিয়ে পুরনো দেবতাদের মতো
দূরে চোখ ভেসে গিয়েছিল; দুই দিনের আবিদজান
বাজার থেকে কাচ নিয়ে ফিরছি; থরে স্তরে এই কাচের কথা
কোনও উপগলিকে দেখার মত - ওখানে আমাকে চিনেনি কেউ
এভাবে উপরে উপরে ঘুরতে ভাল লাগে;
আসলে আমি যাইনি আবিদজান
শূন্য টাওয়ার ধরে লাফের দূরত্বে পার হয়েছি পথ
কারণ শুরু থেকে যে হানিমুন, কল্পনার মধু ঢালা; কল্পনাকে এই বলেছিলাম
অন্ত্রে রইল উপুড় মধ্যাহ্ন আর কিছু কাচের গোলাপ; সুন্দর ছুঁয়ে ফেলেছিলাম।
ভ্রু যুগল
নমনীয়তা থাকতে হবে,
ভ্রু যুগল উপর
এখানেই এসেই ভুল করলাম
আসলে সাজাইয়া রেখেছ;
দূরের পাখিকে বলা যায়
কাছেই হরদম তড়িৎ চুম্বক; আমাকে আকর্ষণ করো
মেহগনির উপর হাত রেখে ধীরে ধীরে এগোনো
পালাকারের কথা না হোক, থোড়াই ভিজে যাচ্ছে পরশের এই
বগলখোলা রূপকথা আর বাস্তবের হাইফেন এক
ততোধিক কাছেই বিনিময়,
একটু উড়ন্ত হয়তো
খোলাকে খোলা করেছ;
ভাবের মগডালে আমার কোনও সুবুদ্ধি নেই
এগিয়ে এসে ধরা যায় মগ্ন চেতন;
সুগন্ধ যেমন
আমাকে রা রা করছে তোমার ভ্রু যুগলে উড়ে যেতে।
মৈথুন বা
মরীচিকা
আমাকে তুমি ব্যবহার করতে পারো, চুক্তি উপেক্ষা না করে
স্মরণ ডালার উপর নেমে আসা ঝুরি থেকে
ক্ষয়ে যাওয়া বা নুয়ে যাওয়া যে কোনও সৎকারে
আর ওইসব জড় বা অজড় যেসব পুঁতে রাখা ঐখানে
যে মিলিয়েছে লুকোচুরি বা ভাব বাস্তবে হয়তো হাতের কাছেই
চোখ জোড়া পলকা তার ক্রিয়াকে বিক্রিয়া না ভেবেও
এগিয়ে দিতে পারো অনেক, আবেগমথিত দ্রুত ও বা
তবু একটু লুকোনোর জায়গা রেখো, যেখানে ফিরে যেতে পারি
যে ঐ কম্পিত স্বর যৌক্তিক কুহকের লেফাফা করেছ নতুন
দিগ্বিদিক তো খোলা হল, মৈথুন বা মরীচিকায় তুলে দিও কিছু
কোথাও ভালবাসা বইটার রেখে দিও, কী কী সাবেকি নেই!
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন