কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

তাপসকিরণ রায়




মিশ্রণ


প্রকোষ্ঠে রাখা থাকে পাপ, কিছু পণ্য চুরি হয়ে গেছে,
তালা শিকল ছেড়ে তুমি কবে বেরিয়ে এলে?
পুলিশের হুইসেল সাইরেন বাজতে বাজতে
অপরাজিতার জীবন পেরিয়ে সন্তান-সন্ততি বেরিয়ে এলো
জমা-খরচ সব ধরে নিতে  নিতে
পণ্য পাপের ভাগাভাগি হল না   
তুমি চলে গেলে শোধনাগারে
সেখানে ল্যাব টেবিলে এক টুকরো ভালোবাসা রাখা ছিল,
কিছু যন্ত্রপাতি দূরবীনে যাচাই হচ্ছে,
মিশ্রণের মাঝে কতটা ভালোবাসা সামগ্রী
যার এক টুকরো রাখা ছিল পণ্যের টেবিলে

হা হতাশ হলেই শরীর নিয়ম ভাঙবে না,
তুমিও ঢেকে রেখেছ তোমার দুর্বলতা,
তোমার অন্তর্বাস ছিঁড়ে যাচ্ছে -- ভেঙ্গে যাচ্ছ তুমিও
তবু ভাংচুর জুড়ে জুড়ে  জীবনটা এগোচ্ছে ঠিকই


স্পর্শ


কিছুক্ষণ ফুল ভাল লাগে -- তার গায়ের স্পর্শ, 
অথচ তুমি কর্কশ
কোমলতা অনায়াসে ঘষে যায়,
তোমার ভালবাসায় সে মুহ্যমান!
এক সময় তোমার নখ গিঁথে যায়
আর একটু পরেই দেখ ফুলদেহ দলে-মুচড়ে নিষ্পেষিত
ধর্ষণ বোধ হয় এমতই,অনেকটা কাছাকাছি !

তাকে দেখেছি বারবার, সে কাছেই, তুমি তা জানো
তবু মাকাল ফল তোমার ভাল লাগতেই পারে
চেটে দেখ তার বিষনেশা
তুমি বারবার ভুলেছ, বারবার ফিরে এলে যেখানে, সেখানে আর সে নেই 
বিরহের উৎস তুমি খুঁজে ফের, আসলে সে কোথায় তা  তুমি জানো না
এক বুড়ি ছুঁই নায়িকা বসে আছে সেখানে,
আসলে না পাওয়ার অসুখে তুমি ভুগছ,
তাই স্মৃতিকে বারবার ঢেকে নাও বুকের মাঝে
তুমি তো জানো, স্বপ্নের ঘরকন্যা হয় না!


সবুজ দরজা


তোমায় কোথায় যেন দেখেছি?
মনে হওয়ার আকৃতিগুলি ধোঁয়া থেকে সৃষ্টি হয়
গাঢ় ঘন দেহে চকমকি ফুটে ওঠে
ঝলসানো চোখে আমি শূন্যতা হাতড়ে মরি 
অথচ তোমার ঘরের সবুজ দরজায় খড়ির আঁক লাগা ছিল,
ছিল ধান খোলসে পাখালি স্বর্ণ ঠোঁট,
আজ কিছু ধরা নেই অথবা সব আছে,
কাল বন্ধ বদ্ধ তুমি আমি
অনবর ফুল ফুটছে দেখো, কিছু কাঁটার আত্মরক্ষায়,   
দরজা বন্ধ হচ্ছে, তারপর আমি জানি আমাদের জন্মকথা,
সন্তানের নাম না দিলে হারিয়ে যায় তার জাত ধর্ম,
শুধু মানুষের স্রোতে একটা সমুদ্র ভাসছে
বংশ ঘষে গেছে, প্রচ্ছন্ন পরিচয়ের মাঝে
শুধু বর্তমান গজিয়ে উঠছে 





0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন