কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

কাজল সেন

ঝুরোকবিতা সিরিজ


(৩৬)

চুয়াডাঙার বউ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি গো
কোথায় যে চুয়াডাঙা আর কোথায় বা ডাঙাচন্দন
ফি বছর বাজি ধরে ধরে রামনগরে পেল্লায় এক বাজিখানা
তার কি ছিল কেউ
সুন্দরী শ্যালিকা শ্যালিকার রূপসী ননদ
কিছুটা চলার পর অনেকটা বাঁক
যা হলো তা মন্দের ভালোই হলো
আড়ি দিয়ে কাটা হলো দাড়ি   

(৩৭)  

মতের বিনিময় হলো গতকাল রাতে
যার যেমন অভিমত আর মতামত
শূন্যের খোঁজ কে কতটা নেয় নিজস্ব আকাশে
চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্রহণের পর এবার অনিবার্য শুক্রগ্রহণ
নগ্নতা নিয়ে বড় বেশি আদেখলাপনা তোমার আমার
পাঙ্গাবাজির জন্য কেনই বা এত শোরগোল
তারা খসে গেলে ফুল হয়ে ফুটবেই হরিদাসীর আঙিনায়

 
(৩৮)  

যার যেমন অন্তর্বাস তার তেমন বসবাস
রঙের ওপর রঙ চড়িয়ে আমি যেমন আজ পাক্কা রঙবাজ
মেয়েটি গান গেয়েছিল
পুরাতনী গান
ছেলেটি ল্যাং মেরেছিল
খানদানী ল্যাং
বসে থাকা আর হলো না কোনো আঘাটায়
চর্বি জমেছে চর্বি কিলোপ্রতি তিনশ সাতাত্তর টাকা
চোর ধরতে গিয়ে দেখা হলো কত যে গৃহস্থের আস্তানা


(৩৯)   

আমি তোমায় চাঁপাকলি নামে ডাকিনি তো কোনোদিন
যে হাওয়া দিচ্ছে তার খোঁজ নাও মাপো তার গতি
ফুটফুটে রাতে এখন অনেক কেলো হবে অনেকটা কেলো
যার নামে খোলা হয়েছিল ভোজনালয় আজ তার মৃত্যুদিন
সকালে অনশন দুপুরে পংক্তিভোজন
সন্ধ্যায় অনুপ জলোটার মরমী ভজন
কেন এত দিলখোলা হলে হে গোপীনাথ ভায়া
কে যে কবে মাথার দিব্যি দিয়েছিল পীরের দরগায়

(৪০)

ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া হলো
গম ভানতে বিনাকা গীতমালা
একটা ঘুড়ি উড়ছে সুতো ছাড়া লাটাই ছাড়া
দু’পা গেলেই হুগলি বনহুগলি চারপায়ে
সেই যে একটা ছড়া আছে না
ঠিক দুক্কুরবেলা
ভূত আমাকে ঢিল মেরেছিল গ্যাংটকের ম্যালে
উড়ি বাবা সে কী কান্ড

কালি সেজে নেচেছিল দাসী কালিকাসুন্দরী 

0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন