কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

থাড জিওকোলস্কি

প্রতিবেশী সাহিত্য


থাড জিওকোলস্কির কবিতা 

 (অনুবাদ : বারীন ঘোষাল)





কবি পরিচিতি   

থাড জন্মেছিলেন উত্তর আমেরিকার যুক্তরাস্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ষাটের দশকে। আশি আর নব্বই দশকে তাঁর লেখা কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন পত্রিকায়। মেলবোর্ন  আর ফ্লোরিডায় দীর্ঘকাল বসবাসের কল্যাণে তিনি ঢেউবাহন (সার্ফিং)-এ আসক্ত হয়ে পড়েন। তাঁর ভাই সেঠ ও তিনি। ভাইয়ের বাইপোলার অসুখের কারণে তাঁকে নিয়ে  একসাথে থাড দিনের পর দিন নেশা করে ফেলেন সার্ফিং-এ। ক্রমে ঢেউ দিল ঢেউ। তাঁর লেখায়। কবিতার ফর্মে। সেটা কমজোর মনে হওয়ায় গদ্যেপড়ে অদ্ভুত মনে  হয় সেই দোলানো কবিতা। নব্বই দশকে বিভিন্ন সংকলন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হতে থাকেন। ক্রমে ড্রিম ওয়ার্ক ও পরে টার্মিনাল বি নামের দুটি চ্যাপবুক প্রকাশ করেন। তারপর ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতার পুরো বই আওয়ার সন  আর্সনএরপর গদ্যাসক্ত হয়ে পড়েন প্রবলভাবে। ২০০২ সালে প্রকাশিত হয় অন এ ওয়েভ নামে একটি মেময়ের, ন্যারেটিভ গদ্যে। তাঁর কবিতার ফর্মে সার্ফিং-এর ছোঁয়া  আমাকে আকর্ষণ করে যা তাঁকে কবিদের জগতে অনন্য করে তোলে। জনপ্রিয়তা  চাননি তিনি। নিজের মেজাজে লিখে গেছেন পরম্পরাকে কলা দেখিয়ে। ১৯৯৭ থেকে প্র্যাট ইনস্টিটিউটে রাইটিং প্রোগ্রামের ডাইরেক্টর হন। ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে পড়ান। এখন ব্রুকলিন-এ থাকেন। থাড-এর কবিতা আওয়ার সন আর্সন থেকে কিছু কবিতা কালিমাটি’র পাঠকদের জন্য কবিতাভাষাণ করেছি, আমি, বারীন ঘোষাল।  



‘আমাদের ঘর পোড়ানো ছেলে’ কবিতা সংকলন থেকে

ভেসে আছি এই
সমস্যার সংমান কুল-এ

যে ছবিটা কোনোক্রমেই আর ছবির কাজ শানাবে না
ভবঘুরেদের জন্য কোনো হোম      না

দেখানোর জন্য আলোটাকে ঘুরিয়ে ফেলা
সেই আলোটা

লেখকদের জন্যই
যারা পথলেখার পথচারী।

তাহাই হয় এই যেমন আমি ভাবি হলো
আজ, নির্ভর নাও নাও করতে পারে

লাটাই বাঁধা
ভাবনাঘুড়ির ঢিলের ওপর ঢিল।

এক হলো গিয়ে এই সমস্ত
কিছুর একযোগ।

শিশুদের নামগুলো
শিশু নয়, তবে কারোই আর মনে নেই কীভাবে

সেসব উদয় হয়েছিল
নিজেদের মার্কা জায়গা মতো ঠিকঠাক

অবশেষে, হ্যাঁ
আমরা সব ভুলে যাবার পরের একশেষে

একবার কোনো একদিন
সবখানে হাজির থেকেই

আমরা পেরেছিলাম
তখন আমরা পেরেছিলাম

একটা গোঁজ খুবসে গুঁজে দিতে গোওওভীরে
সেই ইচ্ছেতনে ফনে দুরমুশে।




বন্দুকের একটা আওয়াজ হলো কি ‘ক্লিক’
ক্লাসের ছবিটা থেকে। সূর্য
ধীরসে টিম থেকে টিমের পোশচিমে
তার বন্ধুটিও চলে গেছে

মাঠের দিকে যেখানে আমরা থাকি, ভালোই হলো 
শুরুটা, আধখানা সারা। সেই
শব্দগুলো

‘আমরা’
মানে

একটা ব্যাঙ্ক।




দেহাবশেষ রয়ে গেছে আধিকারিকদের মতে
সেই লোকটার আর মেয়েছেলেটার শুধু একলানা
যারা ভিডিও স্টোরের ওপরটায় থাকতো, দেখতে পেয়েছিল তাদের
সেই ধোঁয়ানো রাবিশ-কুড়ার মধ্যে বাড়িটার
খুঁজিয়েরা, কুকুরদের কাজে লাগিয়ে। তখন কেবল
পথের সূর্য পথে। দাঁড়াও

আর লক্ষ্য রাখো আমার ইশারায়। কারণ তোমার এখন মহাবিপদ। আমাকেও
দ্যাখো নুলো করা হয়েছে। কথা চালাও
আমার সাথে, কেননা তুমি
এখন মহাবিপদের মধ্যে, হ্যাঁ।

যতক্ষণ না নিজে থেকেই
জ্বলে পুড়ে যায়, আমার একাংশ
বোঝালো, একটা মাছিও
আগুন লাগাতে পারে একটা ভস্মে, মায়ের দিব্যি, আর গড়ে উঠতে পারে
একটা ফরমুলা, যার ভারাগুলো
হবার কথা ছিল আরো
ভারাময়। হে ভারা




মাসাবধি, দিনকাল,
বছরসারা, দমকলীরা  

শ্বাস্বে নিঃশ্বাসে হ্যামকের দোল খাচ্ছে
দমকলঘরের ভেতর, মক মক কোনো একটা কিছু।

যে কোনো কিছুই হয়ে উঠতে পারে একটা ঘটনার
উদাহরণ যে, কোনো একটা কিছুর

মাথা ছেঁটে ফেলা হয়েছে
যাতে সহনাজে যে ঢুকে ঘোরাফেরা করতে পারে

ভেতরে আরো সহজে।
জাস্ট একটু চেক করে নিও

প্লিজ। সর্বদার জন্য
একটা সময় থাকে

আর একটা অবস্থা। উত্তর দিক তো আর
উপরে নেই

তবে তা একটা মুহূর্ত
যার পক্ষে

কেউ নেই
এই, এটাই

বাধা হয়ে
দাঁড়ালো




আমি হাত নাড়ি
সবের সমানতর সামানের বোধ থেকে শুরু করে

তাদের আকস্মিক আবির্ভাব পর্যন্ত
যা সব হলো আর কি

এই দশার নিয়মের ফলস্বরূপ
অন্যথায় একমাত্র শাসন ব্যবস্থারই
নিয়মটিকে বহাল করে দেওয়া ছাড়া

সদস্যদের ওপর
এবং উদাহরণ হিসেবে উজ্জ্বল আরো
সাধারণ শ্রেণীর
মধ্য থেকে যা আরো অবান্তর

জল জলেরা
গা-বিন্দুগুলোকে যোগ করছে
একটা ওক গাছের গায়ে চ্ছলাৎ ছলে
সেই দুই
দিক দিয়েই বিঁধছে সেই প্রশ্নটাকে























0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন