যখন কেউ আমাকে...
শ্রাবণী দাশগুপ্ত
--তুই পারিস্ ?
--কি? কি পারব?
--এইটা, ওইটা, সেইটা, মানে যেগুলো আমি পারি?
--আর আমি যা পারি, তুই পারিস? বলতো আমি কি কি পারি?
--জানি। তুই যা পারিস চাইলে আমি পেরে যেতাম। এলেবেলে।
--হামবাগ্... কী এমন যে তুই একাই শুধু পারিস্?
--আরেত্ত্যারা! ঢ্যারারারা!
মহর্ষি ভাবল চান্দ্রেয়ীর সঙ্গে বিশদ আলোচনা... নাঃ কিছু বলাই যাবে না। কারণ সে তাকে অনেকটা সমীহ করে। দুজনে এম্-টেক্, বাঁধানো রেজাল্ট, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, বাইপাসে ফ্ল্যাট এবং আরও ইত্যাদি। তাছাড়া চান্দ্রেয়ীও আপাতত দু’সপ্তাহের অফিস-ট্যুরে। বহুতলের নিচে ক্যাটক্যাটে দুপুর। মহর্ষি সুরভিত অফিস-কেবিনের দৃষ্টিসুখ নরম শোভন কাচে চশমা ঠেকিয়ে ভাবে। একটু আগে কন্ফারেন্স-এ উদোম ঝাড় খেল সামান্য ভুলের জন্যে। স্রেফ অন্যমনস্কতায়। চড়া গ্রাফ... সাবধানে পা। টাই সে আলগা করে ভাবে।
--ধর্ কাঠফাটা দুপুরে গায়ে দু’তিনটে সোয়েটার, মাথায় মোটা চাদর কম্বল? ঠান্ডায় ল্যাংটা...? জুতোর ছেঁড়া দিয়ে আঙুল? প্যান্টের ফাটা দিয়ে উল্লম্ব ঘন্টা?
--বাস্টার্ড!
--ঘ্যাস্ঘ্যাস্ করে পুঁজুটে খাজ? লালচে জটে দাড়িতে উকুন? না-চান না-দাঁতমাজা? ভিড়ের মাঝখানে ঢাঁই বাতকম্মো? স্রেফ্ মজা।
--চোপ্! হরব্ল! ডিসগাস্টিং!
--পেট কামড়ালেই রাস্তাতে উবু হয়ে দলাদলা না’লে পাতলা... মজা পেতে জানোই না বাছাধন!
--গেট লস্ট্!
মহর্ষি ও চান্দ্রেয়ী খুব বাঁধাবাঁধি, আঁটিসাঁটি। মাথায় শৃঙ্খলার তক্তকে চার্ট ঝোলে। দশ পা ভেবে আধ পা এগোয়। মিল খুব, বেশিটা অমিল। অন্ধকার বাড়িতে একাবোকা মহর্ষি এখন ভাবে, “...মজা পাইতে জানোই না!” মজা কিসে পায়? রাত হচ্ছে। ছ’তলার জানালার নিচে শহর ঝিমোচ্ছে। কী করে সে! ঘুম জমে পাথর হপ্তার পর হপ্তা। ত্রিফলা আলোর মুখের ওপরে নেচে নেচে একটা পোকা তার জানালায় যেন বিকট আঁচড় কাটছে। মজা... মজা... কী! কৌতূহলে জরজর। জিভ বের করে। বিচ্ছিরি মুখ ভেঙায়। আবার... আবার...। মজে যাচ্ছে। অনেক বছর আগে ইউনিভার্সিটির সামনে আলুকাবলি কিনেছিল খাবে বলে। চান্দ্রেয়ী ফুটপাথে আঙুল দেখিয়ে রুমাল মুখে বমি চাপছিল। কেউ ফুটপাথ জুড়ে কম্মো সেরে নোংরাতম ট্রাউজার খুলে রেখে চৌমাথার মোড়ে দু’হাত বাড়িয়ে ট্র্যাফিক সামলাচ্ছে। মনে পড়ল মহর্ষির।
গল্পের গরুটাও গাছে...!
--রিল্যাক্স... রিল্যাক্স।
--কর্ না রিল্যাক্স। দু’হাত ছড়িয়ে দাঁড়া। খুলে ফ্যাল চশমা জামা গেঞ্জি পাজামা। আলো জ্বাল।
--না না। সো আগ্লি! কেউ দেখলে?
--অন্ধকারই থাক। ঘুরপাক খা। আরো জোরে... বল্ মুখে যা আসে...
--হাহা হেহে বেশ লাগছে... বাঃ বাঃ! কক্ষণো করিনি। এটাকেই মজা বলে? এ্যাঁ? চাইতো চাইতো...। খুউব।
মহর্ষি ঘুমিয়ে পড়েছে উপুড় হয়ে। কড়া এসি-তে এঁকেবেঁকে কুঁকড়ে নাঙ্গা শরীর। ওকে এখনই বিব্রত না করা শোভন।
--তুই পারিস্ ?
--কি? কি পারব?
--এইটা, ওইটা, সেইটা, মানে যেগুলো আমি পারি?
--আর আমি যা পারি, তুই পারিস? বলতো আমি কি কি পারি?
--জানি। তুই যা পারিস চাইলে আমি পেরে যেতাম। এলেবেলে।
--হামবাগ্... কী এমন যে তুই একাই শুধু পারিস্?
--আরেত্ত্যারা! ঢ্যারারারা!
মহর্ষি ভাবল চান্দ্রেয়ীর সঙ্গে বিশদ আলোচনা... নাঃ কিছু বলাই যাবে না। কারণ সে তাকে অনেকটা সমীহ করে। দুজনে এম্-টেক্, বাঁধানো রেজাল্ট, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, বাইপাসে ফ্ল্যাট এবং আরও ইত্যাদি। তাছাড়া চান্দ্রেয়ীও আপাতত দু’সপ্তাহের অফিস-ট্যুরে। বহুতলের নিচে ক্যাটক্যাটে দুপুর। মহর্ষি সুরভিত অফিস-কেবিনের দৃষ্টিসুখ নরম শোভন কাচে চশমা ঠেকিয়ে ভাবে। একটু আগে কন্ফারেন্স-এ উদোম ঝাড় খেল সামান্য ভুলের জন্যে। স্রেফ অন্যমনস্কতায়। চড়া গ্রাফ... সাবধানে পা। টাই সে আলগা করে ভাবে।
--ধর্ কাঠফাটা দুপুরে গায়ে দু’তিনটে সোয়েটার, মাথায় মোটা চাদর কম্বল? ঠান্ডায় ল্যাংটা...? জুতোর ছেঁড়া দিয়ে আঙুল? প্যান্টের ফাটা দিয়ে উল্লম্ব ঘন্টা?
--বাস্টার্ড!
--ঘ্যাস্ঘ্যাস্ করে পুঁজুটে খাজ? লালচে জটে দাড়িতে উকুন? না-চান না-দাঁতমাজা? ভিড়ের মাঝখানে ঢাঁই বাতকম্মো? স্রেফ্ মজা।
--চোপ্! হরব্ল! ডিসগাস্টিং!
--পেট কামড়ালেই রাস্তাতে উবু হয়ে দলাদলা না’লে পাতলা... মজা পেতে জানোই না বাছাধন!
--গেট লস্ট্!
মহর্ষি ও চান্দ্রেয়ী খুব বাঁধাবাঁধি, আঁটিসাঁটি। মাথায় শৃঙ্খলার তক্তকে চার্ট ঝোলে। দশ পা ভেবে আধ পা এগোয়। মিল খুব, বেশিটা অমিল। অন্ধকার বাড়িতে একাবোকা মহর্ষি এখন ভাবে, “...মজা পাইতে জানোই না!” মজা কিসে পায়? রাত হচ্ছে। ছ’তলার জানালার নিচে শহর ঝিমোচ্ছে। কী করে সে! ঘুম জমে পাথর হপ্তার পর হপ্তা। ত্রিফলা আলোর মুখের ওপরে নেচে নেচে একটা পোকা তার জানালায় যেন বিকট আঁচড় কাটছে। মজা... মজা... কী! কৌতূহলে জরজর। জিভ বের করে। বিচ্ছিরি মুখ ভেঙায়। আবার... আবার...। মজে যাচ্ছে। অনেক বছর আগে ইউনিভার্সিটির সামনে আলুকাবলি কিনেছিল খাবে বলে। চান্দ্রেয়ী ফুটপাথে আঙুল দেখিয়ে রুমাল মুখে বমি চাপছিল। কেউ ফুটপাথ জুড়ে কম্মো সেরে নোংরাতম ট্রাউজার খুলে রেখে চৌমাথার মোড়ে দু’হাত বাড়িয়ে ট্র্যাফিক সামলাচ্ছে। মনে পড়ল মহর্ষির।
গল্পের গরুটাও গাছে...!
--রিল্যাক্স... রিল্যাক্স।
--কর্ না রিল্যাক্স। দু’হাত ছড়িয়ে দাঁড়া। খুলে ফ্যাল চশমা জামা গেঞ্জি পাজামা। আলো জ্বাল।
--না না। সো আগ্লি! কেউ দেখলে?
--অন্ধকারই থাক। ঘুরপাক খা। আরো জোরে... বল্ মুখে যা আসে...
--হাহা হেহে বেশ লাগছে... বাঃ বাঃ! কক্ষণো করিনি। এটাকেই মজা বলে? এ্যাঁ? চাইতো চাইতো...। খুউব।
মহর্ষি ঘুমিয়ে পড়েছে উপুড় হয়ে। কড়া এসি-তে এঁকেবেঁকে কুঁকড়ে নাঙ্গা শরীর। ওকে এখনই বিব্রত না করা শোভন।
ছেঁড়া জীবনের খাস্তা কথা...ওয়েল রিটন।
উত্তরমুছুনthanx dada.
উত্তরমুছুন