কালিমাটি অনলাইন

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

দশম বর্ষ / একাদশ সংখ্যা / ১১০

ত্রয়োদশ বর্ষ / চতুর্থ সংখ্যা / ১৩১

বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

রাহুল দাশগুপ্ত

 

ধারাবাহিক উপন্যাস

একটি অপরিকল্পিত হত্যার কাহিনী

 


 

(৪৩)     

সত্যিই, সাঁঝের কথাই ঠিক। হৃদয় বলে। ও এখন আমাকে দেখলে কেমন চুপচাপ আর গম্ভীর হয়ে থাকে। খুব মেপেজুকে কথা বলে। কেমন একটা এড়িয়ে যাওয়া ভাব। আগের সেই স্বতস্ফূর্ত ব্যাপারটাই নেই। বরং আমার সঙ্গে আগে যে ব্যবহারটা করত সেটাই করে আগ্নেয়, সমিধা বা অতলান্তের সঙ্গে। হঠাৎ হঠাৎ আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে। কেমন একটা গদগদভাবে কথা বলে। বিহ্বল হয়ে যায়। ওদের সঙ্গে একটা বশ্যতা আর বাধ্যতার ভাব নিয়েই থাকে। আর আমার সঙ্গে কেমন একটা একরোখার মতো আচরণ করে। আগ্নেয় এখন ওর নতুন গুরু, সমিধা ওর প্রেমিকা, আর অতলান্ত ওর নতুন দেবতা। বোধহয় ওর জীবনে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে।।

আর ফুলের বাগান? বিশ্রুত জানতে চায়।

ও তো বলে ফুলের বাগানের জন্য ও নিজের জীবনও দিয়ে দিতে পারে...

হ্যাঁ, খুব বড়ো বড়ো কথা জানে ও।

সত্যিই অতলান্তকে নিয়ে কেমন একটা মাতামাতি শুরু করে দেয় বিহান। অতলান্তের একটা চিঠি সাঁঝের কাছে পৌঁছে দেয় দু-ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে। খুব কষ্ট হয় ওর। ওকে দেখে সাঁঝের খুব মায়া লাগে। সাঁঝ তখন দূরের এক গ্রামে। এখানে প্রযুক্তির কোনও সুবিধাই পৌঁছায় নি। বিহান খুব হাঁপাচ্ছিল। ওর সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছিল।

সাঁঝ জানতে চেয়েছিল, এত কষ্ট করে আসার কী দরকার ছিল?

আসব না? অতলান্ত একটা প্রতিভা। ওর জন্য আমি সব পারি।

সাঁঝ হেসেছিল। তারপর বলেছিল, অতলান্তই বা কী? তোর কথা একবারও ভাবল না?

ও সবার আগে তোর কথা ভাবে। হাসতে হাসতে বলেছিল বিহান। এই চিঠিটা ও আমাকে পড়িয়েছে। ফুলের সঙ্গে তোকে জড়িয়ে বেশ কাব্য করেছে। আমি ছাপছি। ছোট্ট একটা পুস্তিকা হবে। এক প্রকৃত প্রতিভার প্রতি আমার অতি তুচ্ছ শ্রদ্ধার্ঘ্য...

বলিস কী! সাঁঝ অবাক হয়েছিল। তোর এই অবস্থায়...

আমার অবস্থাটা একটু উন্নত হয়েছে। টাকাটা দিচ্ছে সমিধা...

হৃদয়ের খবর কী? ও খবরটা জানে?

এখনও জানাই নি। একের পর এক অন্যায় করে চলেছে ও। সীমাহীন অন্যায়। ওর কথা আর কী বলব?

তাছাড়া আমরা এখন জোট বেঁধেছি। ও যা বলে সবটা মেনেও নিই না। একটু ভয়ও পেয়েছে মনে হয়...

এটা অবশ্য আমি মানতে পারলাম না। সাঁঝ বাধা দেয়। আমাদের সবাইকে, গোটা একটা প্রজন্মকে ও পথ দেখিয়েছে। ফুলকে ভালোবাসতে, সৌন্দর্যকে ভালোবাসতে আমরা শিখেছি ওর কাছ থেকেই...

বিহানের ভুরু কুঁচকে যায়। তারপর বলে, আমি প্রকৃত প্রতিভার সমঝদার। হৃদয়ের সে প্রতিভা কই? তাছাড়া অ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।

সাঁঝ আর কথা বাড়ায় না। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, এসব কথা আমাকে আর কখনও বলিস না।

অতলান্ত? ও কখনও বলে না?

নাঃ আজ পর্যন্ত তো বলেনি। সাঁঝ অন্যদিকে মুখ ঘোরায়। বিহান বুঝতে পারে অতলান্তের ভরসায় কথাগুলো বললেও হিসেবে ভুল হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ মিসফায়ার করে ফেলেছে সে।

ইতিমধ্যে শ্রমণ একটা চাকরি পেয়ে যায়। দিশারীই যোগাযোগ করিয়ে দেয়। দিশারী তখনও বাইরে। এক জাদুকরের সহকারী হিসাবে শ্রমণ বিশ্বভ্রমণে বার হয়। প্রথমবার বেশ কয়েকমাসের জন্য উধাও হয়ে যায়। মাঝে মাঝে অবশ্য ফোন করত। তখন সে সমুদ্রের বর্ণনা দিত। সমুদ্রের বুকে ঝড়ের বর্ণনা দিত। বিভিন্ন রকম পাখি ও জীবের কথা বলত। আর বলত দেশ বিদেশের মেয়েদের কথা। এইসব মেয়েদের সৌন্দর্যে অভিভূত হত সে। জাদুকরের প্রতিটা শোয়ে প্রচুর ভিড় হত। শ্রমণ সে সব অভিজ্ঞতার কথাও বলত।

প্রথমবার ফিরে এসে ও মেজদিদির বিয়ে দিল।

দ্বিতীয়বার ফিরে এসে সেজদিদির বিয়ে দিল।

তৃতীয়বার ফিরে এসে ফুলদিদির বিয়ে দিল।

চতুর্থবার ফিরে এসে রাঙাদিদির বিয়ে দিল।

পঞ্চমবার ফিরে এসে ভাগ্নীর বিয়ে দিল।

প্রতিটা বিয়েতেই ও সাধ্যমতো আয়োজন করল। এই যুগে চার দিদির বিয়ের অর্থ জোগাড় করা কোনও সহজ কাজ নয়। বিপুল অর্থের প্রয়োজন। শ্রমণ সেই অর্থ জোগাড় করল। বিয়ের দিনগুলোয় ওকে খুব হাসিখুশি দেখাত। কোনও চাপই ওকে কখনও স্পর্শ করতে পারে না। প্রতিটা বিয়ের কার্ডে ওর নামই ছাপা হয়েছে। ওই মুখ্য আয়োজক। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সব কিছুই ওকে করতে হয়েছে। তার মধ্যেও ও সবাইকে আপ্যায়ন করেছে। খাতিরযত্ন করেছে। আবার প্রাণ ভরে নেশাও করেছে। কখনও ওর কথা জড়িয়ে এসেছে। তখন আরও দিলখোলা হয়ে উঠেছে ও। কিন্তু অর্থের চাপ ও নেশার ঘোরের মধ্যেও ও নিজের কর্তব্য করে গেছে। কোথাও নিজের দায়িত্ব থেকে একচুল সরে আসেনি।

এসবই লক্ক করত হৃদয়। শ্রমণের মতো ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, মানুষ এ যুগে পাওয়া কতটা দুর্লভ, সেটাও বুঝতে পারত। বিশ্রুতকে বলত, ও এত বড়ো বলেই লোকে ওকে হেয় করে মজা পায়। যে বড়ো তাকেই লোকে ছোটো করে রাখে। তাচ্ছিল্য করে। এ যুগে কোন ভাই এতগুলো দিদির বিয়ের দায়িত্ব নেবে? সবাই নিজেদের সুযোগ সুবিধা বুঝে কেটে পড়ত। ওর দিদিদের পরিশ্রম ছিল সাংঘাতিক, আয় ছিল যৎসামান্য। এই স্বল্প পুঁজিতে কী ভবিষ্যৎ ছিল তাদের? শ্রমণ সব হিসাব উলটে দিয়েছে। হাসতে হাসতে রোজগার করেছে। হাসতে হাসতে দিদিদের বিয়ে দিয়েছে। ওকে দেখলে মনে হয় না ও কখনও কোনও চাপ অনুভব করেছে। জীবনের প্রতি যেন এক অতিমানবিক দৃষ্টি রয়েছে ওর...

সত্যিই ওকে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা করে। বিশ্রুত বলত।

সবার ওপর আমার সমান অধিকার ছিল। হৃদয় বলত। সবাই একটু একটু করে আমার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। একটু একটু করে তাদের ওপর আমার দাবীকে কমিয়ে এনেছে। একমাত্র শ্রমণ আমার জায়গা বাড়িয়েই চলেছে। প্রতিটা বিয়ের আগে ও আমার কাছে আসত। তারপর আমার বিছানার ওপর বিগ শপার উলটে উজাড় করে দিত বিয়ের কার্ড। তারপর বলত, নে, যতগুলো পারিস নিয়ে নে। এ সবই তোর। যাকে যাকে মনে করবি, তাকেই দিবি। এই অধিকার আর কে দিয়েছে আমাকে?

বিশ্রুত বলত, ও চাইত ফুলের বাগানের সবাই আসুক। কিন্তু ওরা আসত না। একটা বাচ্চা ছেলে দেশবিদেশ ঘুরে উপার্জন করে তার একটার পর একটা দিদির বিয়ে দিয়ে চলেছে। এখানে কোনও ঈর্ষা বা প্রতিযোগিতা চলে? অথচ আগ্নেয়, বিহান, অনির্বেদ, অতলান্ত আসত না। ইচ্ছা করেই সরে থাকত ওরা। আর পিছনে শ্রমণকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করত। আমিও শুনেছি কিছু কিছু। এর চেয়ে বড়ো ইতরতা আর কী হতে পারে? অথচ শ্রমণ অপেক্ষা করত তার বন্ধুদের জন্য। তাদের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকত। বারবার তাদের কথা জানতে চাইত। ফোন করত। ওরা কেউ ফোন ধরত না। বন্ধুদের ও নিজের জীবনের, সাফল্যের, আনন্দের অংশীদার করতে চাইত। সুখের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে চাইত তাদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে চাইত। আর কী অনায়াসে ওর বন্ধুরা সেই অংশীদারিত্বকে অস্বীকার করত।

শ্রমণের ভাগ্নীর বিয়ের সময়েই একটা ঘটনা ঘটল। এই বিয়েটা যে বাড়িতে হয়েছিল, তার পাশেই ছিল সুদৃশ্য একটা লেক। বিয়েবাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল বিশ্রুত। হঠাত পেছনে এসে দাঁড়াল শ্রমণ। ওর কাঁধে হাত রাখল। বিশ্রুত ওর দিকে তাকিয়ে বলল, খুব চাপে আছিস তাই না?

চাপ, কোথায় চাপ? শ্রমণ হাসল। আমি সব সময়েই বিন্দাস থাকি। জীবনকে খোলা মনে পেতে চাই।

বিশ্রুত চুপ করে রইল। শ্রমণই আবার জানতে চাইল, কিন্তু তুই এখানে কেন? এই অন্ধকারে? কিছু হয়েছে?

বিশ্রুত একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তারপর বলল, এই লেক...

শ্রমণ কিছুই বুঝল না। সে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল বিশ্রুতর দিকে। ছমাস পরে সার্কাসের দল ফিরে এসেছে। ফিরে এসেছে দিশারীও। তারপর থেকেই বিশ্রুত একটু অন্যমনস্ক হয়ে আছে। সেরকম একটা ভাব নিয়েই সে বলল, এই লেক দেখলেই আমার দিশারীর কথা মনে পড়ে। কতদিন এরকম একটা লেকের পাশে বসে আমরা গল্প করেছি। দিশারী বলত, যে বাড়িতে আমরা থাকব, তার পাশেই যেন এরকম একটা লেক থাকে।

শ্রমণ চুপ করে রইল। বিশ্রুত বলতে লাগল, নিজের ভুল বুঝতে পারছি শ্রমণ। আমাকে দিশারীর কাছে ফিরতে হবে। ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারব না।

এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে? শ্রমণ বলে। দিশারী আমার ছোটোবেলার বন্ধু। ওর হৃদয় খুব খাঁটি।

কিন্তু দিশারী বোধহয় আর রাজি হবে না। বিশেষ করে মেহুলীর কথা শোনার পর।

হবে। যে ভালোবাসে সে-ই ক্ষমা করে। দিশারী তোকে সত্যিই ভালোবাসে।

আর আমার ভুল?

ভুল একটা সাময়িক ঘটনা। সত্যিকারের ভালোবাসার সঙ্গে পেরে উঠবে না। আমি অনেকবার দেখেছি। ভুলের চেয়ে ভালোবাসা অনেক বড়ো বিশ্রুত। ভালোবাসা এরকম সহস্র ভুলকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

তোর কথায় ভরসা হচ্ছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ওঠে বিশ্রুত।

আচ্ছা, মেহুলী এখন কোথায়? হঠাত জানতে চায় সাঁঝ। কখন সে এসে দাঁড়িয়েছে।

ওর সঙ্গে আমার এখন কমই দেখা হয়।

কেন?

ও এখন আগ্নেয়কে নিয়ে ব্যস্ত। সারাক্ষণ ওর মুখে আগ্নেয়র কথা। কিছুটা ক্লান্ত, কিছুটা বিরক্ত হয়ে আমি একটু সরেই এসেছি।

ও।

পুরুষ মানুষের প্রতিই এই মেয়েটির অদ্ভুত আসক্তি আছে। পুরুষ মানুষকে ও নিজের ওপর নির্ভরশীল করে তুলতে চায়। তার সমস্যা ও বিপদের সমাধান খুঁজে দিতে চায়। ওকে ভালোবাসতে বাধ্য করে। কিন্তু যখনই তাকে পুরোপুরি পেয়ে যায়, ওর উৎসাহ কমে যায়। অন্য কোনও পুরুষের প্রতি ও আসক্ত হয়। তার কোনও সমস্যা বা বিপদ, ত্রুটি বা অভাবের প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠে। আর সে সবের সমাধান খুঁজতে গিয়ে তাকে নিজের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। ওকে ভালোবাসতে বাধ্য করে। এই মেয়েটি পছন্দের পুরুষদের তাদের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে ভালোবাসে। তারপর তার পরিত্রাতা হয়ে উঠতে চায়।

সাঁঝ তাকিয়ে থাকে। বিশ্রুত বলে যায়। প্রথমে ওর সম্পর্ক ছিল নির্মাল্যর সঙ্গে। নির্মাল্য ওকে অসম্ভব ভালোবাসত। হয়ত একটু বেশীই। ভালোবাসার এই বাড়াবাড়ি ওকে উদাসীন করে তুলল। ও কিন্তু অপেক্ষা করেছে, নির্মাল্যকে সময় দিয়েছে। মানসিকভাবে তাকে পুরোপুরি নিজের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। ওকে ছাড়া নির্মাল্য যখন কিছুই ভাবতে পারে না, সেই সময়ে ও নির্মাল্যকে জীবন থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্মাল্যর চোখের সামনে ঝুঁকেছে আগ্নেয়র দিকে। আগ্নেয়র সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। হয়ত নির্মাল্যকে চরম আঘাত দেওয়ার জন্যই। মেহুলী আর আগ্নেয় দুজনের কাছেই বোধহয় এটা ছিল একটা খেলা। আর ওরা যখন এই খেলা খেলছে তখনই ওর দৃষ্টি গেছে আমার দিকে। আমার জীবনে ঢুকে পড়েছে ও।

কিন্তু অর্নিবেদ আর শ্রমণের সঙ্গে ওর ওই ব্যবহার করার মানে কী?

প্রথমটা একটা সামান্য কৌতুক। নিষ্ঠুরও। অনির্বেদকে জয় করলে কেউ বাহবা দেবে না সেটা ও গোড়া থেকেই জানত। অনির্বেদ সবার চোখেই ছিল করুণার পাত্র। আর করুণার পাত্রের সঙ্গে নিজেকে য জড়ায় সেও সবার করুণাই কুড়ায়। তারপর এল শ্রমণ। ওর প্রেমে পড়ল। শ্রমণের মন অনেক উদার। তাকে নিয়ে খেলা যায় অনেক বেশী। মজাও করা যায় অনেক বেশী। অনির্বেদ কিছু দেবে না, নেবেও না। ওর প্রেম পুকুরের জলের মতোই শান্ত আর স্থির। কিন্তু শ্রমণ তো পাহাড়ি নদীর মতো। উত্তাল, উদ্দাম। আর শুধু দিয়েই যাবে, কোনও হিসাব নেবে না। কিন্তু শ্রমণের একটা সুবিধা আছে। সে কখনও নিজেকে ভারাক্রান্ত করে না। সামান্য একটু বিষাদ। তারপরই ও মুছে গেল। শ্রমণের সঙ্গে জড়িয়ে ও কোনও বাহবা পাবে না। ওরা কেউই জীবনে সফল নয়। অনির্বেদ সরে গেল, করুণা ও প্রত্যাখ্যানে ও অভ্যস্ত। শ্রমণ সরে গেল। ব্যর্থতাকে বহন করার লোক সে নয়। তাকে তুড়ি মেরে, তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা তার। পাথরটাকে লাথি মেরে সরিয়ে দিল সে, তারপর ফিরেও তাকাল না সেদিকে।

(ক্রমশ)

 

 

 


0 কমেন্টস্:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন