দ্বৈপায়ন হ্রদের ভেতরে
শুধু বেগার খেটেই এ জীবজন্ম শেষ হলো
ওপরে উঠতে হলে চেয়ার লাগে
আমি চেয়ার দেখি নি কখনও।
আমার হাতেখড়ি না হলেও
হাতে দড়ি ছিল বাঁধা
দড়ির ফাঁসে ঘড়ি গেছে খুলে
সেই থেকে আমার সময় আর এগোয় না।
আমি ভারতবর্ষকে ভালোবেসে
মহাভারত শুনতে গেছিলাম
দুর্যোধন আমাকে দ্বৈপায়ন হ্রদের ভেতরে রেখে
নিজে ঊরুভঙ্গ নাটকের শো দেখতে চলে গেল।
পলাশপ্রহরী
রং মেখে রং ঝেড়ে গুহার দিকে যাত্রা করল কুশীলব
নিশ্ছিদ্র প্রহরা ভেঙে আসেনি গণিকা-রাখাল-মহারাজ
বাউল অবশ্য ছিল সঙ্গে কিছু নকল সন্ন্যাসী
যারা বলল খাদ্যে কিছু ছলনা দেখেছে তারা হিতৈষী ছিল না?
দুই পথ তো মিলেছে কোথাও কিছু আগে অথবা দেরিতে
সেদিকেই সকলের আগ্রহ নজর সকলেই চায় স্বাদসুখ
এ বছর শিমূলের ঘ্রাণহীন বর্ণ নির্বাচন করে কোনো কী বার্তা
পাঠালে?
ইতিউতি প্রেম হলো বিনিয়োগ সম্ভাবনা হলো ততোধিক
ফেসবুক পর্দা থেকে ভুইফোঁড় বন্ধু বশংবদ
গ্রহণ বর্জনে সব শর্তশপথ অনুচ্চার
তরলের প্রয়োজনে জগৎ পালটায় ঘর সংসার আতঙ্কে অস্থির
উৎসব ভালো যদি জটা থেকে নদী না পিছলোয়।
শেষ পারানি
ওদের কাছে পারানি নেই তাই হেঁটেই নদী পেরোচ্ছে ওরা ক’জন
ওরা ক’জন? পাঁচ সাত নয়? আঁধার বিছানা পাতছে দ্রুত
নারী পুরুষ কাপড় খুলেছে পাশাপাশি - দরকার ছিল না
হাওয়ায় জল উড়ে এসে ভিজে গেছে মাথার পুঁটুলি
পাহাড় রংয়ে রাঙানো মোষগুলো যেন ওদের ডলফিন।
পাড়ে দেশে তৈরি বিদেশি মদের খালি বোতল আর ছাঁটাই কন্ডোম
গোমুখের যাত্রীরা বুঝি পরস্পর অচেনা হয়েছে
সন্ধের পদোন্নতি হলো গাম্ভীর্যসমেত।
ঝোপড়পট্টিতে বাস দুপুরুষ ধোঁয়ায় ধর্ষিত খোড়োচাল
পাতকুয়ো - সাপ ও ব্যাঙের বাস - যত্নে রাখা ছাঁচিপান
কুয়োর ভেতর
চুট্টাগন্ধ বালসছেলের কান্না তবু নির্জনতা।
চাঁদের আলোর কোনো প্রবেশমূল্য নেই
বয়স্কর সংগম দেখে উত্তেজিত কিশোর কিশোরী
খোলামাঠে নৌকো বায়
পাহারা দেয় শুক্লরাতে চাঁদের তরণী।
0 কমেন্টস্:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন