কালিমাটি অনলাইন

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

দ্বাদশ বর্ষ / পঞ্চম সংখ্যা / ১২৫

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

অমৃতা মজুমদার

সব চুরি হয়ে যাবে

আজ আর বারান্দায় বসা হয়নি 
মাঝরাতে কাচের গ্লাসে জলের আওয়াজে, 
শূন্যতাটা এক পলক চমকে দিয়ে গেল  
আজ হলুদ আলো বুকে করে পিচ রাস্তায়
বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছলকে উঠেছে আমাকে ছাড়ায়
সবটাই বড় বেশি গোছানো কি?
দেখাটুকু সাজিয়ে রাখতে অদেখার ভিতরটা
কবে যে এমন ঝলসে গেছে টের পানি
মেঘের গায়ে চাঁদ, 
আর শীতল আলোয় নপুংসক হাহাকার। 
সাদা অর্কিডের আড়ালে শীতঘুম
আর স্বপ্নে বিনিদ্র প্রহরা 
বেড়ালের ঘোলাটে চোখদুটো এখনও
ওঁত পেতে বসে আছে পোড়া ইঁটের পেছনে
জলে ভেসে আছে কাঠচাঁপা 
সাপেরা সুগন্ধ ভালোবাসে কেন? 
চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় দরজাটা খোলা আছে 
কলিং বেলটা অকেজো 
বেনামী চিঠির স্তূপে বসন্ত আসেনি তবু 
দরজাটা খোলা আছে জানি 
সব চুরি হয়ে যাবে বলে, 
সব চুরি হয়ে যাবে একদিন


শারদীয়া ভোর

আজ শেষ রাতে,
কোনও তারা নেই সাথে
কুসুমিত সান্দ্রতা ঝরে পড়ে,
গঙ্গার জল ধোয়া লাল ইঁটে, করপুটে
রাস্তার ধার ঘেঁষে ক্ষুধার্ত শিশুর ঘুমে
দুধেরই আলপনা আঁকা
জ্বলে পুড়ে রজনী যে শেষ
তীক্ষ্ণ ভুরুর বাঁকে দমিত লজ্জা ধিক্কারে,
আলতার দাগ গাঢ় হয়
সারারাত রঙ পরে যদি,
শিউলির বোঁটা ছেঁচে শিশিরের গায়ে
কাপুরুষ লালা আজ ছাই হোক ধুনুচির গায়ে
লাঞ্ছিত শরীরের হাতে তপ্ত ত্রিশূলে সাজে
বিনাশের বাণী
শিহরিত শঙ্খের ধ্বনি, ওঠে অনুরণি
কাশের ঝাল ছুঁয়ে পেঁজা পেঁজা তুলো
আলোথালু নীল আলো,
ছেয়ে ফেলে শারদীয়া ভোর




0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন